আমাদের উলামা, মুহাদ্দিস, ফকিহ ইমামরা বিভিন্ন পেশায় জড়িত ছিলেন। তাঁরা সাধারণত চাইতেন না ইলমের বিনিময় নিতে। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় শিক্ষা। এসব পেশাগ্রহণে না তাঁরা ছোট হয়েছেন, না তাঁদের ইলমি ব্যক্তিত্ব ও Scholarship (আলিমত্ব) নিয়ে কোনো আপত্তি ও প্রশ্ন উত্থাপন করা যায়। জ্ঞানগত দিক দিয়ে প্রায় সবার ভুলত্রুটি হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু ভুল হওয়া মানে তাঁদের আকাশসম ব্যক্তিত্ব ও Scholarship (আলিমত্ব) নিয়ে প্রশ্ন তোলা নয়। আর তাঁদের ভুলও স্বস্ব মানহাজের উলামারাই চিহ্নিত করে গেছেন। এই ভুল চিহ্নিত করাটাও আবার যেকারোর কাজ নয়।
ইমাম আবু হানিফা ছিলেন কাপড় ব্যবসায়ী, ইমাম আলবানি ঘড়ি মেরামতের কাজ করতেন। জ্ঞানসাধনা তাঁদের মর্যাদা-মাকামকে কত উঁচুতে নিয়ে গেছে! ইমাম আবু হানিফাকে কাপড় ব্যবসায়ী বলে তাচ্ছিল্য করা কিংবা ইমাম আলবানিকে ঘড়ির মেকার বলে উপহাস করা বরং ইলমি দৈন্যের লক্ষণ। রুচিবোধের খরা। এ ধরনের মানুষের জন্য আসলে কোনো জবাব নেই। বরং তাদের জন্য কুরআনের এই আয়াতই প্রযোজ্য,
‘রহমানের বান্দা তারাই, যারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং অজ্ঞ লোকেরা যখন তাদেরকে সম্বোধন করে তখন তারা বলে—সালাম।’ [সুরা আল-ফুরকান, ২৫ : ৬৩]
.
রাহিমাহুমাল্লাহ।
#ilmweb
ইমাম আবু হানিফা ছিলেন কাপড় ব্যবসায়ী, ইমাম আলবানি ঘড়ি মেরামতের কাজ করতেন। জ্ঞানসাধনা তাঁদের মর্যাদা-মাকামকে কত উঁচুতে নিয়ে গেছে! ইমাম আবু হানিফাকে কাপড় ব্যবসায়ী বলে তাচ্ছিল্য করা কিংবা ইমাম আলবানিকে ঘড়ির মেকার বলে উপহাস করা বরং ইলমি দৈন্যের লক্ষণ। রুচিবোধের খরা। এ ধরনের মানুষের জন্য আসলে কোনো জবাব নেই। বরং তাদের জন্য কুরআনের এই আয়াতই প্রযোজ্য,
‘রহমানের বান্দা তারাই, যারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং অজ্ঞ লোকেরা যখন তাদেরকে সম্বোধন করে তখন তারা বলে—সালাম।’ [সুরা আল-ফুরকান, ২৫ : ৬৩]
.
রাহিমাহুমাল্লাহ।
#ilmweb
দুর্ভোগ সেই ব্যক্তির জন্য, দুনিয়া যার আশা-আকাঙ্ক্ষার স্থল এবং পাপ করাই তার কাজ। সে অত্যন্ত ভোজনরসিক, স্বল্প জ্ঞানের অধিকারী। পার্থিব বিষয়ে বিজ্ঞ হলেও আখিরাতের ব্যাপারে ঠিকই অজ্ঞ।
____
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
[ আল-আশবিলি, আল-আকিবাহ ফি যিকরিল মাওত, পৃষ্ঠা : ৯০ ]
#ilmweb
____
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
[ আল-আশবিলি, আল-আকিবাহ ফি যিকরিল মাওত, পৃষ্ঠা : ৯০ ]
#ilmweb
চিন্তাগতভাবে এর (দৃঢ় থাকা) জন্য প্রয়োজন হলো, মনমানসিকতায় উদার হওয়া। বিশেষ করে ফিকহি মাসআলা-মাসায়িলে বেশি কঠোরতা পরিহার করা উচিত। উদাহরণস্বরূপ আমি এ আহ্বান জানাই যে, মাযহাবি মতভেদে খুব বেশি গভীরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এসব ইজতিহাদি মাসায়িলের ক্ষেত্রে অধিক থেকে অধিকতর বিশ্লেষণ ও সূক্ষ্ম তদন্তের পর এর ফল এটা আসবে যে, এটা প্রাধান্যযোগ্য মত। কোনো জিনিসকে আপনি বিদআত বলতে পারবেন না।
এ জন্য অনেক মানুষ এসব মাসআলা-মাসায়িল নিয়ে ব্যস্ত থেকে জীবনপাত করে এবং বিরোধী মাযহাবকে নিজের সবচেয়ে বড় দুশমন মনে করে। এমন মানসিকতা পরিবর্তন করা দরকার। এ ধরনের মানসিকতা পোষণ করা উচিত নয়। আমাদের চিন্তাভাবনা হবে ইসলামি। যা অনৈসলামিক চিন্তাচেতনার মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকবে। আসলে আমরা যেসব মাসআলা নিয়ে আলোচনা করি, তার ৯০ শতাংশ সেসব সমস্যা নয়, যেসব সমস্যার সম্মুখীন হয় সমাজ, দেশ বা জাতি।
_
শাইখ উযায়ির শামস (রাহিমাহুল্লাহ)
[ সূত্র : https://shorturl.at/N3bKC ]
#ilmweb
এ জন্য অনেক মানুষ এসব মাসআলা-মাসায়িল নিয়ে ব্যস্ত থেকে জীবনপাত করে এবং বিরোধী মাযহাবকে নিজের সবচেয়ে বড় দুশমন মনে করে। এমন মানসিকতা পরিবর্তন করা দরকার। এ ধরনের মানসিকতা পোষণ করা উচিত নয়। আমাদের চিন্তাভাবনা হবে ইসলামি। যা অনৈসলামিক চিন্তাচেতনার মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকবে। আসলে আমরা যেসব মাসআলা নিয়ে আলোচনা করি, তার ৯০ শতাংশ সেসব সমস্যা নয়, যেসব সমস্যার সম্মুখীন হয় সমাজ, দেশ বা জাতি।
_
শাইখ উযায়ির শামস (রাহিমাহুল্লাহ)
[ সূত্র : https://shorturl.at/N3bKC ]
#ilmweb
অনেক বছর আগে এক ভাই আমাকে একটি ঘটনা বলেছিলেন। তিনি বলেন, তিনি এমন কিছু দেখছিলেন, যা আল্লাহ হারাম করেছেন। এসব মানুষের কাছে স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে, কিন্তু আল্লাহর আইনে হারাম। সেগুলো ছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু হিজাবহীন মহিলার ছবি। তাঁর ভাষ্য, তিনি যখন এটা দেখছিলেন, অপরাধবোধ করছিলেন। তিনি জানতেন তিনি যা করছেন, সেটা পাপ। পাশেই তাঁর স্ত্রী ঘুমাচ্ছিলেন। স্বামী কী করছেন, তিনি জানতেন না। ঘুম থেকে উঠে স্বামীকে বললেন তিনি একটি স্বপ্ন দেখেছেন। স্বপ্নে স্বামীকে এই বলে উপদেশ দিচ্ছেন,
أَلَمْ يَعْلَم بِأَنَّ ٱللَّهَ يَرَىٰ
‘তবে কি সে জানে না যে, আল্লাহ দেখছেন?’
[সুরা আল-আলাক, ৯৬ : ১৪]
সেই ভাই এটা আমায় বলেন চোখে পানিসহ। যা হোক, তাঁর স্ত্রী স্বামীকে স্বপ্নের এতটুকুই বলেছিলেন। ওই ভাইয়ের স্ত্রী এর আগে এই আয়াত মুখস্থ করেননি। আর তিনি আরবিভাষীও নন। তিনি স্বপ্নেই সেই আয়াত আরবিতে মুখস্ত করেছিলেন। দুজনের কেউই সেই আয়াতের অর্থও জানতেন না। তাঁরা দুজনই কুরআন খুলে সেই আয়াতের অর্থ দেখলেন—‘তবে কি সে জানে না যে, আল্লাহ দেখছেন?’
———
শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল (হাফিযাহুল্লাহ)
#ilmweb
أَلَمْ يَعْلَم بِأَنَّ ٱللَّهَ يَرَىٰ
‘তবে কি সে জানে না যে, আল্লাহ দেখছেন?’
[সুরা আল-আলাক, ৯৬ : ১৪]
সেই ভাই এটা আমায় বলেন চোখে পানিসহ। যা হোক, তাঁর স্ত্রী স্বামীকে স্বপ্নের এতটুকুই বলেছিলেন। ওই ভাইয়ের স্ত্রী এর আগে এই আয়াত মুখস্থ করেননি। আর তিনি আরবিভাষীও নন। তিনি স্বপ্নেই সেই আয়াত আরবিতে মুখস্ত করেছিলেন। দুজনের কেউই সেই আয়াতের অর্থও জানতেন না। তাঁরা দুজনই কুরআন খুলে সেই আয়াতের অর্থ দেখলেন—‘তবে কি সে জানে না যে, আল্লাহ দেখছেন?’
———
শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল (হাফিযাহুল্লাহ)
#ilmweb
কথা, কাজ ও বিশ্বাস—এ তিনটির সবগুলো মিলেই ইমান। মাগরিব তিন রাকাত। এ থেকে এক রাকাত কমানো হলে একে যেমন মাগরিব বলা যাবে না, ঠিক একইভাবে ইমান থেকে কথা, কাজ বা বিশ্বাস—এ তিনটির কোনো একটি কমানো হলে সেটাকে আর ইমান নাম দেয়া যাবে না।
———
শাইখ আবদুল আযিয আত-তুরাইফি (হাফিযাহুল্লাহ)
[ আর-রিসালাতুশ শামিয়াহ ]
#ilmweb
———
শাইখ আবদুল আযিয আত-তুরাইফি (হাফিযাহুল্লাহ)
[ আর-রিসালাতুশ শামিয়াহ ]
#ilmweb
Media is too big
VIEW IN TELEGRAM
সালামের ফযিলত
—শাইখ ড. উসমান আল-খামিস || ilmweb Publishing
—শাইখ ড. উসমান আল-খামিস || ilmweb Publishing