বিয়েতে রয়েছে যিম্মাদারি ও অভিভাবকত্বের মাধ্যমে নাফসের বিরুদ্ধে মুজাহাদা (সংগ্রাম) এবং নাফসের রিয়াযাত (তরবিয়াত)। আরও রয়েছে পরিবারের হক আদায়, স্ত্রীর আচরণে ধৈর্যধারণ ও তাদের ক্ষতি মেনে নেয়া, তাদের সংশোধনের চেষ্টা, দ্বীনের পথ দেখানো, তাদের জন্য হালাল উপার্জন এবং সন্তানপ্রতিপালনের উপকারিতা। এ সবগুলো খুবই প্রশংসনীয় কাজ। এগুলোতে যিম্মাদারি ও অভিভাবকত্বের সমন্বয় ঘটে। অভিভাবকত্ব অনেক ফযিলতপূর্ণ কাজ।
যদি কেউ আশঙ্কা করে সে যথাযথভাবে বিয়ের হক আদায় করতে পারবে না, কেবল তখনই বিয়ে থেকে বিরত থাকা উচিত। স্ত্রী-সন্তানের ভারবহন করা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদতুল্য।
নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘একটি দিনার তুমি আল্লাহর পথে ব্যয় করলে, একটি দিনার গোলাম আযাদ করার জন্য ও একটি দিনার মিসকিনদের দান করলে এবং আরেকটি দিনার তোমার পরিবারের জন্য ব্যয় করলে। এর মধ্যে ওই দিনারটিই উত্তম, যা তুমি পরিবারের লোকদের জন্য ব্যয় করেছ।’
[সহিহ মুসলিম, হাদিস নং : ৯৯৫]
____
ইমাম ইবনু কুদামাহ আল-মাকদিসি
বই : চরিত্রশুদ্ধি
যদি কেউ আশঙ্কা করে সে যথাযথভাবে বিয়ের হক আদায় করতে পারবে না, কেবল তখনই বিয়ে থেকে বিরত থাকা উচিত। স্ত্রী-সন্তানের ভারবহন করা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদতুল্য।
নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘একটি দিনার তুমি আল্লাহর পথে ব্যয় করলে, একটি দিনার গোলাম আযাদ করার জন্য ও একটি দিনার মিসকিনদের দান করলে এবং আরেকটি দিনার তোমার পরিবারের জন্য ব্যয় করলে। এর মধ্যে ওই দিনারটিই উত্তম, যা তুমি পরিবারের লোকদের জন্য ব্যয় করেছ।’
[সহিহ মুসলিম, হাদিস নং : ৯৯৫]
____
ইমাম ইবনু কুদামাহ আল-মাকদিসি
বই : চরিত্রশুদ্ধি
❤16
❝তুমি এমন এক সময়ে বসবাস করছ যে সময়ে বসবাস করা থেকে নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাহাবাগণ (রাদিয়াল্লাহু আনহুম) পানাহ চাইতেন। অবশ্যই দ্বীন এর যেকোনো ব্যাপারে তারা আমাদের চাইতে ভাল বুঝতেন। দ্বীন এর ব্যাপারে অন্যান্যদের মতামতের চাইতে তাদের মতামত আমাদের কাছে অগ্রগণ্য। ভাববার বিষয় হল সাহাবাগণ (রাদিয়াল্লাহু আনহুম) যে সময়টাকে অপছন্দ করতেন সে সময়ে আমরা যারা অবস্থান করছি তাদের কী অবস্থা? যেখানে আমাদের সাহাবাদের (রাদিয়াল্লাহু আনহু) তুলনায় জ্ঞান কম, ধৈর্য কম, ভাল কাজে সাহায্যকারী কম, মানুষের মধ্যে মহামারীর মত দুর্নীতির বিস্তার সর্বোপরি একটি ভয়াবহ দূষণযুক্ত পৃথিবীতে আমাদের বসবাস করতে হচ্ছে। তোমার প্রতি নসীহা হচ্ছে দ্বীনের সঠিক ও মূল রাস্তাটি খুঁজে নাও এবং একে আঁকড়ে ধরে রাখ।❞
___
ইমাম সুফিয়ান আস-সাওরী রাহ. [ আব্বাদ ইবন আব্বাদ আল খাওয়াস আল-আরসুফির প্রতি এক চিঠিতে লিখা উপদেশ ]
#ilmweb
___
ইমাম সুফিয়ান আস-সাওরী রাহ. [ আব্বাদ ইবন আব্বাদ আল খাওয়াস আল-আরসুফির প্রতি এক চিঠিতে লিখা উপদেশ ]
#ilmweb
😢9❤3👍1
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমি যদি কাউকে সিজদাহ করার আদেশ দিতাম, তাহলে নারীদের আদেশ করতাম যেন তারা তাদের স্বামীকে সিজদাহ করে।’ [ সুনানুত তিরমিযি, ১১৫৯; সুনানু আবি দাউদ, ২১৪০ ]
এর কারণ স্বামীর প্রতি স্ত্রীর অসামান্য দায়িত্ব। এ বিষয়ে অনেক হাদিস আছে, যা স্ত্রীর ওপর স্বামীর অধিকারের প্রতি গুরুত্বারোপ করে। স্ত্রীর ওপর স্বামীর অধিকার তো অনেক, কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো দুটো—১. ঢেকে রাখা ও হিফাযত করা এবং ২. তুষ্ট থাকা।
সালাফযুগের নারীরা এমনই ছিলেন। তাঁরা ঘর থেকে বের হওয়ার সময় স্ত্রীরা বলতেন—‘হারাম উপার্জনের ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন। আমরা ক্ষুধা সহ্য করতে পারব কিন্তু জাহান্নামের আগুন সহ্য করতে পারব না।’
স্ত্রী যেন কোনোভাবেই স্বামীর সম্পদের ব্যাপারে অবহেলা না-দেখায়। স্বামীর অনুমতিক্রমে কাউকে খাওয়ালে সে তার সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে। তবে অনুমতি ছাড়া খাওয়ালে স্বামী সাওয়াব পাবে, কিন্তু সে গুনাহগার হবে।
এর কারণ স্বামীর প্রতি স্ত্রীর অসামান্য দায়িত্ব। এ বিষয়ে অনেক হাদিস আছে, যা স্ত্রীর ওপর স্বামীর অধিকারের প্রতি গুরুত্বারোপ করে। স্ত্রীর ওপর স্বামীর অধিকার তো অনেক, কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো দুটো—১. ঢেকে রাখা ও হিফাযত করা এবং ২. তুষ্ট থাকা।
সালাফযুগের নারীরা এমনই ছিলেন। তাঁরা ঘর থেকে বের হওয়ার সময় স্ত্রীরা বলতেন—‘হারাম উপার্জনের ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন। আমরা ক্ষুধা সহ্য করতে পারব কিন্তু জাহান্নামের আগুন সহ্য করতে পারব না।’
স্ত্রী যেন কোনোভাবেই স্বামীর সম্পদের ব্যাপারে অবহেলা না-দেখায়। স্বামীর অনুমতিক্রমে কাউকে খাওয়ালে সে তার সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে। তবে অনুমতি ছাড়া খাওয়ালে স্বামী সাওয়াব পাবে, কিন্তু সে গুনাহগার হবে।
❤2