'নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন মানুষের প্রতি সবচেয়ে সহনশীল। সেই সাথে সবচেয়ে মহান ও স্নেহশীল। তিনি নিজের জুতো মেরামত করতেন, কাপড়ে তালি লাগাতেন এবং দৈনন্দিন কাজে তাঁর পরিবারকে সাহায্য করতেন। ছিলেন খুবই লাজুক। এমনকি কুমারী নারীর চেয়েও বেশি লজ্জাশীল ছিলেন তিনি।'
___
ইমাম ইবনু কুদামা আল-মাকদিসি
- চরিত্রশুদ্ধি (মুখতাসার মিনহাজুল কাসিদিন)
#ilmweb
___
ইমাম ইবনু কুদামা আল-মাকদিসি
- চরিত্রশুদ্ধি (মুখতাসার মিনহাজুল কাসিদিন)
#ilmweb
❤5🔥5
নাওয়াকিদুল ইমান (ইমান ভঙ্গের কারণ) পাঠের উদ্দেশ্য নিজেদের ইমার রক্ষা করা। অন্যের ইমান নিয়ে ছিদ্রান্বেষ নিষিদ্ধ। তাকফির খুবই স্পর্শকাতর বিষয়। বিশেষভাবে ব্যক্তি-তাকফির তো ভয়ানক। কাউকে তাকফির করলে, অথচ সে কাফির নয়, তবে তাকফির নিজের ওপর ফিরে আসে। মৌলিক ও গভীর জ্ঞান ছাড়া এই ব্যাপারে কাজ করা শুরু করা পাপে জড়ানোর মাধ্যম। অ-আলিম ব্যক্তির জন্য তাকফির অনধিকারচর্চা। পর্যাপ্ত জ্ঞান ছাড়া এ বিষয়ে কোনো কথা বলা যাবে না। পর্যাপ্ত প্রয়োজনীয় জ্ঞান এবং কুরআন, সুন্নাহ ও ইজমার বিশুদ্ধ প্রমাণ থাকার পরই এ বিষয়ে কথা বলা যাবে। তা ছাড়া সম্ভাব্য প্রতিটি দিক যাচাইসহ সূক্ষ্ম দিকগুলো তাহকিকের যোগ্যতা থাকতে হয়। যেটি সাধারণত প্রজ্ঞাবান ও বিপুল অধ্যয়নপ্রিয় আলিমের পক্ষেই সম্ভব হয়ে থাকে।
#ilmweb
#ilmweb
❤11👍2
পূর্ববর্তী সালিহীন আলিমগণ এই ব্যাপারে একমত হয়েছেন যে— মানুষের অন্তরের কাঙ্ক্ষিত ও চূড়ান্ত সফলতার সবচেয়ে উঁচু স্তর হচ্ছে, রবের নৈকট্য লাভ করা। আর মহান রবের নৈকট্য কেবল গুনাহমুক্ত সুস্থ ও পবিত্র অন্তরের অধিকারীদের ক্ষেত্রেই সম্ভব। মানুষ তার মনের বিপরীতে রবের পথে চলার দ্বারাই একটি গুনাহমুক্ত সুস্থ ও পবিত্র আত্মার অধিকারী হতে পারে। নফসের কামনা বাসনাই হল হৃদয়ের ব্যাধি। আর এই কামনা বাসনার বিপরীতে চলাই এই ব্যাধির প্রতিকার।
____
ইবনুল কাইয়িম (রাহিমাহুল্লাহ)
সূত্র : আল জাওয়াবুল কাফি
#ilmweb
____
ইবনুল কাইয়িম (রাহিমাহুল্লাহ)
সূত্র : আল জাওয়াবুল কাফি
#ilmweb
❤12
আজকের প্রশ্নের উত্তর হলো 'গ'। অর্থাৎ সায়মা দ্বীনের বিধানকে অপছন্দ করলে বা মেনে নিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলেই কুফর করত। সুস্পষ্ট কুফরি কথা ও কাজ ছাড়া কারও ওপর কুফরের হুকুম আরোপ করা যায় না। আসলে স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে অপছন্দ করা নারীর স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। এতে কুফরের কোনো সম্পর্ক নেই।
কুফরের হুকুম আরোপের ক্ষেত্রে আমাদের অনেকের মাঝেই প্রান্তিকতা দেখা যায়। যেমন লুযুমের (পরিণাম ) ভিত্তিতে কুফর বের করা। সে অমুক কথা বলেছে, সুতরাং এটা কুফর বোঝাচ্ছে, অতএব সে কাফির। অস্পষ্ট ও সন্দেহপূর্ণ বাক্য উচ্চারণের ক্ষেত্রে নিজে নিজে কিছু লাযিম (আবশ্যক পরিণতি নির্ধারণ) করা যাবে না। বাক্য উচ্চারণের কর্তা যা বোঝায়নি, তা নিজে নিজেই নির্দিষ্ট করা যাবে না। তবে কুফর যদি একবারে সুস্পষ্ট হয় তাহলে ভিন্ন কথা। অমুক এই কুফর করেছে আর অমুক কাফির, এ দুয়ের মাঝেও রয়েছে বিস্তর পার্থক্য। কুফর পাওয়া গেলেই সে কাফির, এমনো নয়। তাকফিরের (কাউকে কাফির বলা) বিভিন্ন শর্ত ও প্রতিবন্ধকতা বিদ্যমান। বিভিন্ন সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম বিষয় এতে জড়িত। নির্ভরযোগ্য উলামা কিরামের দায়িত্ব এই তাকফির। সার্বিকভাবে অ-আলিমের জন্য নিজ থেকে তাকফির আরোপ জায়িয নেই। সবার উচিত হকপন্থী আলিমদের শরণাপন্ন হওয়া।
স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে মানতে না-পারা, দ্বিতীয় বিয়েতে বাধাপ্রদান ইত্যাদি বিষয়ে যথেষ্ট ব্যাখ্যা ও কারণের অবকাশ রয়েছে। তাই, এসব বিষয়ে কুফরের হুকুম আরোপে খুবই সতর্কতা কাম্য। তালিবুল ইলম ভাইদেরও এসব ব্যাপারে অত্যন্ত সচেতন থাকা প্রয়োজন। কোনো ধরনের আবেগ বা জযবায় প্রভাবিত হওয়া যাবে না।
__
[ নিরীক্ষণ : উসতায শাইখুল ইসলাম ]
#ilmweb
কুফরের হুকুম আরোপের ক্ষেত্রে আমাদের অনেকের মাঝেই প্রান্তিকতা দেখা যায়। যেমন লুযুমের (পরিণাম ) ভিত্তিতে কুফর বের করা। সে অমুক কথা বলেছে, সুতরাং এটা কুফর বোঝাচ্ছে, অতএব সে কাফির। অস্পষ্ট ও সন্দেহপূর্ণ বাক্য উচ্চারণের ক্ষেত্রে নিজে নিজে কিছু লাযিম (আবশ্যক পরিণতি নির্ধারণ) করা যাবে না। বাক্য উচ্চারণের কর্তা যা বোঝায়নি, তা নিজে নিজেই নির্দিষ্ট করা যাবে না। তবে কুফর যদি একবারে সুস্পষ্ট হয় তাহলে ভিন্ন কথা। অমুক এই কুফর করেছে আর অমুক কাফির, এ দুয়ের মাঝেও রয়েছে বিস্তর পার্থক্য। কুফর পাওয়া গেলেই সে কাফির, এমনো নয়। তাকফিরের (কাউকে কাফির বলা) বিভিন্ন শর্ত ও প্রতিবন্ধকতা বিদ্যমান। বিভিন্ন সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম বিষয় এতে জড়িত। নির্ভরযোগ্য উলামা কিরামের দায়িত্ব এই তাকফির। সার্বিকভাবে অ-আলিমের জন্য নিজ থেকে তাকফির আরোপ জায়িয নেই। সবার উচিত হকপন্থী আলিমদের শরণাপন্ন হওয়া।
স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে মানতে না-পারা, দ্বিতীয় বিয়েতে বাধাপ্রদান ইত্যাদি বিষয়ে যথেষ্ট ব্যাখ্যা ও কারণের অবকাশ রয়েছে। তাই, এসব বিষয়ে কুফরের হুকুম আরোপে খুবই সতর্কতা কাম্য। তালিবুল ইলম ভাইদেরও এসব ব্যাপারে অত্যন্ত সচেতন থাকা প্রয়োজন। কোনো ধরনের আবেগ বা জযবায় প্রভাবিত হওয়া যাবে না।
__
[ নিরীক্ষণ : উসতায শাইখুল ইসলাম ]
#ilmweb
👍3🥰3
‘আপনি কি তাদেরকে দেখেননি যারা দাবি করে, আপনার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে এবং আপনার আগে যা অবতীর্ণ হয়েছে হয়েছে, সে বিষয়ের ওপর তারা ইমান এনেছে। তারা বিরোধীয় বিষয়কে তাগূতের দিকে নিয়ে যেতে চায়, অথচ তাদের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়েছে তারা যেন একে অস্বীকার করে। পক্ষান্তরে শয়তান তাদেরকে প্রতারিত করে পথভ্রষ্ট করে ফেলতে চায়।’
[ সুরা আন-নিসা, ৪ : ৬০ ]
#ilmweb
[ সুরা আন-নিসা, ৪ : ৬০ ]
#ilmweb
❤3👍2🤬1