দয়িফ হাদিস কি আমলযোগ্য?
— উসতায শাইখুল ইসলাম (হাফিযাহুল্লাহ) || ilmweb Publishing
ইউটিউব : https://youtu.be/Grq7BiO-bv4
— উসতায শাইখুল ইসলাম (হাফিযাহুল্লাহ) || ilmweb Publishing
ইউটিউব : https://youtu.be/Grq7BiO-bv4
বান্দার ওপর আল্লাহর হক এই মহান তাওহিদের ফলাফল
১. মুয়ায ইবনু জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহুর হাদিস মোতাবেক মুওয়াহহিদ এই তাওহিদে বিশ্বাস করে তাঁর রবের জান্নাত লাভ করে এবং জাহান্নাম থেকে নাজাত (নিষ্কৃতি) পায়।
২. এই তাওহিদ শিক্ষার মাধ্যমে রবের সিফাতের পরিপূর্ণতা ও মর্যাদা সম্পর্কে জেনে তাঁকে উপযুক্ত সম্মান ও মর্যাদা দেয়া সম্ভব হয়। সেই সাথে তাশবিহ ও তামসিল থেকে তাঁকে মুক্ত ঘোষণা করে তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করা যায়।
৩. যারা আল্লাহর বহু সমকক্ষ গ্রহণ করেছে—ইবাদত, হুকুম ও আইনপ্রণয়নে আল্লাহর সাথে তাদেরকে শরিক করছে—তাদের মূর্খতা জানা যায়।
৪. যারা এগুলোর কোনোটিতে নিজেদেরকে আল্লাহর শরিক বানিয়েছে—অথচ তারা সৃষ্টিতে তাঁর সাথে শরিক ছিল না এবং না রাজত্ব, রিযকদান ও পরিচালনায় তাদের কোনো শরিকানা রয়েছে—তাদের পতন ও ধ্বংস সম্পর্কেও জানা যায়।
৫. এই তাওহিদের জ্ঞানের মাধ্যমে মানুষের নফস ও কলব সৃষ্টির দাসত্ব থেকে মুক্তি লাভ করে।
৬. বান্দা দুনিয়া ও আখিরাতে দৃঢ়পদ থাকে। যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অপরাপর শরিকের ইবাদত করে, তাদের কাছে দুআ করে এবং তাদের মাঝে নিজের ভয় ও প্রত্যাশাকে ভাগাভাগি করে দেয়, সে তো ওই ব্যক্তির মতো হতে পারে না, যে তার রবকে একক বলে বিশ্বাস করে। তার ভয় ও আশা, নিয়াত, ইচ্ছা ও ইবাদতকে শুধু তাঁর জন্যই নিবেদন করে।
ও আল্লাহ, ও ইসলাম ও মুসলিমদের অভিভাবক, আপনার সাক্ষাৎলাভের আগপর্যন্ত আপনার তাওহিদের ওপর অটল রাখুন।
____
শাইখ আসিম আল-বারকাওয়ি
[ আমাদের আকিদাহ ]
১. মুয়ায ইবনু জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহুর হাদিস মোতাবেক মুওয়াহহিদ এই তাওহিদে বিশ্বাস করে তাঁর রবের জান্নাত লাভ করে এবং জাহান্নাম থেকে নাজাত (নিষ্কৃতি) পায়।
২. এই তাওহিদ শিক্ষার মাধ্যমে রবের সিফাতের পরিপূর্ণতা ও মর্যাদা সম্পর্কে জেনে তাঁকে উপযুক্ত সম্মান ও মর্যাদা দেয়া সম্ভব হয়। সেই সাথে তাশবিহ ও তামসিল থেকে তাঁকে মুক্ত ঘোষণা করে তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করা যায়।
৩. যারা আল্লাহর বহু সমকক্ষ গ্রহণ করেছে—ইবাদত, হুকুম ও আইনপ্রণয়নে আল্লাহর সাথে তাদেরকে শরিক করছে—তাদের মূর্খতা জানা যায়।
৪. যারা এগুলোর কোনোটিতে নিজেদেরকে আল্লাহর শরিক বানিয়েছে—অথচ তারা সৃষ্টিতে তাঁর সাথে শরিক ছিল না এবং না রাজত্ব, রিযকদান ও পরিচালনায় তাদের কোনো শরিকানা রয়েছে—তাদের পতন ও ধ্বংস সম্পর্কেও জানা যায়।
৫. এই তাওহিদের জ্ঞানের মাধ্যমে মানুষের নফস ও কলব সৃষ্টির দাসত্ব থেকে মুক্তি লাভ করে।
৬. বান্দা দুনিয়া ও আখিরাতে দৃঢ়পদ থাকে। যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অপরাপর শরিকের ইবাদত করে, তাদের কাছে দুআ করে এবং তাদের মাঝে নিজের ভয় ও প্রত্যাশাকে ভাগাভাগি করে দেয়, সে তো ওই ব্যক্তির মতো হতে পারে না, যে তার রবকে একক বলে বিশ্বাস করে। তার ভয় ও আশা, নিয়াত, ইচ্ছা ও ইবাদতকে শুধু তাঁর জন্যই নিবেদন করে।
ও আল্লাহ, ও ইসলাম ও মুসলিমদের অভিভাবক, আপনার সাক্ষাৎলাভের আগপর্যন্ত আপনার তাওহিদের ওপর অটল রাখুন।
____
শাইখ আসিম আল-বারকাওয়ি
[ আমাদের আকিদাহ ]
বিয়েতে নারীর অভিভাবকের অনুমতি : একটি তাত্ত্বিক পর্যালোচনা
— উসতায শাইখুল ইসলাম (হাফিযাহুল্লাহ)
.
কোনো নারী একাকী বিয়ে করে নিলে ব্যভিচার বা জিনার অপবাদ দেয়া ইলমের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তির কাজ হতে পারে না। হাঁ, কোনো বিষয় বৈধ হলেই সেটা যে প্রশংসনীয়, তা নয়। যারা নারীর বিয়েতে অভিভাবকের অনুমতির শর্ত মানেন না, তাঁরাও কিন্তু অভিভাবক ছাড়া কোনো বিয়েকে উৎসাহিত করেন না; বরং একে সামাজিকভাবে খারাপ দৃষ্টিতেই দেখেন। এটাই কাম্য।
সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়তে ভিজিট করুন : https://ilmweb.net/অভিভাবকের-অনুমতি/
— উসতায শাইখুল ইসলাম (হাফিযাহুল্লাহ)
.
কোনো নারী একাকী বিয়ে করে নিলে ব্যভিচার বা জিনার অপবাদ দেয়া ইলমের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তির কাজ হতে পারে না। হাঁ, কোনো বিষয় বৈধ হলেই সেটা যে প্রশংসনীয়, তা নয়। যারা নারীর বিয়েতে অভিভাবকের অনুমতির শর্ত মানেন না, তাঁরাও কিন্তু অভিভাবক ছাড়া কোনো বিয়েকে উৎসাহিত করেন না; বরং একে সামাজিকভাবে খারাপ দৃষ্টিতেই দেখেন। এটাই কাম্য।
সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়তে ভিজিট করুন : https://ilmweb.net/অভিভাবকের-অনুমতি/
মানবজাতি যেসব দুরবস্থার শিকার হয়, মানুষের স্বভাব-প্রকৃতি যেসব দিকে প্রবাহিত হয়, জলে-স্থলে নিজেদের কৃতকর্মের ফলে যে ফাসাদের সৃষ্টি হয় এবং পৃথিবীর বুকে সর্বত্র যে দুঃখ-দুর্দশা মানুষের হৃদয়কে ক্ষত-বিক্ষত করে, এ সবকিছুর কারণ একটিই―মানুষের সৌভাগ্যের জন্য যে মৌলিক নীতিমালা দেয়া হয়েছিল, তা থেকে বের হয়ে যাওয়া। কিতাবুল্লাহর (কুরআন) কাছে সব বিচার-ফায়সালা ন্যস্ত করার মৌলনীতি ভুলে যাওয়া। সব বিষয়ের চাবিকাঠি এর মূল ও মালিক আল্লাহর কাছে হস্তান্তর না-করা।
لَهُ مَقَالِيدُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ
‘তাঁর কাছেই আসমান-জমিনের যাবতীয় বিষয়াবলির চাবিকাঠি।’
মানবজাতি যে দুঃখকষ্টের মোকাবেলা করছে, যেসব রোগে আক্রান্ত হয়েছে, এ সবকিছুর একমাত্র সমাধান মহান আল্লাহর এই কিতাবের মাঝেই রয়েছে। কিতাবুল্লাহর কাছে সমস্ত বিচার-ফায়সালা ন্যস্ত করা ঐচ্ছিক কোনো বিষয় নয়, বরং এরই নাম ইমান। আল্লাহর শরিয়াতের কাছে বিচার-ফায়সালা ন্যস্ত করা ছাড়া ইমান ও ইসলামের কোনোই গ্রহণযোগ্যতা নেই। এর অনুপস্থিতি মানে ইসলামেরই অনুপস্থিতি।
وَمَا كَانَ لِمُؤْمِنٍ وَلَا مُؤْمِنَةٍ إِذَا قَضَى اللهُ وَرَسُولُهُ أَمْرًا أَنْ يَكُونَ لَهُمُ الْخِيَرَةُ مِنْ أَمْرِهِمْ وَمَنْ يَعْصِ اللهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا مُبِينًا
‘আল্লাহ ও তাঁর রাসুল কোনো নির্দেশ-ফায়সালা দিলে কোনো মুমিন পুরুষ বা নারীর জন্য নিজেদের ব্যাপারে অন্য কিছু এখতিয়ার করার অধিকার থাকে না। আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে অমান্য করে, সে তো স্পষ্টই পথভ্রষ্ট হবে।’
وَيَقُولُونَ آمَنَّا بِاللهِ وَبِالرَّسُولِ وَأَطَعْنَا ثُمَّ يَتَوَلَّى فَرِيقٌ مِنْهُمْ مِنْ بَعْدِ ذَلِكَ وَمَا أُولَئِكَ بِالْمُؤْمِنِينَ
‘তারা বলে―আমরা আল্লাহ ও রাসুলের ওপর ইমান এনেছি, আনুগত্য করেছি।’ তারপর তাদের একদল মুখ ফিরিয়ে নেয়। আসলে তারা ইমানদার নয়।
____
শাইখ ড. আবদুল্লাহ আযযাম
[ আকিদাহর পরিশুদ্ধি ]
لَهُ مَقَالِيدُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ
‘তাঁর কাছেই আসমান-জমিনের যাবতীয় বিষয়াবলির চাবিকাঠি।’
মানবজাতি যে দুঃখকষ্টের মোকাবেলা করছে, যেসব রোগে আক্রান্ত হয়েছে, এ সবকিছুর একমাত্র সমাধান মহান আল্লাহর এই কিতাবের মাঝেই রয়েছে। কিতাবুল্লাহর কাছে সমস্ত বিচার-ফায়সালা ন্যস্ত করা ঐচ্ছিক কোনো বিষয় নয়, বরং এরই নাম ইমান। আল্লাহর শরিয়াতের কাছে বিচার-ফায়সালা ন্যস্ত করা ছাড়া ইমান ও ইসলামের কোনোই গ্রহণযোগ্যতা নেই। এর অনুপস্থিতি মানে ইসলামেরই অনুপস্থিতি।
وَمَا كَانَ لِمُؤْمِنٍ وَلَا مُؤْمِنَةٍ إِذَا قَضَى اللهُ وَرَسُولُهُ أَمْرًا أَنْ يَكُونَ لَهُمُ الْخِيَرَةُ مِنْ أَمْرِهِمْ وَمَنْ يَعْصِ اللهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا مُبِينًا
‘আল্লাহ ও তাঁর রাসুল কোনো নির্দেশ-ফায়সালা দিলে কোনো মুমিন পুরুষ বা নারীর জন্য নিজেদের ব্যাপারে অন্য কিছু এখতিয়ার করার অধিকার থাকে না। আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে অমান্য করে, সে তো স্পষ্টই পথভ্রষ্ট হবে।’
وَيَقُولُونَ آمَنَّا بِاللهِ وَبِالرَّسُولِ وَأَطَعْنَا ثُمَّ يَتَوَلَّى فَرِيقٌ مِنْهُمْ مِنْ بَعْدِ ذَلِكَ وَمَا أُولَئِكَ بِالْمُؤْمِنِينَ
‘তারা বলে―আমরা আল্লাহ ও রাসুলের ওপর ইমান এনেছি, আনুগত্য করেছি।’ তারপর তাদের একদল মুখ ফিরিয়ে নেয়। আসলে তারা ইমানদার নয়।
____
শাইখ ড. আবদুল্লাহ আযযাম
[ আকিদাহর পরিশুদ্ধি ]