ilmweb
3.07K subscribers
501 photos
38 videos
199 links
A knowledge-centrum based on the cognition and methodology of the Pious predecessors.

Web: www.ilmweb.net
Facebook: www.facebook.com/ilmweb
Twitter: www.twitter.com/ilmweb
Instagram: www.instagram.com/ilmweb
Youtube: www.youtube.com/ilmweb
Download Telegram
তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম
ঈদ মুবারক
14
‘নিশ্চয় আমার সালাত, আমার কুরবানী, আমার জীবন ও আমার মৃত্যু আল্লাহর জন্য, যিনি সকল সৃষ্টির রব।’

[ সুরা আল-আনআম, ৬ : ১৬২ ]

#ilmweb
14
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 'বহু এমন লোকও আছে যার মাথা উষ্কখুষ্ক ধুলোভরা, যাদের দরজা থেকে ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হয়। (কিন্তু সে আল্লাহর কাছে এত প্রিয়) যদি সে আল্লাহর ওপর কসম খায়, তাহলে আল্লাহ তা পূর্ণ করে দেন।'

[ রিয়াযুস সালিহিন, হাদিস নং : ২৬২ ]

#ilmweb
13👍1🔥1
‘আর যখন তোমাদের রব ঘোষণা দিলেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় কর, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের বাড়িয়ে দিব, আর যদি তোমরা অকৃতজ্ঞ হও, নিশ্চয়ই আমার আযাব বড় কঠিন।’

[ সুরা ইবরাহিম,  ১৪ : ৭ ]

#ilmweb
10
প্রবন্ধ : হুরমাতুল মুসাহারাহ
উসতায শাইখুল ইসলাম (হাফিযাহুল্লাহ)
.
.
হুরমাতুল মুসাহারাহ (حرمة المصاهرة) হলো, বৈবাহিক সম্পর্কের ফলে নারী-পুরুষ উভয়ের মাহরাম আত্মীয়-স্বজন অপরজনের জন্য হারাম হওয়া। যেমন স্ত্রীর মা। স্ত্রী জীবিত থাকুক বা মৃত, কোনো অবস্থাতেই স্বামীর জন্য স্ত্রীর মাকে বিয়ে করা বৈধ নয়। বরং সেটা হারাম। তেমনিভাবে স্বামীর পিতা। স্বামী মারা গেলে বা তালাক দিয়ে দিলে শশুরকে বিয়ে করা যাবে না। হুরমাতুল মুসাহারাহর মাসআলা দুই ধরনের হয় :
১. ঐকমত্যপূর্ণ ২. মতভেদপূর্ণ
.
.
সম্পূর্ণ প্রবন্ধটি পড়তে ভিজিট করুন : https://ilmweb.net/হুরমাতুল-মুসাহারাহ/
4👍2
‘যারা তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চায় না এবং নিজেরা হেদায়েতপ্রাপ্ত তাদের কথা মেনে নাও।’

[ সুরা ইয়াসিন,  ৩৬ : ২১ ]

#ilmweb
7👍3
‘হে আমাদের রব! আপনি আমাদেরকে কাফিরদের উৎপীড়নের পাত্র বানাবেন না।
হে আমাদের রব! আপনি আমাদের ক্ষমা করে দিন। নিশ্চয় আপনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।’

[ সুরা আল-মুমতাহিনা, ৬০ : ৫ ]

#ilmweb
10😢2
ইমাম আবু হানিফা, ইমাম আলবানি প্রমুখ উলামায়ে কিরাম, মুজতাহিদে ইযাম আমাদের দ্বীনের ফিকহ ও হাদিসের অতন্দ্র প্রহরী ছিলেন। তাঁরা রবের দরবারে উপযুক্ত প্রতিদান পাবেন, ইনশাআল্লাহ। বাকি যে সত্যের খুঁজে আজ তাঁরা বরিত পুরুষে পরিণত হয়েছেন, সেই সত্যের দিকে রুজু হওয়া ছাড়া দ্বিতীয় কোনো পথ নেই। সমুদ্রে ফেলা কোনো ময়লা যেমন সমুদ্রের পানিকে নোংরা করতে পারে না, ঠিক একই সাথে সমুদ্রে ফেলা হয়েছে বলে সেই ময়লাও পবিত্র হয়ে যেতে পারে না। বিশাল সমুদ্রের তুলনায় সামান্য ময়লা যেন কিছুই নয়। হক (সত্য) হকের স্থানে, সম্মান সম্মানের স্থানে।

রাহিমাহুমাল্লাহ।

#ilmweb
11
‘বরং তারা কিয়ামতকে অস্বীকার করেছে আর কিয়ামতকে যে অস্বীকার করে তার জন্য আমি প্রস্তুত রেখেছি জ্বলন্ত আগুন।’

[ সুরা আল-ফুরকান, ২৫ : ১১ ]

#ilmweb
🔥5👍1
কেউ হয়তো কোনো বিদআতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে আর ভাবছে তার ইমান শক্ত। হতে পারে তার ইমান শক্ত কিন্তু ইসলামের কোনো কোনো শাস্ত্রে (ফন্ন) সে দুর্বল। হয়তো সে আরবিতে দুর্বল বা উসুলুল ফিকহে। দেখা যাবে বিদআতিরা এই শাস্ত্র ব্যবহার করে তাকে সন্দেহে ফেলে দেবে।

ইমরান ইবনু হিত্তানের কথাই ধরা যাক। সে কিছু সাহাবা যেমন আইশাহ, আবু মুসা আল-আশআরি, ইবনু আব্বাস প্রমুখ থেকে হাদিস বর্ণনা করেছে। কিন্ত তার সময়ে সে ছিল খারেজিদের নেতা। সে শুরুতেই এমন ছিল না। সে শুরুতে সুপথেই ছিল। সে এক খারিজি মহিলাকে বিয়ে করেছিল। নিয়াত ছিল তার ওপর জয়ী হবে। ঘটল বিপরীতটা। বরং মহিলাটাই তার ওপর জয়ী হয়ে গেল।

____
শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল (হাফিযাহুল্লাহ)
😢4👍1
‘এমন একটা সময় আসবে যখন কাফিরগণ আক্ষেপ করে বলবে, হায়! আমরা যদি মুসলিম হয়ে যেতাম!’

[ সুরা আল-হিজর, ১৫ : ২ ]

#ilmweb
2👍2
হক (সত্য) এমনিতেই কঠিন। আপনি হকের দাওয়াত দিচ্ছেন। যতই হকের কথা বলুন, আপনার আচরণে কর্কশতা, অভদ্রতা, অশ্লীলভাষা, অসহনশীলতা, দ্রুত রেগে যাওয়া, প্রতিক্রিয়াশীলতা, অন্যকে হেয় করা ইত্যাদি থাকলে সেই দাওয়াত কেউ গ্রহণ করবে না। আল্লাহই স্বয়ং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলেছেন, তিনি কর্কশ ও কঠিন হৃদয়ের হলে সবাই তাঁর আশপাশ থেকে সরে যেত। আপনি যতই মানুষকে বোঝান, হতাশা প্রকাশ করেন, বলেন যে আপনাকে নয় বরং আপনার দাওয়াত হক (সত্য) কি না এটি লোকে দেখুক, আসলে লাভ নেই। দাওয়াত নয়, দাওয়াত বহনকারীও গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার কথায় একটা লোক তাঁর দীর্ঘদিনের লালিত বিশ্বাস, কর্মপন্থা পরিবর্তন করে ফেলবে কোন ভরসায়? আল্লাহ তাআলা নবি আলাইহিমুস সালামদের সমাজে কী ধরনের আখলাক ও আস্থাশীল হিসেবে প্রতিপালন করেছেন, তা তো স্পষ্ট। তাঁরা নবুয়াতপ্রাপ্তির আগেই ছিলেন সবচেয়ে ভদ্র, উন্নত, মিতভাষী ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন।

তাই, অন্তত দাওয়াহর স্বার্থে হলেও চরিত্রের সমুন্নতি বজায় রাখুন। অফলাইন-অনলাইন সব জায়গায় জ্বিহ্বা ও আচরণে পরিপক্কতার পরিচয় দিন। যত্রতত্র যেভাবে খুশি কমেন্ট করা থেকে বিরত হোন। ব্যক্তিত্ব ধরে রাখুন। মনে রাখবেন, ব্যক্তিত্ব গড়া দীর্ঘ সাধনার বিষয়, কিন্তু ব্যক্তিত্ব হারানো এক মুহূর্তের ব্যাপার।

#ilmweb
4🔥3👍1
হাদিসশাস্ত্র অধ্যয়নে দীর্ঘ সময় দেয়া অপরিহার্য। আমার শায়খ মুহাম্মাদ হানিফ নাদবি বলতেন, ইকরাউ, ইকরা, ইকরা হাত্তা তাকি। অর্থাৎ পড়ো, পড়ো, পড়ো, যতক্ষণ না পড়তে পড়তে বমি চলে আসে। বিশেষ করে হাদিসের উসুলসংশ্লিষ্ট বইগুলো মনোযোগসহ অধ্যয়ন করতে হবে। ইলমুর রিজাল এবং ইলমুল জারাহ ওয়াত-তাদিল সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। এরপর রিওয়ায়াতের ওপর সেসব উসুল প্রয়োগ করা শিখতে হবে।

ইলমি গভীরতার জন্য ইবনু দাকিকিল ইদের ‘আল-আহকাম’, ইবনুল কাত্তানের ‘বায়ানুল ওয়াহমি ওয়াল ইহাম’, ইমাম যাইলায়ির ‘নাসবুর রায়াহ’, ইবনু হাজার আসকালানির ‘আত-তালখিসুল হাবির’ এবং শায়খ আলবানির বইগুলো অধ্যয়ন করতে হবে।

জারাহ-তাদিল-বিষয়ক যেকোনো কওলের (বক্তব্য) ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী (মুতাকাদ্দিম) মুহাদ্দিসদের বক্তব্যকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। উদাহরণস্বরূপ শায়খ আলবানি অনেক সময় হাদিসের কোনো ইল্লাত সম্পর্কে ইমাম আলি ইবনুল মাদিনি বা ইমাম দারাকুতনির বক্তব্য উপেক্ষা করেছেন। এটা আমাদের কাছে সঠিক মানহাজ নয়। বরং সবসময় পূর্ববর্তীদের বক্তব্যই অগ্রগণ্য। কারণ, হাদিসের ক্রটিবিচ্যুতি সম্পর্কে তাঁরাই বেশি অবগত ছিলেন। সর্বোপরি সবক্ষেত্রে তাকওয়া অবলম্বন করতে হবে।

____
শাইখ ইরশাদুল হক আসারি (হাফিযাহুল্লাহ)
[ সূত্র : https://t.ly/oDQ0q ]

#ilmweb
👍32
‘সে বিতর্ক করে ঘাড় বাঁকিয়ে, মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে ভ্রষ্ট করার উদ্দেশ্যে। তার জন্য রয়েছে দুনিয়াতে লাঞ্চনা এবং কিয়ামাতের দিন আমি তাকে দহন যন্ত্রণা আস্বাদন করাব।’

[ সুরা আল-হাজ্জ, ২২ : ৯ ]

#ilmweb
8👍1😢1
যে আলিমদের মানহানি করে, তার আখিরাত চলে যায়। যে আমিরদের মানহানি করে, তার দুনিয়া চলে যায়। আর যে ভাইদের মানহানি করে, তার আত্মসম্মানবোধ চলে যায়।
____
ইমাম আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারাক
[ ইমাম আয-যাহাবি, সিয়ারু আলামিন নুবালা, ১/৪২৫ ]

#ilmweb
7
যে ব্যক্তি মৃত্যুকে বেশি বেশি স্মরণ করে, তার হিংসা ও পাপ কমে যায়।
____
আবুদ দারদা (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
[ ইমাম আহমাদ, কিতাবুয যুহদ, পৃষ্ঠা : ১১৭ ]

#ilmweb
13
আমাদের উলামা, মুহাদ্দিস, ফকিহ ইমামরা বিভিন্ন পেশায় জড়িত ছিলেন। তাঁরা সাধারণত চাইতেন না ইলমের বিনিময় নিতে। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় শিক্ষা। এসব পেশাগ্রহণে না তাঁরা ছোট হয়েছেন, না তাঁদের ইলমি ব্যক্তিত্ব ও Scholarship (আলিমত্ব) নিয়ে কোনো আপত্তি ও প্রশ্ন উত্থাপন করা যায়। জ্ঞানগত দিক দিয়ে প্রায় সবার ভুলত্রুটি হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু ভুল হওয়া মানে তাঁদের আকাশসম ব্যক্তিত্ব ও Scholarship (আলিমত্ব) নিয়ে প্রশ্ন তোলা নয়। আর তাঁদের ভুলও স্বস্ব মানহাজের উলামারাই চিহ্নিত করে গেছেন। এই ভুল চিহ্নিত করাটাও আবার যেকারোর কাজ নয়।

ইমাম আবু হানিফা ছিলেন কাপড় ব্যবসায়ী, ইমাম আলবানি ঘড়ি মেরামতের কাজ করতেন। জ্ঞানসাধনা তাঁদের মর্যাদা-মাকামকে কত উঁচুতে নিয়ে গেছে! ইমাম আবু হানিফাকে কাপড় ব্যবসায়ী বলে তাচ্ছিল্য করা কিংবা ইমাম আলবানিকে ঘড়ির মেকার বলে উপহাস করা বরং ইলমি দৈন্যের লক্ষণ। রুচিবোধের খরা। এ ধরনের মানুষের জন্য আসলে কোনো জবাব নেই। বরং তাদের জন্য কুরআনের এই আয়াতই প্রযোজ্য,

‘রহমানের বান্দা তারাই, যারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং অজ্ঞ লোকেরা যখন তাদেরকে সম্বোধন করে তখন তারা বলে—সালাম।’ [সুরা আল-ফুরকান, ২৫ : ৬৩]
.
রাহিমাহুমাল্লাহ।

#ilmweb
💯61
‘অহংকারের বশবর্তী হয়ে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা কর না, আর পৃথিবীতে গর্বভরে চলাফেরা কর না, নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না।’

[ সুরা লুকমান, ৩১ : ১৮ ]

#ilmweb
8
দুর্ভোগ সেই ব্যক্তির জন্য, দুনিয়া যার আশা-আকাঙ্ক্ষার স্থল এবং পাপ করাই তার কাজ। সে অত্যন্ত ভোজনরসিক, স্বল্প জ্ঞানের অধিকারী। পার্থিব বিষয়ে বিজ্ঞ হলেও আখিরাতের ব্যাপারে ঠিকই অজ্ঞ।

____
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
[ আল-আশবিলি, আল-আকিবাহ ফি যিকরিল মাওত, পৃষ্ঠা : ৯০ ]

#ilmweb
😢3
চিন্তাগতভাবে এর (দৃঢ় থাকা) জন্য প্রয়োজন হলো, মনমানসিকতায় উদার হওয়া। বিশেষ করে ফিকহি মাসআলা-মাসায়িলে বেশি কঠোরতা পরিহার করা উচিত। উদাহরণস্বরূপ আমি এ আহ্বান জানাই যে, মাযহাবি মতভেদে খুব বেশি গভীরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এসব ইজতিহাদি মাসায়িলের ক্ষেত্রে অধিক থেকে অধিকতর বিশ্লেষণ ও সূক্ষ্ম তদন্তের পর এর ফল এটা আসবে যে, এটা প্রাধান্যযোগ্য মত। কোনো জিনিসকে আপনি বিদআত বলতে পারবেন না।

এ জন্য অনেক মানুষ এসব মাসআলা-মাসায়িল নিয়ে ব্যস্ত থেকে জীবনপাত করে এবং বিরোধী মাযহাবকে নিজের সবচেয়ে বড় দুশমন মনে করে। এমন মানসিকতা পরিবর্তন করা দরকার। এ ধরনের মানসিকতা পোষণ করা উচিত নয়। আমাদের চিন্তাভাবনা হবে ইসলামি। যা অনৈসলামিক চিন্তাচেতনার মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকবে। আসলে আমরা যেসব মাসআলা নিয়ে আলোচনা করি, তার ৯০ শতাংশ সেসব সমস্যা নয়, যেসব সমস্যার সম্মুখীন হয় সমাজ, দেশ বা জাতি।

_
শাইখ উযায়ির শামস (রাহিমাহুল্লাহ)
[ সূত্র : https://shorturl.at/N3bKC ]

#ilmweb
👍3