সাথিদের সাথে খাওয়ার আদব
১. সাথি বয়স বা মর্যাদার কারণে অগ্রাধিকার পাবার যোগ্য হলে তাঁর আগে খাওয়া শুরু করা অনুচিত। তবে, নিজে অনুসরণীয় হলে সর্বপ্রথম নিজেই শুরু করবে।
২. চুপচাপ না-খেয়ে বরং ভালো কিছু নিয়ে আলাপ করা। যেমন, নেককারদের খাবারসংক্রান্ত গল্পগুলো বলা যেতে পারে।
৩. প্রত্যেককে নিজের চেয়ে অপরকে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে এবং কাউকে যেন তার সাথিকে বলতে না হয়—খাও। প্রফুল্লতার সাথে খেতে হবে এবং খাবার ধরে রেখে ভান করা যাবে না।
৪. কেউ যেন খাওয়ার সময় সরাসরি সাথিদের দিকে না-তাকায়, এতে করে তারা বিব্রত হতে পারে।
৫. নিজের সাথে ঘটলে খারাপ লাগত এমন সবকিছুই পরিহার করতে হবে। যেমন, হাতে কিছু থাকলে সেটা দিয়ে পাত্রের মাঝে নাড়া দেয়া বা মুখে লোকমা নেয়ার সময় পাত্রের ওপর মাথা রাখা। মুখ থেকে বের করে কিছু ছুড়ে ফেলার প্রয়োজন হলে অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে বাম হাতে নিয়ে তারপর ফেলতে হবে। ভিনেগারে চর্বিযুক্ত খাবার ডোবানো অথবা কোনোকিছুতে ভিনেগার ঢালা অনুচিত। বাকিরা হয়তো এটা অপছন্দ করতে পারে। মুখে দেয়ার পর সেটা আবার ঝোলে ডোবাবে না।
____
ইমাম ইবনু কুদামাহ আল-মাকদিসি
[ চরিত্রশুদ্ধি : ২১/১৭৩ ]
১. সাথি বয়স বা মর্যাদার কারণে অগ্রাধিকার পাবার যোগ্য হলে তাঁর আগে খাওয়া শুরু করা অনুচিত। তবে, নিজে অনুসরণীয় হলে সর্বপ্রথম নিজেই শুরু করবে।
২. চুপচাপ না-খেয়ে বরং ভালো কিছু নিয়ে আলাপ করা। যেমন, নেককারদের খাবারসংক্রান্ত গল্পগুলো বলা যেতে পারে।
৩. প্রত্যেককে নিজের চেয়ে অপরকে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে এবং কাউকে যেন তার সাথিকে বলতে না হয়—খাও। প্রফুল্লতার সাথে খেতে হবে এবং খাবার ধরে রেখে ভান করা যাবে না।
৪. কেউ যেন খাওয়ার সময় সরাসরি সাথিদের দিকে না-তাকায়, এতে করে তারা বিব্রত হতে পারে।
৫. নিজের সাথে ঘটলে খারাপ লাগত এমন সবকিছুই পরিহার করতে হবে। যেমন, হাতে কিছু থাকলে সেটা দিয়ে পাত্রের মাঝে নাড়া দেয়া বা মুখে লোকমা নেয়ার সময় পাত্রের ওপর মাথা রাখা। মুখ থেকে বের করে কিছু ছুড়ে ফেলার প্রয়োজন হলে অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে বাম হাতে নিয়ে তারপর ফেলতে হবে। ভিনেগারে চর্বিযুক্ত খাবার ডোবানো অথবা কোনোকিছুতে ভিনেগার ঢালা অনুচিত। বাকিরা হয়তো এটা অপছন্দ করতে পারে। মুখে দেয়ার পর সেটা আবার ঝোলে ডোবাবে না।
____
ইমাম ইবনু কুদামাহ আল-মাকদিসি
[ চরিত্রশুদ্ধি : ২১/১৭৩ ]
কুরআনের ছায়াতলে
— শাইখ আসিম আল-বারকাওয়ি (হাফিযাহুল্লাহ) || ilmweb Publishing
ইউটিউব : https://youtu.be/zHxOz_b1-fA
— শাইখ আসিম আল-বারকাওয়ি (হাফিযাহুল্লাহ) || ilmweb Publishing
ইউটিউব : https://youtu.be/zHxOz_b1-fA
‘আর যেন তিনি শাস্তি দিতে পারেন মুনাফিক নারী-পুরুষ ও মুশরিক নারী-পুরুষকে যারা আল্লাহ সম্পর্কে মন্দ ধারণা পোষণ করে। তাদের উপরই অনিষ্টতা আপতিত হয়। আর আল্লাহ তাদের উপর রাগ করেছেন এবং তাদেরকে লানত করেছেন, আর তাদের জন্য প্রস্তুত করেছেন জাহান্নাম এবং গন্তব্য হিসেবে তা কতইনা নিকৃষ্ট!’
[ সুরা আল-ফাতহ, ৪৮ : ৬ ]
#ilmweb
[ সুরা আল-ফাতহ, ৪৮ : ৬ ]
#ilmweb
'যেহেতু হাতে সবসময় কিছু-না-কিছু ময়লা লেগে থাকে, তাই হাদিসের আলোকে বলা হয়, খাওয়ার আগে হাতধোয়া আদবের অন্তর্ভুক্ত। টেবিলে (মায়িদাহ ) না-রেখে মাটিতে একটি সুফরা (পাটি বা কার্পেট) বিছিয়ে তার ওপর খাবার রাখতে হবে। এটি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহর নিকটবর্তী। এ ছাড়াও তা অধিকতর বিনয় প্রকাশ করে। সুফরার ওপর (যেহেতু এটি মাটিতে ছড়ানো থাকে) বাম পায়ে ভর দিয়ে ডান পা তুলে বসতে হবে। এই নিয়তে খেতে হবে যেন এর মাধ্যমে আল্লাহর আনুগত্যে নিজেকে শক্তিশালী করা যায়, কেবল বিলাসি জীবনযাপন না-খুঁজে তাঁর অনুগত হওয়া যায়। প্রকৃতপক্ষে এটি বোঝার উপায় হচ্ছে, পেটপুরে না-খেয়ে কেবল প্রয়োজনমতো খাওয়া।
নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘মানুষ পেটের চেয়ে নিকৃষ্ট কোনো পাত্র পূর্ণ করে না। মেরুদণ্ড সোজা রাখতে পারে এমন কয়েক গ্রাস খাবারই আদমসন্তানের জন্য যথেষ্ট। এরপরও যদি কোনো ব্যক্তির ওপর তার নাফস বিজয়লাভ করে, তবে সে তার পাকস্থলীর এক-তৃতীয়াংশ খাবারের জন্য, এক-তৃতীয়াংশ পানির জন্য এবং এক-তৃতীয়াংশ শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য রাখবে।’
এই নিয়তের একটি অপরিহার্য বিষয় হলো, কেউ ক্ষুধা না-লাগলে খাবারের দিকে হাত বাড়াবে না এবং পেটভর্তি হবার আগেই হাত উঠিয়ে নেবে। এমন করলে চিকিৎসকের তেমন প্রয়োজন পড়বে না। যা আছে তাতে তুষ্ট থাকাও খাওয়ার আদব। যত অল্পই হোক না কেন, একে তুচ্ছ মনে করা যাবে না এবং যথাসাধ্য বেশি মানুষ নিয়ে খাওয়া উচিত। স্বামী-স্ত্রী ও বাচ্চারা থাকলেও হবে।
____
ইমাম ইবনু কুদামাহ আল-মাকদিসি
[ চরিত্রশুদ্ধি ]'
এই নিয়তের একটি অপরিহার্য বিষয় হলো, কেউ ক্ষুধা না-লাগলে খাবারের দিকে হাত বাড়াবে না এবং পেটভর্তি হবার আগেই হাত উঠিয়ে নেবে। এমন করলে চিকিৎসকের তেমন প্রয়োজন পড়বে না। যা আছে তাতে তুষ্ট থাকাও খাওয়ার আদব। যত অল্পই হোক না কেন, একে তুচ্ছ মনে করা যাবে না এবং যথাসাধ্য বেশি মানুষ নিয়ে খাওয়া উচিত। স্বামী-স্ত্রী ও বাচ্চারা থাকলেও হবে।
____
ইমাম ইবনু কুদামাহ আল-মাকদিসি
[ চরিত্রশুদ্ধি ]'
দয়িফ হাদিস কী
— উসতায শাইখুল ইসলাম (হাফিযাহুল্লাহ) || ilmweb Publishing
ইউটিউব : https://youtu.be/7yewPv3aEoQ
— উসতায শাইখুল ইসলাম (হাফিযাহুল্লাহ) || ilmweb Publishing
ইউটিউব : https://youtu.be/7yewPv3aEoQ
আল্লাহ কুরআনের বড় একটি জায়গা স্বতন্ত্রভাবে এই আকিদাহর জন্য নির্ধারণ করেছেন, এর জন্য দীর্ঘ সময় দিয়েছেন, যেন এই আকিদাহ হৃদয়ের গভীরে ভালোভাবে বদ্ধমূল হতে পারে। মাক্কি জীবনের প্রায় পুরোটা অংশজুড়েই এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছাড়া কোনো আয়াতের অবতারণা করা হয়নি। কেবল এ বিষয়েরই আলোচনা করা হয়েছে। কারণ, আকিদাহর মাধ্যমে অন্তর গঠনের ধারাটি ধীর ও শ্রমসাধ্য। কখনো কখনো এ কাজ করার জন্য এমন এক বিশাল পরিব্যপ্ত সময়ের প্রয়োজন পড়ে, যে সময়ে একটি মানবদেহ বেড়ে ওঠে।
وَقُرْآنًا فَرَقْنَاهُ لِتَقْرَأَهُ عَلَى النَّاسِ عَلَى مُكْثٍ وَنَزَّلْنَاهُ تَنْزِيلًا
‘আমি কুরআনকে ভাগ ভাগ করে অবতীর্ণ করেছি, যেন তা বিরতিসহ মানুষের সামনে পড়তে পারো। আর আমি তা ধাপে ধাপে নাযিল করেছি।’
পৃথক অনুশীলন ও দীর্ঘ সময়ের যেমন প্রয়োজন, তেমনিভাবে শরিয়াতের সব বিধিবিধান প্রয়োগের জন্য আকিদাহ হৃদয়ের গভীরে ভালোভাবে গেঁথে যাওয়াও অপরিহার্য। আর এ কারণেই মদিনায় সাহাবা কিরামের অন্তরে আকিদাহ দৃঢ়ভাবে গেঁথে না-যাওয়া পর্যন্ত শরয়ি বিধান অবতীর্ণ হতে বিলম্ব হয়। আর আল্লাহ তো সাহাবা কিরামকে নিজ কুদরতের পর্দা বানিয়েছেন, তাঁদের হাতেই এই দ্বীনের বিজয় দিয়েছেন।
____
শাইখ ড. আবদুল্লাহ আযযাম
[ আকিদাহর পরিশুদ্ধি ]
وَقُرْآنًا فَرَقْنَاهُ لِتَقْرَأَهُ عَلَى النَّاسِ عَلَى مُكْثٍ وَنَزَّلْنَاهُ تَنْزِيلًا
‘আমি কুরআনকে ভাগ ভাগ করে অবতীর্ণ করেছি, যেন তা বিরতিসহ মানুষের সামনে পড়তে পারো। আর আমি তা ধাপে ধাপে নাযিল করেছি।’
পৃথক অনুশীলন ও দীর্ঘ সময়ের যেমন প্রয়োজন, তেমনিভাবে শরিয়াতের সব বিধিবিধান প্রয়োগের জন্য আকিদাহ হৃদয়ের গভীরে ভালোভাবে গেঁথে যাওয়াও অপরিহার্য। আর এ কারণেই মদিনায় সাহাবা কিরামের অন্তরে আকিদাহ দৃঢ়ভাবে গেঁথে না-যাওয়া পর্যন্ত শরয়ি বিধান অবতীর্ণ হতে বিলম্ব হয়। আর আল্লাহ তো সাহাবা কিরামকে নিজ কুদরতের পর্দা বানিয়েছেন, তাঁদের হাতেই এই দ্বীনের বিজয় দিয়েছেন।
____
শাইখ ড. আবদুল্লাহ আযযাম
[ আকিদাহর পরিশুদ্ধি ]