↑↑
বিয়ের আগে বাবা-মায়ের উচিত মেয়েকে শৃঙ্খলা শিক্ষা দেয়া, যাতে স্বামীর সাথে কীভাবে মানিয়ে চলতে হবে সে সম্পর্কে জানতে পারে। নারীকে বাড়ির অভ্যন্তরে তার চরকার কাঠি নিয়ে অবস্থান করা উচিত। প্রতিবেশীদের সাথে বেশি কথাবার্তা না-বলা এবং স্বামীর অনুপস্থিতিতে বেশ ভালো রকমের দূরত্ব বজায় রাখা উচিত। তাকে অবশ্যই স্বামীর উপস্থিতি-অনুপস্থিতিতে তার দেখভাল করা এবং সবসময় তাকে খুশি রাখার চেষ্টা করতে হবে। নিজের ব্যাপারে অথবা স্বামীর সম্পদের ব্যাপারে কখনোই ছলচাতুরি করা যাবে না এবং স্বামীর অপছন্দনীয় ব্যক্তি অথবা তার অনুমতি ছাড়া কাউকেই ঘরে ঢুকতে দেবে না। সে যেন তার নিজের হালত নিয়ে চিন্তিত থাকে এবং পরিবারের দেখাশোনার মাধ্যমে সাধ্যমতো ঘরের পরিচর্যা করে। নিজের হক ও সব আত্মীয়-স্বজনের হকের চেয়ে স্বামীর হককে বেশি প্রাধান্য দেয়া উচিত
____
ইমাম ইবনু কুদামাহ আল-মাকদিসি
বই : চরিত্রশুদ্ধি
প্রকাশনা বিভাগ, ইলমওয়েব
বিয়ের আগে বাবা-মায়ের উচিত মেয়েকে শৃঙ্খলা শিক্ষা দেয়া, যাতে স্বামীর সাথে কীভাবে মানিয়ে চলতে হবে সে সম্পর্কে জানতে পারে। নারীকে বাড়ির অভ্যন্তরে তার চরকার কাঠি নিয়ে অবস্থান করা উচিত। প্রতিবেশীদের সাথে বেশি কথাবার্তা না-বলা এবং স্বামীর অনুপস্থিতিতে বেশ ভালো রকমের দূরত্ব বজায় রাখা উচিত। তাকে অবশ্যই স্বামীর উপস্থিতি-অনুপস্থিতিতে তার দেখভাল করা এবং সবসময় তাকে খুশি রাখার চেষ্টা করতে হবে। নিজের ব্যাপারে অথবা স্বামীর সম্পদের ব্যাপারে কখনোই ছলচাতুরি করা যাবে না এবং স্বামীর অপছন্দনীয় ব্যক্তি অথবা তার অনুমতি ছাড়া কাউকেই ঘরে ঢুকতে দেবে না। সে যেন তার নিজের হালত নিয়ে চিন্তিত থাকে এবং পরিবারের দেখাশোনার মাধ্যমে সাধ্যমতো ঘরের পরিচর্যা করে। নিজের হক ও সব আত্মীয়-স্বজনের হকের চেয়ে স্বামীর হককে বেশি প্রাধান্য দেয়া উচিত
____
ইমাম ইবনু কুদামাহ আল-মাকদিসি
বই : চরিত্রশুদ্ধি
প্রকাশনা বিভাগ, ইলমওয়েব
❤18🥰1
[] জুমাবারে করণীয় দশটি আমল :
জুমার সালাত সম্মিলিত ইবাদত। এ দিনে করণীয় :
১. নখ কাটা
২. সুরা কাহফ তিলাওয়াত করা
৩. দুয়া করা
৪. গোসল করা
৫. পরিচ্ছন্ন হওয়া, উত্তম কাপড় পরা, মিসওয়াক করা এবং সুগন্ধি ব্যবহার করা
৬. আগে আগে মসজিদে যাওয়া
৭. জুমার সালাত আদায় করা
৮. রাসুলের ওপর প্রচুর দরুদ পড়া
৯. মসজিদে হেঁটে যাওয়া
১০. মনোযোগসহ কান লাগিয়ে জুমার খুতবা শোনা।
#ilmweb
জুমার সালাত সম্মিলিত ইবাদত। এ দিনে করণীয় :
১. নখ কাটা
২. সুরা কাহফ তিলাওয়াত করা
৩. দুয়া করা
৪. গোসল করা
৫. পরিচ্ছন্ন হওয়া, উত্তম কাপড় পরা, মিসওয়াক করা এবং সুগন্ধি ব্যবহার করা
৬. আগে আগে মসজিদে যাওয়া
৭. জুমার সালাত আদায় করা
৮. রাসুলের ওপর প্রচুর দরুদ পড়া
৯. মসজিদে হেঁটে যাওয়া
১০. মনোযোগসহ কান লাগিয়ে জুমার খুতবা শোনা।
#ilmweb
❤16
■ আমাদের আকিদাহ
সিফাতের ক্ষেত্রে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের মাযহাবই আমাদের মাযহাব। এ ব্যাপারে আমরা সালাফদের আকিদাহই গ্রহণ করেছি। যার সারমর্ম হলো, কোনো প্রকার তাওয়িল (দূরবর্তী ব্যাখ্যা), তাতিল (নিষ্ক্রিয়করণ), তাহরিফ (বিকৃতি), তাকয়িফ (ধরন-নির্ধারণ) তামসিল (সাদৃশ্যকরণ) ছাড়াই আল্লাহর সুমহান গুণসহ তাঁর নাম একমাত্র তাঁর জন্যই সাব্যস্ত করা। আমাদের বিশ্বাস, সালাফরা গুণগুলো সাব্যস্ত করতেন, তাফউইদ (সিফাতের অর্থ না-জানার দাবি, অর্থাৎ সিফাতের অর্থ আল্লাহর কাছে ন্যস্তকরণ) করতেন না। আমরা বিশ্বাস করি, তাঁরা আল্লাহর নাম ও গুণাবলিকে মুতাশাবিহ (অস্পষ্ট বা দ্ব্যর্থবোধক) মনে করতেন না; বরং তাঁরা ওগুলোর অর্থ জানতেন, কিন্তু ধরন নিয়ে প্রশ্ন করতেন না। আমরা এ ব্যাপারে ওই কথাই বলব, যা ইমাম মালিক (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন,
'ইসতিওয়া (আরশের ওপর সমুন্নত হওয়া) জানা বিষয়, তবে ধরন অজ্ঞাত। এর প্রতি ইমান আনা ওয়াজিব, প্রশ্ন করা বিদআত।
____
শাইখ ড. আবদুল্লাহ আযযাম
বই : আকিদাহর পরিশুদ্ধি
সিফাতের ক্ষেত্রে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের মাযহাবই আমাদের মাযহাব। এ ব্যাপারে আমরা সালাফদের আকিদাহই গ্রহণ করেছি। যার সারমর্ম হলো, কোনো প্রকার তাওয়িল (দূরবর্তী ব্যাখ্যা), তাতিল (নিষ্ক্রিয়করণ), তাহরিফ (বিকৃতি), তাকয়িফ (ধরন-নির্ধারণ) তামসিল (সাদৃশ্যকরণ) ছাড়াই আল্লাহর সুমহান গুণসহ তাঁর নাম একমাত্র তাঁর জন্যই সাব্যস্ত করা। আমাদের বিশ্বাস, সালাফরা গুণগুলো সাব্যস্ত করতেন, তাফউইদ (সিফাতের অর্থ না-জানার দাবি, অর্থাৎ সিফাতের অর্থ আল্লাহর কাছে ন্যস্তকরণ) করতেন না। আমরা বিশ্বাস করি, তাঁরা আল্লাহর নাম ও গুণাবলিকে মুতাশাবিহ (অস্পষ্ট বা দ্ব্যর্থবোধক) মনে করতেন না; বরং তাঁরা ওগুলোর অর্থ জানতেন, কিন্তু ধরন নিয়ে প্রশ্ন করতেন না। আমরা এ ব্যাপারে ওই কথাই বলব, যা ইমাম মালিক (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন,
'ইসতিওয়া (আরশের ওপর সমুন্নত হওয়া) জানা বিষয়, তবে ধরন অজ্ঞাত। এর প্রতি ইমান আনা ওয়াজিব, প্রশ্ন করা বিদআত।
____
শাইখ ড. আবদুল্লাহ আযযাম
বই : আকিদাহর পরিশুদ্ধি
❤4
❝সিরিয়াসহ বিভিন্ন দেশে আহলুস সুন্নাহর বিরুদ্ধে ইরানের রাফিদি শিয়াদের ভয়ংকর অপরাধের ব্যাপারে আমি অবগত। আমি তাদের ঘৃণা করি। তবে আমার এই শত্রুতা যেন সেই অকর্মা আরবদের মতো মনে না করা হয়, যাদের একমাত্র কৃতিত্ব সুন্দর ছাগলের প্রতিযোগিতায় জেতা আর কাবাব খাওয়া। যেখানে অন্যান্য জাতি শক্তি অর্জন আর মুক্তির পথে এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানে তারা কেবল পশ্চিমাদের গোলামিতে রত।❞
____
শাইখ আসিম আল-বারকাওয়ি (হাফিযাহুল্লাহ)
____
শাইখ আসিম আল-বারকাওয়ি (হাফিযাহুল্লাহ)
👍9
আল্লাহওয়ালা, মুত্তাকি ও সত্যপন্থী আলিম কোনো দল বা ব্যক্তিকে কাফির বললে সেটি প্রচার করাতে সমস্যা নেই। বরং ক্ষেত্রবিশেষে সেটি ইমান ও তাওহিদেরই দাবি। মনে রাখতে হবে তাকফির একটি শরয়ি হুকুম। শরিয়াহ বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গের দায়িত্ব ও কাজ এটি।
____
বই : কিশোর তাওহিদ শিক্ষা [‘মিম্বারুত তাওহিদ’ সংকলিত]
পুনঃসংকলন, সংযোজন ও বিন্যাস : তাইব হোসেন
____
বই : কিশোর তাওহিদ শিক্ষা [‘মিম্বারুত তাওহিদ’ সংকলিত]
পুনঃসংকলন, সংযোজন ও বিন্যাস : তাইব হোসেন
👍7
■ আহলুল বাইত ও সাহাবা কিরাম
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ভালোবাসায় তাঁর পবিত্র আহলুল বাইত (পরিবারবর্গ), তাঁর সাহাবি এবং কিয়ামাত পর্যন্ত যারা তাঁর অনুসরণ করবে ও সাহায্য করবে তাঁদের ভালোবাসি। আমরা তাঁদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করি এবং তাঁদের কারও সাথেই বারাআত (সম্পর্কচ্ছেদ) করি না, বরং যারা তাঁদের ঘৃণা করে এবং বাজেভাবে নাম নেয় আমরা ওদেরকে ঘৃণা করি। আর কেবল উত্তমের সাথেই তাঁদের স্মরণ করি। আমাদের কাছে তাঁদের প্রতি ভালোবাসা হচ্ছে দ্বীন, ইমান ও ইহসান। এর মাধ্যমে আমরা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করে থাকি। তাঁদের ব্যাপারে নিজেদের অন্তর ও জিহ্বাকে পরিষ্কার রাখার মাধ্যমে বিদআতিদের থেকে আমরা নিজেদের পৃথক করি।
____
শাইখ আসিম আল-বারকাওয়ি
বই : আমাদের আকিদাহ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ভালোবাসায় তাঁর পবিত্র আহলুল বাইত (পরিবারবর্গ), তাঁর সাহাবি এবং কিয়ামাত পর্যন্ত যারা তাঁর অনুসরণ করবে ও সাহায্য করবে তাঁদের ভালোবাসি। আমরা তাঁদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করি এবং তাঁদের কারও সাথেই বারাআত (সম্পর্কচ্ছেদ) করি না, বরং যারা তাঁদের ঘৃণা করে এবং বাজেভাবে নাম নেয় আমরা ওদেরকে ঘৃণা করি। আর কেবল উত্তমের সাথেই তাঁদের স্মরণ করি। আমাদের কাছে তাঁদের প্রতি ভালোবাসা হচ্ছে দ্বীন, ইমান ও ইহসান। এর মাধ্যমে আমরা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করে থাকি। তাঁদের ব্যাপারে নিজেদের অন্তর ও জিহ্বাকে পরিষ্কার রাখার মাধ্যমে বিদআতিদের থেকে আমরা নিজেদের পৃথক করি।
____
শাইখ আসিম আল-বারকাওয়ি
বই : আমাদের আকিদাহ
❤5
■ ওজরে যালিম শাসকের কাছে যাওয়া
সায়িদ ইবনুল মুসাইয়াবকে একবার আবদুল মালিকের দুই পুত্র আল-ওয়ালিদ ও সুলাইমানকে বাইয়াত দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি বলেন—যতদিন দিনরাতের আবর্তন হবে আমি (একই সময়ে) দুজনকে বাইয়াত দেবো না। তারা বলল—আপনি এই দরজা দিয়ে প্রবেশ করে পরের দরজা দিয়ে বের হয়ে যান! কিন্তু তিনি বললেন—‘না, ওয়াল্লাহি, আমি কাউকে এভাবে আমার অনুসরণ করতে দেবো না।’ ফলে তাঁকে একশো চাবুক মারা হয় আর খসখসে পশমি কাপড় পরানো হয়।
উপর্যুক্ত ঘটনার আলোকে বলা যায়, শাসকের কাছে গমনের মাত্র দুটো ওজর :
১. তারা কাউকে ডেকে পাঠায় এবং যেতে অস্বীকার করলে তাদের দ্বারা ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।
২. একজন মুসলিমের ওপর যুলম বন্ধ করতে তাদের কাছে যায়। এক্ষেত্রে শর্ত হলো, সে মিথ্যা বলতে পারবে না, তাদের প্রশংসা করবে না এবং যদি মনে হয় তারা নসিহা গ্রহণ করবে তবে নসিহা দিতে কালক্ষেপণ করবে না। এই হলো শাসকের কাছে গমনের সব নিয়ম-নীতি।
____
ইমাম ইবনু কুদামাহ আল-মাকদিসি
বই : চরিত্রশুদ্ধি
সায়িদ ইবনুল মুসাইয়াবকে একবার আবদুল মালিকের দুই পুত্র আল-ওয়ালিদ ও সুলাইমানকে বাইয়াত দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি বলেন—যতদিন দিনরাতের আবর্তন হবে আমি (একই সময়ে) দুজনকে বাইয়াত দেবো না। তারা বলল—আপনি এই দরজা দিয়ে প্রবেশ করে পরের দরজা দিয়ে বের হয়ে যান! কিন্তু তিনি বললেন—‘না, ওয়াল্লাহি, আমি কাউকে এভাবে আমার অনুসরণ করতে দেবো না।’ ফলে তাঁকে একশো চাবুক মারা হয় আর খসখসে পশমি কাপড় পরানো হয়।
উপর্যুক্ত ঘটনার আলোকে বলা যায়, শাসকের কাছে গমনের মাত্র দুটো ওজর :
১. তারা কাউকে ডেকে পাঠায় এবং যেতে অস্বীকার করলে তাদের দ্বারা ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।
২. একজন মুসলিমের ওপর যুলম বন্ধ করতে তাদের কাছে যায়। এক্ষেত্রে শর্ত হলো, সে মিথ্যা বলতে পারবে না, তাদের প্রশংসা করবে না এবং যদি মনে হয় তারা নসিহা গ্রহণ করবে তবে নসিহা দিতে কালক্ষেপণ করবে না। এই হলো শাসকের কাছে গমনের সব নিয়ম-নীতি।
____
ইমাম ইবনু কুদামাহ আল-মাকদিসি
বই : চরিত্রশুদ্ধি
❤8👍1
সময়টা হিজরীর অষ্টম বছর। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববীতে বসে আছেন। হঠাৎ করে একটি ১০ থেকে ১৫ জনের বেদুঈন প্রতিনিধিদল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে দেখা করতে আসলেন। তারা মূলত ছিলেন আব্দুল কায়েস গোত্রের লোক, যারা বাহরাইন থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে দেখা দেখা করতে এসেছেন। আর এই গোত্রটি এমন একটি গোত্র যাদের কাছে ইসলামের দাওয়াত দিতে কখনও কাওকে আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনুষ্ঠানিক ভাবে পাঠাননি। তারা অনেকটা লোকমুখে শুনেই ইসলাম গ্রহণ করেছিল। আর ইসলাম গ্রহণ করার পরেই তারা মূলত আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে দেখা করতে মদিনায় এসেছেন।
যেহেতু তারা প্রথমবারের মতো আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে দেখা করতে এসেছেন তাই তারা খুবই আগ্রহী এবং উচ্ছসিত ছিলেন। তাদের অবস্থা এমন ছিল যে, তারা মসজিদে নববীর কাছে এসে তাদের উট গুলোকে না বেধেই, কাপড় পরিবর্তন না করে এবং হাত মুখ না ধুয়েই মসজিদে নববিতে ঢুকে গেলেন। এবং এক প্রকার তাড়াহুড়ো করে সবাই একসাথে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে দেখা করলেন। যেহেতু তারা বেদুঈন ছিল তাই তাদের আচরণ কিছুটা এমনই বলা যায়।
কিন্তু এর মধ্যে একজন ছিলেন ব্যতিক্রম। তার নাম হল, আল- আশাজ্জ যিনি মূলত আব্দুল কায়েস আল- আশাজ্জ নামেই পরিচিত। তিনি আর সবার মত তাড়াহুড়ো করেননি। তিনি প্রথমে তার উটটিকে ভালোভাবে বাঁধলেন, তারপর গোসল করলেন, অন্য আরেকটি জামা পড়লেন, যেই জামাটি তিনি শুধুমাত্র এইজন্যই এনেছিলেন যে, এটি পরে তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে দেখা করবেন। তারপর আতর লাগলেন এবং মসজিদে নববীতে প্রবেশ করে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে দেখা করলেন। তিনি যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে কথা বলছিলেন তখনও তিনি যেই প্রশ্নগুলো করছিলেন সেগুলোও ছিল অন্যদের তুলনায় একটু গোছানো এবং হেকমত পূর্ণ। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন:
"إِنَّ فِيكَ خَلَّتَيْنِ يُحِبُّهُمَا اللَّهُ الْحِلْمُ وَالأَنَاةُ " . قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَا أَتَخَلَّقُ بِهِمَا أَمِ اللَّهُ جَبَلَنِي عَلَيْهِمَا قَالَ " بَلِ اللَّهُ جَبَلَكَ عَلَيْهِمَا " . قَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي جَبَلَنِي عَلَى خَلَّتَيْنِ يُحِبُّهُمَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ
"তোমার মধ্যে দুটি উত্তম স্বভাব রয়েছে যা আল্লাহ পছন্দ করেন: ধৈর্য ও ধীর-স্থিরতা। তিনি বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমিই কি এ অভ্যাস গড়ে তুলেছি, না আল্লাহ আমাকে এ দুটি অভ্যাসের উপর সৃ্ষ্টি করেছেন? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আল্লাহই তোমাকে এ দুটি স্বভাবের উপর সৃষ্টি করেছেন। তখন তিনি বললেন, কৃতজ্ঞতা আদায় করছি সেই আল্লাহর যিনি আমাকে এমন দু’টি স্বভাবের উপর সৃষ্টি করেছেন, যাকে স্বয়ং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল পছন্দ করেন।" [১]
যদিও এখানে বাংলায় 'الْحِلْمُ وَالأَنَاةُ' এর অর্থ ধৈর্য ও ধীর-স্থিরতা করা হয়েছে। কিন্তু মূলত এই দুটি শব্দের অর্থ ব্যাপক। কোনো কাজ চিন্তাভাবনা করে করা, সঠিক সময়ে সঠিক কথা সঠিকভাবে বলা, নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রন করা এবং প্রজ্ঞাসহকারে যেকোনো কাজ করা ইত্যাদি বিষয়গুলোও এই দুইটি শব্দ দ্বারা বোঝায়।
তাই আমরা মহান আল্লাহ তাআলার কাছে বিনীতভাবে দোয়া করি, তিনি যেন আমাদের সকলকে এই উত্তম গুণ দুটি দান করেন। যা স্বয়ং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল পছন্দ করেন।
______
১. সুনানে আবু দাউদ, ৫২২৫| মুসনাদে আহমাদ ১৭৩৭৩|
যেহেতু তারা প্রথমবারের মতো আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে দেখা করতে এসেছেন তাই তারা খুবই আগ্রহী এবং উচ্ছসিত ছিলেন। তাদের অবস্থা এমন ছিল যে, তারা মসজিদে নববীর কাছে এসে তাদের উট গুলোকে না বেধেই, কাপড় পরিবর্তন না করে এবং হাত মুখ না ধুয়েই মসজিদে নববিতে ঢুকে গেলেন। এবং এক প্রকার তাড়াহুড়ো করে সবাই একসাথে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে দেখা করলেন। যেহেতু তারা বেদুঈন ছিল তাই তাদের আচরণ কিছুটা এমনই বলা যায়।
কিন্তু এর মধ্যে একজন ছিলেন ব্যতিক্রম। তার নাম হল, আল- আশাজ্জ যিনি মূলত আব্দুল কায়েস আল- আশাজ্জ নামেই পরিচিত। তিনি আর সবার মত তাড়াহুড়ো করেননি। তিনি প্রথমে তার উটটিকে ভালোভাবে বাঁধলেন, তারপর গোসল করলেন, অন্য আরেকটি জামা পড়লেন, যেই জামাটি তিনি শুধুমাত্র এইজন্যই এনেছিলেন যে, এটি পরে তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে দেখা করবেন। তারপর আতর লাগলেন এবং মসজিদে নববীতে প্রবেশ করে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে দেখা করলেন। তিনি যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে কথা বলছিলেন তখনও তিনি যেই প্রশ্নগুলো করছিলেন সেগুলোও ছিল অন্যদের তুলনায় একটু গোছানো এবং হেকমত পূর্ণ। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন:
"إِنَّ فِيكَ خَلَّتَيْنِ يُحِبُّهُمَا اللَّهُ الْحِلْمُ وَالأَنَاةُ " . قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَا أَتَخَلَّقُ بِهِمَا أَمِ اللَّهُ جَبَلَنِي عَلَيْهِمَا قَالَ " بَلِ اللَّهُ جَبَلَكَ عَلَيْهِمَا " . قَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي جَبَلَنِي عَلَى خَلَّتَيْنِ يُحِبُّهُمَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ
"তোমার মধ্যে দুটি উত্তম স্বভাব রয়েছে যা আল্লাহ পছন্দ করেন: ধৈর্য ও ধীর-স্থিরতা। তিনি বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমিই কি এ অভ্যাস গড়ে তুলেছি, না আল্লাহ আমাকে এ দুটি অভ্যাসের উপর সৃ্ষ্টি করেছেন? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আল্লাহই তোমাকে এ দুটি স্বভাবের উপর সৃষ্টি করেছেন। তখন তিনি বললেন, কৃতজ্ঞতা আদায় করছি সেই আল্লাহর যিনি আমাকে এমন দু’টি স্বভাবের উপর সৃষ্টি করেছেন, যাকে স্বয়ং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল পছন্দ করেন।" [১]
যদিও এখানে বাংলায় 'الْحِلْمُ وَالأَنَاةُ' এর অর্থ ধৈর্য ও ধীর-স্থিরতা করা হয়েছে। কিন্তু মূলত এই দুটি শব্দের অর্থ ব্যাপক। কোনো কাজ চিন্তাভাবনা করে করা, সঠিক সময়ে সঠিক কথা সঠিকভাবে বলা, নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রন করা এবং প্রজ্ঞাসহকারে যেকোনো কাজ করা ইত্যাদি বিষয়গুলোও এই দুইটি শব্দ দ্বারা বোঝায়।
তাই আমরা মহান আল্লাহ তাআলার কাছে বিনীতভাবে দোয়া করি, তিনি যেন আমাদের সকলকে এই উত্তম গুণ দুটি দান করেন। যা স্বয়ং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল পছন্দ করেন।
______
১. সুনানে আবু দাউদ, ৫২২৫| মুসনাদে আহমাদ ১৭৩৭৩|
❤19👍1🔥1