ইলম গোপন নয় বরং দাওয়াত বা শিক্ষাদানে ধারাবাহিকতা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে সত্যের কিছু অংশ বলা থেকে বিরত থাকাটা জায়িয। বরং সবকিছু এভাবেই হওয়া উচিত। এর দ্বিতীয় কোনো পথ নেই। আসলে দ্বীনের সব বিষয় একদিনে কেউ শিখে ফেলতে পারে না। এ ক্ষেত্রে ধারাবাহিক হওয়াটা জরুরি।
_
শাইখ নাসির ইবনু হামাদ আল-ফাহাদ
[ আত-তানকিল : ১/২৬ ]
#ilmweb
_
শাইখ নাসির ইবনু হামাদ আল-ফাহাদ
[ আত-তানকিল : ১/২৬ ]
#ilmweb
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 'বহু এমন লোকও আছে যার মাথা উষ্কখুষ্ক ধুলোভরা, যাদের দরজা থেকে ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হয়। (কিন্তু সে আল্লাহর কাছে এত প্রিয়) যদি সে আল্লাহর ওপর কসম খায়, তাহলে আল্লাহ তা পূর্ণ করে দেন।'
[ রিয়াযুস সালিহিন, হাদিস নং : ২৬২ ]
#ilmweb
[ রিয়াযুস সালিহিন, হাদিস নং : ২৬২ ]
#ilmweb
প্রবন্ধ : হুরমাতুল মুসাহারাহ
উসতায শাইখুল ইসলাম (হাফিযাহুল্লাহ)
.
.
হুরমাতুল মুসাহারাহ (حرمة المصاهرة) হলো, বৈবাহিক সম্পর্কের ফলে নারী-পুরুষ উভয়ের মাহরাম আত্মীয়-স্বজন অপরজনের জন্য হারাম হওয়া। যেমন স্ত্রীর মা। স্ত্রী জীবিত থাকুক বা মৃত, কোনো অবস্থাতেই স্বামীর জন্য স্ত্রীর মাকে বিয়ে করা বৈধ নয়। বরং সেটা হারাম। তেমনিভাবে স্বামীর পিতা। স্বামী মারা গেলে বা তালাক দিয়ে দিলে শশুরকে বিয়ে করা যাবে না। হুরমাতুল মুসাহারাহর মাসআলা দুই ধরনের হয় :
১. ঐকমত্যপূর্ণ ২. মতভেদপূর্ণ
.
.
সম্পূর্ণ প্রবন্ধটি পড়তে ভিজিট করুন : https://ilmweb.net/হুরমাতুল-মুসাহারাহ/
উসতায শাইখুল ইসলাম (হাফিযাহুল্লাহ)
.
.
হুরমাতুল মুসাহারাহ (حرمة المصاهرة) হলো, বৈবাহিক সম্পর্কের ফলে নারী-পুরুষ উভয়ের মাহরাম আত্মীয়-স্বজন অপরজনের জন্য হারাম হওয়া। যেমন স্ত্রীর মা। স্ত্রী জীবিত থাকুক বা মৃত, কোনো অবস্থাতেই স্বামীর জন্য স্ত্রীর মাকে বিয়ে করা বৈধ নয়। বরং সেটা হারাম। তেমনিভাবে স্বামীর পিতা। স্বামী মারা গেলে বা তালাক দিয়ে দিলে শশুরকে বিয়ে করা যাবে না। হুরমাতুল মুসাহারাহর মাসআলা দুই ধরনের হয় :
১. ঐকমত্যপূর্ণ ২. মতভেদপূর্ণ
.
.
সম্পূর্ণ প্রবন্ধটি পড়তে ভিজিট করুন : https://ilmweb.net/হুরমাতুল-মুসাহারাহ/
ইমাম আবু হানিফা, ইমাম আলবানি প্রমুখ উলামায়ে কিরাম, মুজতাহিদে ইযাম আমাদের দ্বীনের ফিকহ ও হাদিসের অতন্দ্র প্রহরী ছিলেন। তাঁরা রবের দরবারে উপযুক্ত প্রতিদান পাবেন, ইনশাআল্লাহ। বাকি যে সত্যের খুঁজে আজ তাঁরা বরিত পুরুষে পরিণত হয়েছেন, সেই সত্যের দিকে রুজু হওয়া ছাড়া দ্বিতীয় কোনো পথ নেই। সমুদ্রে ফেলা কোনো ময়লা যেমন সমুদ্রের পানিকে নোংরা করতে পারে না, ঠিক একই সাথে সমুদ্রে ফেলা হয়েছে বলে সেই ময়লাও পবিত্র হয়ে যেতে পারে না। বিশাল সমুদ্রের তুলনায় সামান্য ময়লা যেন কিছুই নয়। হক (সত্য) হকের স্থানে, সম্মান সম্মানের স্থানে।
রাহিমাহুমাল্লাহ।
#ilmweb
রাহিমাহুমাল্লাহ।
#ilmweb
কেউ হয়তো কোনো বিদআতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে আর ভাবছে তার ইমান শক্ত। হতে পারে তার ইমান শক্ত কিন্তু ইসলামের কোনো কোনো শাস্ত্রে (ফন্ন) সে দুর্বল। হয়তো সে আরবিতে দুর্বল বা উসুলুল ফিকহে। দেখা যাবে বিদআতিরা এই শাস্ত্র ব্যবহার করে তাকে সন্দেহে ফেলে দেবে।
ইমরান ইবনু হিত্তানের কথাই ধরা যাক। সে কিছু সাহাবা যেমন আইশাহ, আবু মুসা আল-আশআরি, ইবনু আব্বাস প্রমুখ থেকে হাদিস বর্ণনা করেছে। কিন্ত তার সময়ে সে ছিল খারেজিদের নেতা। সে শুরুতেই এমন ছিল না। সে শুরুতে সুপথেই ছিল। সে এক খারিজি মহিলাকে বিয়ে করেছিল। নিয়াত ছিল তার ওপর জয়ী হবে। ঘটল বিপরীতটা। বরং মহিলাটাই তার ওপর জয়ী হয়ে গেল।
____
শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল (হাফিযাহুল্লাহ)
ইমরান ইবনু হিত্তানের কথাই ধরা যাক। সে কিছু সাহাবা যেমন আইশাহ, আবু মুসা আল-আশআরি, ইবনু আব্বাস প্রমুখ থেকে হাদিস বর্ণনা করেছে। কিন্ত তার সময়ে সে ছিল খারেজিদের নেতা। সে শুরুতেই এমন ছিল না। সে শুরুতে সুপথেই ছিল। সে এক খারিজি মহিলাকে বিয়ে করেছিল। নিয়াত ছিল তার ওপর জয়ী হবে। ঘটল বিপরীতটা। বরং মহিলাটাই তার ওপর জয়ী হয়ে গেল।
____
শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল (হাফিযাহুল্লাহ)
হক (সত্য) এমনিতেই কঠিন। আপনি হকের দাওয়াত দিচ্ছেন। যতই হকের কথা বলুন, আপনার আচরণে কর্কশতা, অভদ্রতা, অশ্লীলভাষা, অসহনশীলতা, দ্রুত রেগে যাওয়া, প্রতিক্রিয়াশীলতা, অন্যকে হেয় করা ইত্যাদি থাকলে সেই দাওয়াত কেউ গ্রহণ করবে না। আল্লাহই স্বয়ং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলেছেন, তিনি কর্কশ ও কঠিন হৃদয়ের হলে সবাই তাঁর আশপাশ থেকে সরে যেত। আপনি যতই মানুষকে বোঝান, হতাশা প্রকাশ করেন, বলেন যে আপনাকে নয় বরং আপনার দাওয়াত হক (সত্য) কি না এটি লোকে দেখুক, আসলে লাভ নেই। দাওয়াত নয়, দাওয়াত বহনকারীও গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার কথায় একটা লোক তাঁর দীর্ঘদিনের লালিত বিশ্বাস, কর্মপন্থা পরিবর্তন করে ফেলবে কোন ভরসায়? আল্লাহ তাআলা নবি আলাইহিমুস সালামদের সমাজে কী ধরনের আখলাক ও আস্থাশীল হিসেবে প্রতিপালন করেছেন, তা তো স্পষ্ট। তাঁরা নবুয়াতপ্রাপ্তির আগেই ছিলেন সবচেয়ে ভদ্র, উন্নত, মিতভাষী ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন।
তাই, অন্তত দাওয়াহর স্বার্থে হলেও চরিত্রের সমুন্নতি বজায় রাখুন। অফলাইন-অনলাইন সব জায়গায় জ্বিহ্বা ও আচরণে পরিপক্কতার পরিচয় দিন। যত্রতত্র যেভাবে খুশি কমেন্ট করা থেকে বিরত হোন। ব্যক্তিত্ব ধরে রাখুন। মনে রাখবেন, ব্যক্তিত্ব গড়া দীর্ঘ সাধনার বিষয়, কিন্তু ব্যক্তিত্ব হারানো এক মুহূর্তের ব্যাপার।
#ilmweb
আপনার কথায় একটা লোক তাঁর দীর্ঘদিনের লালিত বিশ্বাস, কর্মপন্থা পরিবর্তন করে ফেলবে কোন ভরসায়? আল্লাহ তাআলা নবি আলাইহিমুস সালামদের সমাজে কী ধরনের আখলাক ও আস্থাশীল হিসেবে প্রতিপালন করেছেন, তা তো স্পষ্ট। তাঁরা নবুয়াতপ্রাপ্তির আগেই ছিলেন সবচেয়ে ভদ্র, উন্নত, মিতভাষী ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন।
তাই, অন্তত দাওয়াহর স্বার্থে হলেও চরিত্রের সমুন্নতি বজায় রাখুন। অফলাইন-অনলাইন সব জায়গায় জ্বিহ্বা ও আচরণে পরিপক্কতার পরিচয় দিন। যত্রতত্র যেভাবে খুশি কমেন্ট করা থেকে বিরত হোন। ব্যক্তিত্ব ধরে রাখুন। মনে রাখবেন, ব্যক্তিত্ব গড়া দীর্ঘ সাধনার বিষয়, কিন্তু ব্যক্তিত্ব হারানো এক মুহূর্তের ব্যাপার।
#ilmweb
হাদিসশাস্ত্র অধ্যয়নে দীর্ঘ সময় দেয়া অপরিহার্য। আমার শায়খ মুহাম্মাদ হানিফ নাদবি বলতেন, ইকরাউ, ইকরা, ইকরা হাত্তা তাকি। অর্থাৎ পড়ো, পড়ো, পড়ো, যতক্ষণ না পড়তে পড়তে বমি চলে আসে। বিশেষ করে হাদিসের উসুলসংশ্লিষ্ট বইগুলো মনোযোগসহ অধ্যয়ন করতে হবে। ইলমুর রিজাল এবং ইলমুল জারাহ ওয়াত-তাদিল সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। এরপর রিওয়ায়াতের ওপর সেসব উসুল প্রয়োগ করা শিখতে হবে।
ইলমি গভীরতার জন্য ইবনু দাকিকিল ইদের ‘আল-আহকাম’, ইবনুল কাত্তানের ‘বায়ানুল ওয়াহমি ওয়াল ইহাম’, ইমাম যাইলায়ির ‘নাসবুর রায়াহ’, ইবনু হাজার আসকালানির ‘আত-তালখিসুল হাবির’ এবং শায়খ আলবানির বইগুলো অধ্যয়ন করতে হবে।
জারাহ-তাদিল-বিষয়ক যেকোনো কওলের (বক্তব্য) ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী (মুতাকাদ্দিম) মুহাদ্দিসদের বক্তব্যকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। উদাহরণস্বরূপ শায়খ আলবানি অনেক সময় হাদিসের কোনো ইল্লাত সম্পর্কে ইমাম আলি ইবনুল মাদিনি বা ইমাম দারাকুতনির বক্তব্য উপেক্ষা করেছেন। এটা আমাদের কাছে সঠিক মানহাজ নয়। বরং সবসময় পূর্ববর্তীদের বক্তব্যই অগ্রগণ্য। কারণ, হাদিসের ক্রটিবিচ্যুতি সম্পর্কে তাঁরাই বেশি অবগত ছিলেন। সর্বোপরি সবক্ষেত্রে তাকওয়া অবলম্বন করতে হবে।
____
শাইখ ইরশাদুল হক আসারি (হাফিযাহুল্লাহ)
[ সূত্র : https://t.ly/oDQ0q ]
#ilmweb
ইলমি গভীরতার জন্য ইবনু দাকিকিল ইদের ‘আল-আহকাম’, ইবনুল কাত্তানের ‘বায়ানুল ওয়াহমি ওয়াল ইহাম’, ইমাম যাইলায়ির ‘নাসবুর রায়াহ’, ইবনু হাজার আসকালানির ‘আত-তালখিসুল হাবির’ এবং শায়খ আলবানির বইগুলো অধ্যয়ন করতে হবে।
জারাহ-তাদিল-বিষয়ক যেকোনো কওলের (বক্তব্য) ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী (মুতাকাদ্দিম) মুহাদ্দিসদের বক্তব্যকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। উদাহরণস্বরূপ শায়খ আলবানি অনেক সময় হাদিসের কোনো ইল্লাত সম্পর্কে ইমাম আলি ইবনুল মাদিনি বা ইমাম দারাকুতনির বক্তব্য উপেক্ষা করেছেন। এটা আমাদের কাছে সঠিক মানহাজ নয়। বরং সবসময় পূর্ববর্তীদের বক্তব্যই অগ্রগণ্য। কারণ, হাদিসের ক্রটিবিচ্যুতি সম্পর্কে তাঁরাই বেশি অবগত ছিলেন। সর্বোপরি সবক্ষেত্রে তাকওয়া অবলম্বন করতে হবে।
____
শাইখ ইরশাদুল হক আসারি (হাফিযাহুল্লাহ)
[ সূত্র : https://t.ly/oDQ0q ]
#ilmweb