একইসাথে দুই ফ্রন্টে যুদ্ধ করে বিজয়ী হওয়া বীরের জাতি চাইলে আজও দুই ফ্রন্টে বিজয়ী হতে পারে।
ফ্যাক্ট:হিন্দুত্ববাদ ও কুকি-চিন
উদাহরণ : রিদ্দার যুদ্ধ ও রোম অভিযান এবং একই সাথে রোম-পারস্য অভিযান।
টেলিগ্রাম:t.me/voiceofshahibangal
ফ্যাক্ট:হিন্দুত্ববাদ ও কুকি-চিন
উদাহরণ : রিদ্দার যুদ্ধ ও রোম অভিযান এবং একই সাথে রোম-পারস্য অভিযান।
টেলিগ্রাম:t.me/voiceofshahibangal
Telegram
Voice Of Shahi Bangal
অবিভক্ত বাংলার কণ্ঠস্বর
#ভারতবর্ষ_ও_বাংলায়_মুসলিম_বিরুধী_ষড়যন্ত্র_ও_আগ্রাসন_১
অমিতাভ ভট্টশালী
Role,বিবিসি নিউজ বাংলা, কলকাতা
ভারতের নির্বাচনে কিছুটা অপ্রত্যাশিতভাবে উঠে এসেছে সিরাজ-উদ-দৌলা আর পলাশীর যুদ্ধের প্রসঙ্গ। বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজের বিরুদ্ধে পলাশীর যুদ্ধের আগে যে ষড়যন্ত্রের কথা একাধিক ইতিহাসবিদ লিখে গেছেন, তাতে কারা জড়িত ছিলেন, এখন সেই প্রশ্ন তুলে নতুন করে বিতর্ক বাঁধিয়েছেন এক প্রার্থী।
তার নাম অমৃতা রায়। তিনি পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে ভোটে লড়ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে।
মিজ রায় সবে মাত্র রাজনীতির ময়দানে এসেছেন। দলীয় পরিচিতি ছাড়াও তার আরেকটি পরিচিতি হল তিনি কৃষ্ণনগরের সাবেক রাজপরিবারের বধূ, সেই অর্থে অনেকেই তাকে ‘রানি মা’ বলে সম্বোধন করে থাকেন।
ওই সাবেক রাজপরিবারের সব থেকে প্রসিদ্ধ রাজা ছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র রায়। পলাশীর যুদ্ধের আগে থেকেই সিরাজকে বাংলার মসনদ থেকে সরানোর যে ষড়যন্ত্র করেছিলেন মীর জাফর, জগৎ শেঠরা, তাতে কৃষ্ণচন্দ্র রায় কতটা জড়িত ছিলেন, তা নিয়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যে দ্বিমত আছে।
তবে ভোটের ময়দানে নেমেই মিজ অমৃতা রায় বলেছেন, সিরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে অংশ নিয়ে ব্রিটিশদের সহায়তা করে কৃষ্ণচন্দ্র রায় আসলে ‘সনাতন ধর্ম’কে রক্ষা করতে চেয়েছিলেন।
টেলিগ্রাম:t.me/voiceofshahibangal
অমিতাভ ভট্টশালী
Role,বিবিসি নিউজ বাংলা, কলকাতা
ভারতের নির্বাচনে কিছুটা অপ্রত্যাশিতভাবে উঠে এসেছে সিরাজ-উদ-দৌলা আর পলাশীর যুদ্ধের প্রসঙ্গ। বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজের বিরুদ্ধে পলাশীর যুদ্ধের আগে যে ষড়যন্ত্রের কথা একাধিক ইতিহাসবিদ লিখে গেছেন, তাতে কারা জড়িত ছিলেন, এখন সেই প্রশ্ন তুলে নতুন করে বিতর্ক বাঁধিয়েছেন এক প্রার্থী।
তার নাম অমৃতা রায়। তিনি পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে ভোটে লড়ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে।
মিজ রায় সবে মাত্র রাজনীতির ময়দানে এসেছেন। দলীয় পরিচিতি ছাড়াও তার আরেকটি পরিচিতি হল তিনি কৃষ্ণনগরের সাবেক রাজপরিবারের বধূ, সেই অর্থে অনেকেই তাকে ‘রানি মা’ বলে সম্বোধন করে থাকেন।
ওই সাবেক রাজপরিবারের সব থেকে প্রসিদ্ধ রাজা ছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র রায়। পলাশীর যুদ্ধের আগে থেকেই সিরাজকে বাংলার মসনদ থেকে সরানোর যে ষড়যন্ত্র করেছিলেন মীর জাফর, জগৎ শেঠরা, তাতে কৃষ্ণচন্দ্র রায় কতটা জড়িত ছিলেন, তা নিয়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যে দ্বিমত আছে।
তবে ভোটের ময়দানে নেমেই মিজ অমৃতা রায় বলেছেন, সিরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে অংশ নিয়ে ব্রিটিশদের সহায়তা করে কৃষ্ণচন্দ্র রায় আসলে ‘সনাতন ধর্ম’কে রক্ষা করতে চেয়েছিলেন।
টেলিগ্রাম:t.me/voiceofshahibangal
Telegram
Voice Of Shahi Bangal
অবিভক্ত বাংলার কণ্ঠস্বর
#ভারতবর্ষ_ও_বাংলায়_মুসলিম_বিরুধী_ষড়যন্ত্র_২
যারা বাচ্চাদেরকে গোপাল ভার কার্টুন দেখান অথবা নিজে দেখেন তাদের জন্য সতর্কতা ⚠️⚠️!
আপনারা অনেকেই হয়তো নিজে দেখেন অথবা পরিবারকে সাথে নিয়ে অথবা বাচ্চাদেরকে গোপাল ভার কার্টুন দেখিয়ে থাকেন অনেকটা বিনোদনের উপকরণ হিসেবে।কিন্তু আপনি কি জানেন এই গোপাল ভার কার্টুন এর মাধ্যমে আপনার, আপনার সন্তানের কাচা মস্তিষ্ক, আপনার পরিবারের ব্রেইন ওয়াশ করা হচ্ছে অতি সূক্ষ্মভাবে। আপনার সাবকন্সিয়াস মাইন্ড এমন কিছু গ্রহণ করছে যা মুসলিমদের জন্য অবমাননাকর,ইতিহাস বিরুধী এবং বানোয়াট। আপনারা কি লক্ষ্য করেছেন গোপাল ভার কার্টুনে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রকে ন্যায়পরায়ণ রাজা এবং একজন নবাবকে দেখানো হয় যে কিনা সর্বদা রাজাকে হেনস্তা করার প্রচেষ্টায় মগ্ন থাকে।আপনি কি জানেন কে এই নবাব? কেন তার চরিত্রকে খলনায়ক হিসেবে দেখানো হয়? এটা কি শুধুই একটা কার্টুন নাকি কার্টুন এর মাধ্যমে মুসলিম বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা। আপনার সন্তান বা আপনি বা আপনার পরিবার নিজের অজান্তেই নবাবের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করছেন, কৃষ্ণচন্দ্রের পক্ষাবলম্বন করছেন।তাহলে আসুন দেখা যাক কে এই নবাব আর কে এই রাজা কৃষ্ণচন্দ্র।নবাব সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে করা মীরজাফর, ঘসেটি বেগম ও জগৎ শেঠ এর করা ষড়যন্ত্রের অন্যতম অংশীদার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র। আর কার্টুনে দেখানো নবাব হলেন বাংলা,উড়িষ্যা,বিহার এর একচ্ছত্র ন্যায়পরায়ণ নবাব আলীবর্দী খান।তিনি ছিলেন সে সময়ের মারাঠাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা নবাবদের একজন। আপনি কী জানেন মারাঠা কারা? ছোট কালে একটা ছন্দ মা নানীদের মুখে আশা করি অনেকেই শুনেছেন - খোকা ঘুমালো পাড়া জুড়ালো বর্গী এলো দেশে। এই বর্গী বলতে তখন মারাঠাদেরকেই বুঝানো হতো।যারা মুসলিম অঞ্চলগুলোতে লুটতরাজ চালাতো। যদিও ভারতীয় শাসকরা এখন সিনেমার মাধ্যমে মারাঠাদেরকে নায়ক এবং নবাব ও সুলতানদেরকে খলনায়ক, ভীরু ও কাপুরুষ হিসেবে দেখাচ্ছে কিন্তু ইতিহাস সম্পূর্ণ ভিন্ন।পানিপথ মুভিতে আহমদ শাহ আরদালি রাহ.এর মতো পরহেজগার মুজাহিদকে একজন বদমেজাজি ক্ষমতালোভী হিসেবে দেখানো হয়েছে অথচ এর ইতিহাসও সম্পূর্ণ ভিন্ন। যাইহোক আমার মূল বার্তা হলো ভারতীয় মিডিয়া কার্টুন - চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আমাদের অজান্তে আমাদেরকে,আমাদের বাচ্চাদেরকে ভুল ইতিহাস শেখাচ্ছে ও আমাদের পূর্বপুরুষদের বিরুধী করে তুলছে যেন আমরা তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে পুনরায় এই ভূখণ্ডে সালতানাতে ইসলামীয়া কায়েমের লক্ষে কাজ করতে না পারি।তাই নিজে সাবধান হোন অপরকে সাবধান করুন।
পানিপথের যুদ্ধ ও মারাঠা সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা পেতে নিচের বইটি পড়তে পারেন -
বইয়ের নাম 'খুন রাঙা পথ' লেখক নসীম হেজাজী মূল গ্রন্থ মোয়াজ্জেম আলী(উর্দু)।
Pdf link- https://t.ly/ZEQQg
টেলিগ্রাম:t.me/voiceofshahibangal
যারা বাচ্চাদেরকে গোপাল ভার কার্টুন দেখান অথবা নিজে দেখেন তাদের জন্য সতর্কতা ⚠️⚠️!
আপনারা অনেকেই হয়তো নিজে দেখেন অথবা পরিবারকে সাথে নিয়ে অথবা বাচ্চাদেরকে গোপাল ভার কার্টুন দেখিয়ে থাকেন অনেকটা বিনোদনের উপকরণ হিসেবে।কিন্তু আপনি কি জানেন এই গোপাল ভার কার্টুন এর মাধ্যমে আপনার, আপনার সন্তানের কাচা মস্তিষ্ক, আপনার পরিবারের ব্রেইন ওয়াশ করা হচ্ছে অতি সূক্ষ্মভাবে। আপনার সাবকন্সিয়াস মাইন্ড এমন কিছু গ্রহণ করছে যা মুসলিমদের জন্য অবমাননাকর,ইতিহাস বিরুধী এবং বানোয়াট। আপনারা কি লক্ষ্য করেছেন গোপাল ভার কার্টুনে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রকে ন্যায়পরায়ণ রাজা এবং একজন নবাবকে দেখানো হয় যে কিনা সর্বদা রাজাকে হেনস্তা করার প্রচেষ্টায় মগ্ন থাকে।আপনি কি জানেন কে এই নবাব? কেন তার চরিত্রকে খলনায়ক হিসেবে দেখানো হয়? এটা কি শুধুই একটা কার্টুন নাকি কার্টুন এর মাধ্যমে মুসলিম বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা। আপনার সন্তান বা আপনি বা আপনার পরিবার নিজের অজান্তেই নবাবের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করছেন, কৃষ্ণচন্দ্রের পক্ষাবলম্বন করছেন।তাহলে আসুন দেখা যাক কে এই নবাব আর কে এই রাজা কৃষ্ণচন্দ্র।নবাব সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে করা মীরজাফর, ঘসেটি বেগম ও জগৎ শেঠ এর করা ষড়যন্ত্রের অন্যতম অংশীদার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র। আর কার্টুনে দেখানো নবাব হলেন বাংলা,উড়িষ্যা,বিহার এর একচ্ছত্র ন্যায়পরায়ণ নবাব আলীবর্দী খান।তিনি ছিলেন সে সময়ের মারাঠাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা নবাবদের একজন। আপনি কী জানেন মারাঠা কারা? ছোট কালে একটা ছন্দ মা নানীদের মুখে আশা করি অনেকেই শুনেছেন - খোকা ঘুমালো পাড়া জুড়ালো বর্গী এলো দেশে। এই বর্গী বলতে তখন মারাঠাদেরকেই বুঝানো হতো।যারা মুসলিম অঞ্চলগুলোতে লুটতরাজ চালাতো। যদিও ভারতীয় শাসকরা এখন সিনেমার মাধ্যমে মারাঠাদেরকে নায়ক এবং নবাব ও সুলতানদেরকে খলনায়ক, ভীরু ও কাপুরুষ হিসেবে দেখাচ্ছে কিন্তু ইতিহাস সম্পূর্ণ ভিন্ন।পানিপথ মুভিতে আহমদ শাহ আরদালি রাহ.এর মতো পরহেজগার মুজাহিদকে একজন বদমেজাজি ক্ষমতালোভী হিসেবে দেখানো হয়েছে অথচ এর ইতিহাসও সম্পূর্ণ ভিন্ন। যাইহোক আমার মূল বার্তা হলো ভারতীয় মিডিয়া কার্টুন - চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আমাদের অজান্তে আমাদেরকে,আমাদের বাচ্চাদেরকে ভুল ইতিহাস শেখাচ্ছে ও আমাদের পূর্বপুরুষদের বিরুধী করে তুলছে যেন আমরা তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে পুনরায় এই ভূখণ্ডে সালতানাতে ইসলামীয়া কায়েমের লক্ষে কাজ করতে না পারি।তাই নিজে সাবধান হোন অপরকে সাবধান করুন।
পানিপথের যুদ্ধ ও মারাঠা সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা পেতে নিচের বইটি পড়তে পারেন -
বইয়ের নাম 'খুন রাঙা পথ' লেখক নসীম হেজাজী মূল গ্রন্থ মোয়াজ্জেম আলী(উর্দু)।
Pdf link- https://t.ly/ZEQQg
টেলিগ্রাম:t.me/voiceofshahibangal
Telegram
Voice Of Shahi Bangal
অবিভক্ত বাংলার কণ্ঠস্বর
আন্তর্জাতিক বিশ্ব
ফিলিস্তিন সংবাদ
চার ইসরাইলী ক্যাপ্টেনকে জাহান্নামবাসী করেছে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা।তারা হলো-
ক্যাপ্টেন ইডো বারুচ, ২১
সার্জেন্ট অমিতাই এমনকি শোশন, 20
সার্জেন্ট রিফ হারুশ, ২০
সার্জেন্ট ইলাই জাইর, ২০
তথ্যসূত্র - ইসরাঈল টুডে
টেলিগ্রাম:t.me/voiceofshahibangal
ফিলিস্তিন সংবাদ
চার ইসরাইলী ক্যাপ্টেনকে জাহান্নামবাসী করেছে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা।তারা হলো-
ক্যাপ্টেন ইডো বারুচ, ২১
সার্জেন্ট অমিতাই এমনকি শোশন, 20
সার্জেন্ট রিফ হারুশ, ২০
সার্জেন্ট ইলাই জাইর, ২০
তথ্যসূত্র - ইসরাঈল টুডে
টেলিগ্রাম:t.me/voiceofshahibangal
#মুসলমানদের_ক্ষেত্রে_বাংলাদেশ_সরকারের_ডাবল_স্ট্যান্ডার্ড
আপনাদের মনে আছে?কিছুদিন আগে পার্বত্য চট্টগ্রামে আনসারুল হিন্দাল শারকিয়্যা নামের কথিত জঙ্গি নির্মূল অভিযানের কথা।সেই সময় অভিযোগ উঠেছিলো তাদেরকে নাকি কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি(KNA) ট্রেনিং দিয়েছিলো।সেই সময় জঙ্গি নির্মূল এর নামে পার্বত্য চট্টগ্রামে দফায় দফায় চিরুনি অভিযান চালিয়েছিলো পুলিশ,র্যাব,বিজিবি ও সেনাবাহিনীর যৌথ ইউনিট।তাছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নাকি আরও অনেক দায়িত্বশীলদের গ্রেপ্তার করা হয় যারা হিন্দাল শারকিয়ার সামরিক শাখা,গোয়েন্দা শাখা,মিডিয়া শাখা সহ আরো গুরুত্বপূর্ণ শাখার নিয়ন্ত্রণ করতো। যদিও অনেকেই এটাকে নাটক বলে মনে করে থাকে। তারপরও তর্কের খাতিরে মেনে নিলাম আনসারুল হিন্দাল শারকিয়্যা নামের কথিত জঙ্গি গোষ্ঠীর অস্তিত্ব রয়েছে এবং তাদের অনেককে গ্রেপ্তার করেছে। আচ্ছা তাহলে এখানে কি এই প্রশ্ন আসেনা যে, কথিত জঙ্গি গোষ্ঠীকে যারা অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিলো তারা-ও তো পার্বত্য চট্টগ্রামে অবস্থান করছে তাহলে প্রশিক্ষণ চলাকালীন অবস্থায় জঙ্গিরা ধরা পরল কিন্তু কুকি-চিন ধরা ছোয়ার বাইরে!
আপনাদের মনে আছে?কিছুদিন আগে পার্বত্য চট্টগ্রামে আনসারুল হিন্দাল শারকিয়্যা নামের কথিত জঙ্গি নির্মূল অভিযানের কথা।সেই সময় অভিযোগ উঠেছিলো তাদেরকে নাকি কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি(KNA) ট্রেনিং দিয়েছিলো।সেই সময় জঙ্গি নির্মূল এর নামে পার্বত্য চট্টগ্রামে দফায় দফায় চিরুনি অভিযান চালিয়েছিলো পুলিশ,র্যাব,বিজিবি ও সেনাবাহিনীর যৌথ ইউনিট।তাছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নাকি আরও অনেক দায়িত্বশীলদের গ্রেপ্তার করা হয় যারা হিন্দাল শারকিয়ার সামরিক শাখা,গোয়েন্দা শাখা,মিডিয়া শাখা সহ আরো গুরুত্বপূর্ণ শাখার নিয়ন্ত্রণ করতো। যদিও অনেকেই এটাকে নাটক বলে মনে করে থাকে। তারপরও তর্কের খাতিরে মেনে নিলাম আনসারুল হিন্দাল শারকিয়্যা নামের কথিত জঙ্গি গোষ্ঠীর অস্তিত্ব রয়েছে এবং তাদের অনেককে গ্রেপ্তার করেছে। আচ্ছা তাহলে এখানে কি এই প্রশ্ন আসেনা যে, কথিত জঙ্গি গোষ্ঠীকে যারা অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিলো তারা-ও তো পার্বত্য চট্টগ্রামে অবস্থান করছে তাহলে প্রশিক্ষণ চলাকালীন অবস্থায় জঙ্গিরা ধরা পরল কিন্তু কুকি-চিন ধরা ছোয়ার বাইরে!
যারা প্রশিক্ষণ নিলো তারা সবাই নিষিদ্ধ হয়ে গ্রেপ্তার হলো কিন্তু যারা প্রশিক্ষণ দিলো তারা রাষ্ট্রের ভিতরে আলাদা রাষ্ট্রের ঘোষণা দেওয়ার পরও তাদের সাথে একের পর এক শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে অথচ শান্তি আলোচনা চলাকালীন সময়ে যখন তারা ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা করলো তারপরও চিরুনি অভিযানএর পরিবর্তে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুনরায় শান্তি আলোচনায় বসার ইচ্ছা রাখেন। আজ যদি একই কাজ বাংলাদেশের কোন ইসলামি সংগঠন করতো? তাহলে কী একই প্রতিক্রিয়া হতো?কুকি-চীন যেভাবে মসজিদে হামলা করলো কোন ইসলামি দল যদি আক্রমণ না করে গীর্জা বা মন্দিরের সামনে তাকবীর দিতো তাহলে আমরা কী একই দৃশ্য দেখতে পাবো? সিদ্ধান্ত আপনার বিবেকের উপর ছেড়ে দেওয়া হলো। নিজেদের করনীয় নিজেরাই একটু চিন্তা করুন।আপনার কী করা দরকার।পশ্চিমাদের গনতন্ত্র নিয়ে বসে থাকবেন নাকি পশ্চিমাদের মদদপুষ্ট কুকি-চিন এর বিরুদ্ধে প্রস্তুতি নিবেন!
টেলিগ্রাম:t.me/voiceofshahibangal
টেলিগ্রাম:t.me/voiceofshahibangal
Telegram
Voice Of Shahi Bangal
অবিভক্ত বাংলার কণ্ঠস্বর
Forwarded from Al Firdaws
ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানে একটি বিশেষ সেনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নাম হজরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এটি থেকে প্রতিনিয়তই নতুন সদস্যরা সেনা প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে দেশটির সেনাবাহিনী বা ইসলামি আর্মি বাহিনীতে যুক্ত হচ্ছে।
সম্প্রতি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি থেকে আরও ৯৮৫ জন্য যুবক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছে, তাঁরা এখন ইসলামি আর্মি বাহিনীর অংশ। তাঁরা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটিতে গত ৪ মাস ধরে ধর্মীয়, পেশাগত ও সামরিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে সফলভাবে স্নাতক অর্জন করেছেন।
এ উপলক্ষে গত ৩১ মার্চ একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা করে কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইমারতে ইসলামিয়ার কর্মকর্তা ও মু*জা@হি#দিন নেতাগণ। এ সময় মু*জা@হি#দিন নেতারা তাদের বক্তব্যে দেশের স্বাধীনতা রক্ষার গুরুত্ব ও শত্রুর বিরুদ্ধে বিজয়ের ক্ষেত্রে সামরিক দক্ষতা অর্জনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। পাশাপাশি উন্নত অস্ত্র সরঞ্জামাদি প্রস্তুত রাখার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
সম্প্রতি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি থেকে আরও ৯৮৫ জন্য যুবক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছে, তাঁরা এখন ইসলামি আর্মি বাহিনীর অংশ। তাঁরা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটিতে গত ৪ মাস ধরে ধর্মীয়, পেশাগত ও সামরিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে সফলভাবে স্নাতক অর্জন করেছেন।
এ উপলক্ষে গত ৩১ মার্চ একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা করে কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইমারতে ইসলামিয়ার কর্মকর্তা ও মু*জা@হি#দিন নেতাগণ। এ সময় মু*জা@হি#দিন নেতারা তাদের বক্তব্যে দেশের স্বাধীনতা রক্ষার গুরুত্ব ও শত্রুর বিরুদ্ধে বিজয়ের ক্ষেত্রে সামরিক দক্ষতা অর্জনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। পাশাপাশি উন্নত অস্ত্র সরঞ্জামাদি প্রস্তুত রাখার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
#ভারতবর্ষ_ও_বাংলায়_মুসলিম_বিরুধী_ষড়যন্ত্র_ও_আগ্রাসন_৩
আপনি কী জানেন? তিতুমীর রাহ. হিন্দু জমিদারদের বিরুদ্ধে যে কয়টি কারণে যুদ্ধ করেছিলেন তার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে দাড়ির উপর নিষেধাজ্ঞা। হ্যা সেই সময় মুসলমানদের দাড়ি রাখতে হলেও হিন্দু জমিদারদেরকে খাজনা দিতে হতো। তাই ভেবে দেখতে হবে জঙ্গিবাদের নামে আজও সুন্নাহ এর উপর নিষেধাজ্ঞা কারা দিতে চায়?মনে রাখা দরকার তিতুমীর রাহ. হয়তো জান্নাতুল ফেরদৌসের বাসিন্দা হয়ে আছেন কিন্তু তার আদর্শিক সৈনিকেরা এখনো বাংলার জমিনে বিদ্যমান। আর জাহান্নামী হিন্দু মুশরিক জমিদারদের আদর্শিক সেনারাও বাংলার জমিনে বিদ্যমান। অর্থাৎ এই ঈমান ও কুফরের সংঘাত বাংলার জমিনে নতুন নয় বরং এর শিকড় অনেক গভীরে।
টেলিগ্রাম:t.me/voiceofshahibangal
আপনি কী জানেন? তিতুমীর রাহ. হিন্দু জমিদারদের বিরুদ্ধে যে কয়টি কারণে যুদ্ধ করেছিলেন তার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে দাড়ির উপর নিষেধাজ্ঞা। হ্যা সেই সময় মুসলমানদের দাড়ি রাখতে হলেও হিন্দু জমিদারদেরকে খাজনা দিতে হতো। তাই ভেবে দেখতে হবে জঙ্গিবাদের নামে আজও সুন্নাহ এর উপর নিষেধাজ্ঞা কারা দিতে চায়?মনে রাখা দরকার তিতুমীর রাহ. হয়তো জান্নাতুল ফেরদৌসের বাসিন্দা হয়ে আছেন কিন্তু তার আদর্শিক সৈনিকেরা এখনো বাংলার জমিনে বিদ্যমান। আর জাহান্নামী হিন্দু মুশরিক জমিদারদের আদর্শিক সেনারাও বাংলার জমিনে বিদ্যমান। অর্থাৎ এই ঈমান ও কুফরের সংঘাত বাংলার জমিনে নতুন নয় বরং এর শিকড় অনেক গভীরে।
টেলিগ্রাম:t.me/voiceofshahibangal
Telegram
Voice Of Shahi Bangal
অবিভক্ত বাংলার কণ্ঠস্বর
সবকিছুর পরেও একটা ভালো লাগার বিষয় হলো - গতকাল পুলিশে কর্মরত একজনকে দেখলাম আতরের দোকান থেকে আতর ক্রয় করার সময় ইণ্ডিয়ান কোম্পানির আতরগুলো বয়কট করতেছিলো। ইনশাআল্লাহ হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে আমাদের চূড়ান্ত লড়াইয়ের সময় প্রশাসন ও সামরিক বিভাগের অনেককেই হয়তো আমাদের পাশে পাবো।
টেলিগ্রাম:t.me/voiceofshahibangal
টেলিগ্রাম:t.me/voiceofshahibangal
Telegram
Voice Of Shahi Bangal
অবিভক্ত বাংলার কণ্ঠস্বর
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আমীরুল মুমিনীন শাইখুল কুরআন ওয়াল হাদীস মৌলভী হিবাতুল্লাহ আখুন্দযাদা হাফিযাহুল্লাহর বার্তা
بسم الله الرحمن الرحیم
الحمد لله نحمده ونستعينه ونستغفره ونتوب إليه ونعوذ بالله من شرور أنفسنا ومن سيئات أعمالنا من يهده الله فلا مضل له ومن يضلل فلا هادي له وأشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له وأشهد أن محمدا عبده ورسوله. أما بعد:فقد قال الله تعالي: قَدْ أَفْلَحَ مَنْ تَزَكَّى (۱۴) وَذَكَرَ اسْمَ رَبِّهِ فَصَلَّى (۱۵) سورة الأعلی
অনুবাদ: সাফল্য লাভ করবে সে, যে নিজেকে (ঈমানের মাধ্যমে গুনাহ থেকে) পরিশুদ্ধ করে। আর তার প্রতিপালকের নাম স্মরণ করে (তাকবীর দিয়ে) ও নামায কায়েম করে (যা ইসলামের নিদর্শন)।
কোনো কোনো মুফাসসির তাফসীরে কাবুলীর আলোকে বলেছেন যে, এখানে পরিশুদ্ধতা বলতে সাদাকাতুল ফিতর এবং যিকর বলতে ঈদের তাকবিরাতকে বোঝানো হয়েছে। নামায বলতে ঈদের নামায বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ ঈদের দিন সাদাকাতুল ফিতর আদায় করুন, তারপর তাকবীর বলুন এবং ঈদের নামায আদায় করুন।
عن ابن عباس رضی اللّٰه تعالیٰ عنه قال: في آخر رمضان أخرجوا صدقة صومکم فرض رسول اللّٰه ﷺ هذہ الصدقة صاعاً من تمر او شعیر او نصف صاع من قمح علی کل حرٍ او مملوکٍ ذکرٍ او أنثی، صغیرٍ او کبیرٍ. [رواه ابوداؤد]
অনুবাদ: বর্ণিত আছে যে, হযরত ইবনু আব্বাস রদিয়াল্লাহু আনহু রমাযানের শেষ দিনগুলোতে লোকদের বলেছিলেন, তোমরা তোমাদের রোযার যাকাত দাও। অর্থাৎ, সাদাকাতুল ফিতর প্রদান করো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক মুসলিম স্বাধীন, গোলাম, ক্রীতদাস, পুরুষ, মহিলা ও শিশুর উপর এক সা খেজুর ও যব নতুবা আধা সা গম বা এর সমমূল্য সাদাকাকে ফরয (ওয়াজিব) করেছেন।
و عنه قال: فرض رسول الله صلى الله عليه وسلم زكاة الفطر طُهرةً للصائم من اللغو والرفث، وطعمةً للمساكين. [رواه ابوداؤد]
অনুবাদ: হযরত ইবনু আব্বাস রদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোযাদারদের জন্য অহেতুক ও অসার কথাবার্তা থেকে পবিত্রতা অর্জন হিসেবে এবং অভাবগ্রস্তদের জন্য খাদ্য হিসাবে সাদাকাতুল ফিতর ওয়াজিব করেছেন।
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ صَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ . [متفق علیه]
অনুবাদ: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে (শরীয়াহকে সত্য বলে বিশ্বাস করে এবং রমাযানের বাধ্যবাধকতার প্রতি বিশ্বাস রেখে) এবং সওয়াব কামনা করে (রিয়া নয় বরং সম্পূর্ণ ইখলাসের সাথে) রোযা রাখে। তার গুনাহগুলো মাফ হয়ে যায়, যা সে ইতিপূর্বে করেছিল।
আ ফ গা নি স্তা নের মুমিন, মুজাহিদ ও জনসাধারণ এবং সারা বিশ্বের মুসলিমদের প্রতি!
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ,
আমি সকল মুসলিমকে ঈদুল ফিতরের অগ্রীম শুভেচ্ছা জানাই। আল্লাহ তাআলা আপনাদের রোযা, তারাবীহ, সাদাকাতুল ফিতর, নামায এবং অন্যান্য শারীরিক ও আর্থিক ইবাদতগুলোকে কবুল করে নিন।
প্রিয় ভাইয়েরা!
সর্বপ্রথম মহান আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া আদায় করি, যিনি আমাদেরকে ইসলামী শরীয়াহ ব্যবস্থা দান করেছেন এবং আমরা এ উজ্জ্বল ও পবিত্র ব্যবস্থার ছায়াতলে বসবাস করছি। মহান আল্লাহর রহমতে আমরা শান্তির পরিবেশে রোযা রেখেছি এবং আমরা ঈদুল ফিতরের দ্বারপ্রান্তে আছি এবং শান্তির পরিবেশে এই আনন্দ উদযাপন করছি।
মহান আল্লাহ বলেন,
لَئِنْ شَكَرْتُمْ لَأَزِيدَنَّكُمْ وَلَئِنْ كَفَرْتُمْ إِنَّ عَذَابِي لَشَدِيدٌ (آیة ۷ سورة ابراهیم).
অনুবাদ: যদি তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর তাহলে আমি অবশ্যই তোমাদের জন্য (আমার নি‘য়ামাত) বৃদ্ধি করে দেব, আর যদি তোমরা অকৃতজ্ঞ হও (তবে জেনে রেখ, অকৃতজ্ঞদের জন্য) আমার শাস্তি অবশ্যই কঠিন।
আল্লাহ আরো বলেন,
قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِمَّا يَجْمَعُونَ (۵۸)[سورة یونس]
অনুবাদ: বলুন, আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়ার বদৌলতে (তা এসেছে), এজন্য তারা আনন্দিত হোক। তারা যা স্তুপীকৃত করছে তার চেয়ে তা (অর্থাৎ হিদায়াত ও রহমাতপূর্ণ কুরআন) উত্তম।
যে নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা হয়, আল্লাহ তাআলা সেই নেয়ামত বাড়িয়ে দেন এবং অকৃতজ্ঞ হলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যা বড় বিপদ। তাই আমি আমার মুসলিম ভাইদেরকে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করার আহ্বান জানাই। সর্বদা আল্লাহর কৃতজ্ঞ বান্দা হওয়ার চেষ্টা করুন। আল্লাহ তাআলার প্রদত্ত শরীয়াহ ব্যবস্থা, শান্তি, ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্য সবকিছু থেকেই আমরা যুগ যুগ ধরে বঞ্চিত ছিলাম। আজ যখন আল্লাহ তাআলা আমাদের এই নেয়ামতগুলো দিয়েছেন, প্রথমে এজন্য শুকরিয়া আদায় করুন। এর সমর্থনে অটল থাকুন। একে সমর্থন করুন, একে সংশোধন করুন এবং এর প্রতি সদয় হন।
بسم الله الرحمن الرحیم
الحمد لله نحمده ونستعينه ونستغفره ونتوب إليه ونعوذ بالله من شرور أنفسنا ومن سيئات أعمالنا من يهده الله فلا مضل له ومن يضلل فلا هادي له وأشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له وأشهد أن محمدا عبده ورسوله. أما بعد:فقد قال الله تعالي: قَدْ أَفْلَحَ مَنْ تَزَكَّى (۱۴) وَذَكَرَ اسْمَ رَبِّهِ فَصَلَّى (۱۵) سورة الأعلی
অনুবাদ: সাফল্য লাভ করবে সে, যে নিজেকে (ঈমানের মাধ্যমে গুনাহ থেকে) পরিশুদ্ধ করে। আর তার প্রতিপালকের নাম স্মরণ করে (তাকবীর দিয়ে) ও নামায কায়েম করে (যা ইসলামের নিদর্শন)।
কোনো কোনো মুফাসসির তাফসীরে কাবুলীর আলোকে বলেছেন যে, এখানে পরিশুদ্ধতা বলতে সাদাকাতুল ফিতর এবং যিকর বলতে ঈদের তাকবিরাতকে বোঝানো হয়েছে। নামায বলতে ঈদের নামায বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ ঈদের দিন সাদাকাতুল ফিতর আদায় করুন, তারপর তাকবীর বলুন এবং ঈদের নামায আদায় করুন।
عن ابن عباس رضی اللّٰه تعالیٰ عنه قال: في آخر رمضان أخرجوا صدقة صومکم فرض رسول اللّٰه ﷺ هذہ الصدقة صاعاً من تمر او شعیر او نصف صاع من قمح علی کل حرٍ او مملوکٍ ذکرٍ او أنثی، صغیرٍ او کبیرٍ. [رواه ابوداؤد]
অনুবাদ: বর্ণিত আছে যে, হযরত ইবনু আব্বাস রদিয়াল্লাহু আনহু রমাযানের শেষ দিনগুলোতে লোকদের বলেছিলেন, তোমরা তোমাদের রোযার যাকাত দাও। অর্থাৎ, সাদাকাতুল ফিতর প্রদান করো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক মুসলিম স্বাধীন, গোলাম, ক্রীতদাস, পুরুষ, মহিলা ও শিশুর উপর এক সা খেজুর ও যব নতুবা আধা সা গম বা এর সমমূল্য সাদাকাকে ফরয (ওয়াজিব) করেছেন।
و عنه قال: فرض رسول الله صلى الله عليه وسلم زكاة الفطر طُهرةً للصائم من اللغو والرفث، وطعمةً للمساكين. [رواه ابوداؤد]
অনুবাদ: হযরত ইবনু আব্বাস রদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোযাদারদের জন্য অহেতুক ও অসার কথাবার্তা থেকে পবিত্রতা অর্জন হিসেবে এবং অভাবগ্রস্তদের জন্য খাদ্য হিসাবে সাদাকাতুল ফিতর ওয়াজিব করেছেন।
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ صَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ . [متفق علیه]
অনুবাদ: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে (শরীয়াহকে সত্য বলে বিশ্বাস করে এবং রমাযানের বাধ্যবাধকতার প্রতি বিশ্বাস রেখে) এবং সওয়াব কামনা করে (রিয়া নয় বরং সম্পূর্ণ ইখলাসের সাথে) রোযা রাখে। তার গুনাহগুলো মাফ হয়ে যায়, যা সে ইতিপূর্বে করেছিল।
আ ফ গা নি স্তা নের মুমিন, মুজাহিদ ও জনসাধারণ এবং সারা বিশ্বের মুসলিমদের প্রতি!
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ,
আমি সকল মুসলিমকে ঈদুল ফিতরের অগ্রীম শুভেচ্ছা জানাই। আল্লাহ তাআলা আপনাদের রোযা, তারাবীহ, সাদাকাতুল ফিতর, নামায এবং অন্যান্য শারীরিক ও আর্থিক ইবাদতগুলোকে কবুল করে নিন।
প্রিয় ভাইয়েরা!
সর্বপ্রথম মহান আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া আদায় করি, যিনি আমাদেরকে ইসলামী শরীয়াহ ব্যবস্থা দান করেছেন এবং আমরা এ উজ্জ্বল ও পবিত্র ব্যবস্থার ছায়াতলে বসবাস করছি। মহান আল্লাহর রহমতে আমরা শান্তির পরিবেশে রোযা রেখেছি এবং আমরা ঈদুল ফিতরের দ্বারপ্রান্তে আছি এবং শান্তির পরিবেশে এই আনন্দ উদযাপন করছি।
মহান আল্লাহ বলেন,
لَئِنْ شَكَرْتُمْ لَأَزِيدَنَّكُمْ وَلَئِنْ كَفَرْتُمْ إِنَّ عَذَابِي لَشَدِيدٌ (آیة ۷ سورة ابراهیم).
অনুবাদ: যদি তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর তাহলে আমি অবশ্যই তোমাদের জন্য (আমার নি‘য়ামাত) বৃদ্ধি করে দেব, আর যদি তোমরা অকৃতজ্ঞ হও (তবে জেনে রেখ, অকৃতজ্ঞদের জন্য) আমার শাস্তি অবশ্যই কঠিন।
আল্লাহ আরো বলেন,
قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِمَّا يَجْمَعُونَ (۵۸)[سورة یونس]
অনুবাদ: বলুন, আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়ার বদৌলতে (তা এসেছে), এজন্য তারা আনন্দিত হোক। তারা যা স্তুপীকৃত করছে তার চেয়ে তা (অর্থাৎ হিদায়াত ও রহমাতপূর্ণ কুরআন) উত্তম।
যে নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা হয়, আল্লাহ তাআলা সেই নেয়ামত বাড়িয়ে দেন এবং অকৃতজ্ঞ হলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যা বড় বিপদ। তাই আমি আমার মুসলিম ভাইদেরকে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করার আহ্বান জানাই। সর্বদা আল্লাহর কৃতজ্ঞ বান্দা হওয়ার চেষ্টা করুন। আল্লাহ তাআলার প্রদত্ত শরীয়াহ ব্যবস্থা, শান্তি, ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্য সবকিছু থেকেই আমরা যুগ যুগ ধরে বঞ্চিত ছিলাম। আজ যখন আল্লাহ তাআলা আমাদের এই নেয়ামতগুলো দিয়েছেন, প্রথমে এজন্য শুকরিয়া আদায় করুন। এর সমর্থনে অটল থাকুন। একে সমর্থন করুন, একে সংশোধন করুন এবং এর প্রতি সদয় হন।
আলেমদের সবচে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো ইসলামী ইমারাতের সকল জনসাধারণ ও কর্মকর্তাদেরকে আল্লাহর খেদমতে নিবদ্ধ রাখা। তাদের সংশোধন করতে থাকুন, তাদের ভালো পরামর্শ দিতে থাকুন, তাদের কল্যাণকর উপদেশ দিতে থাকুন, সর্বদা তাদের ইবাদতের দাওয়াত দিতে থাকুন।
মসজিদের ইমামদের দায়িত্ব তাদের মুসল্লী এবং সন্তানদের আকীদা, আমল ও নৈতিকতার বিষয়ে তালিম প্রদান করা এবং তাদের প্রতিদিনের ভিত্তিতে ইসলাহ করা। তাদের উপর ক্রমাগত কাজ করুন, বিশেষ করে আধুনিক ফিতনা থেকে তাদের রক্ষা করুন।
ইসলামী আইনের বাস্তবায়ন:
ইসলামের পবিত্র রুকন জি হা দ ফী সাবিলিল্লাহর মূল উদ্দেশ্য তাওহীদের কালিমাকে সমুন্নত করা এবং ইসলামী আইনের বাস্তবায়ন। ইসলামী ইমারত এই পবিত্র জি হা দের লক্ষ্য অর্জন এবং মুজা হিদী নদের আত্মত্যাগ রক্ষার্তে ইসলামের বুনিয়াদি আইনের বাস্তবায়নের প্রতি অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করে। আর এটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বর্তমানে বিভিন্ন প্রচেষ্টা চলমান। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, শরীয়তের দণ্ড-বিধি ও শাস্তি এবং শরীয়তের নীতিমালা অনুযায়ী আপোষহীনভাবে শরীয়াহ আদালত প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। নিষ্ঠুরতার অবসান ঘটিয়ে নির্যাতিতদের আর্তনাদে সাড়া দেয়া হচ্ছে। অসৎ কর্মে বাধাদান এবং সৎ কর্ম সম্পাদনে আমর বিল মারুফ নাহি আনিল মুনকার প্রতিষ্ঠার জন্য শরীয়তের নীতিমালা অনুযায়ী পবিত্র দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে। প্রদেশের উলামা পরিষদ প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে শরীয়াহ বিধি-বিধান বাস্তবায়ন করে এবং সেগুলোকে আরো ভালো করে তোলার পরামর্শ প্রদান করে। উলামায়ে কেরামের মধ্যে ঐকমত্য গড়ে তোলা এবং জনগণ ও সরকারের মধ্যে আস্থা গড়ে তোলার জন্য একটি নির্ধারিত পন্থা অবলম্বন করা হচ্ছে। প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষগণ উলামা পরিষদকে মানতে বাধ্য। প্রদেশগুলোর পর এবার জেলা পর্যায়েও এ ধরনের কাউন্সিল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশের সকল জেলায় আলেম ও উপজাতীয় প্রবীণদের কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করা হবে। সুতরাং প্রত্যেক মুসলমানের উপর দায়িত্ব হলো আদালতের রায়কে সম্মান ও বিশ্বাস করা, তাদের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকা এবং সেগুলো মেনে নেওয়া।
শিক্ষা-দীক্ষা:
নতুন প্রজন্মের ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি যুগোপযোগী শিক্ষার জন্য সমস্ত প্রদেশ এবং জেলায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম চালু (সক্রিয়) রয়েছে। এবং শত শত ধর্মীয় জ্ঞান প্রতিষ্ঠান চালু (সক্রিয়) করা হয়েছে। সমস্ত ইয়াতীমদের লালন-পালন, শিক্ষা এবং উন্নত সহায়তার জন্য প্রতিটি প্রদেশে এবং অনেক জেলায় ইয়াতিমখানা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যার ব্যবস্থাপনায় একটি নিয়মিত বিভাগ পরিচালনা করা হচ্ছে। নিজের সন্তানদের ভালোভাবে প্রশিক্ষিত করা, তাদেরকে আধুনিক শিক্ষা দেয়া এবং তাদের জন্য ধর্মীয় শিক্ষার সুযোগ করে দেয়া এটা প্রত্যেক মুসলিম ভাইয়ের কর্তব্য।
শান্তি ও নিরাপত্তা:
আ ফ গা নি স্তা ন কয়েক যুগ ধরে অশান্তি, দুর্দশা ও অসুবিধার মধ্য দিয়ে কাটিয়েছে। অনেক কষ্ট ও ত্যাগ-তিতিক্ষার পর আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা একে এমন এক বড় পুরষ্কারে ভূষিত করেছেন যে এখানে শান্তি-শৃঙ্খলার পরিবেশ প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। এখানে বাহ্যিকভাবেও শান্তি, নিরাপত্তা ও প্রশান্তি রয়েছে আবার ভিতরগত (অভ্যন্তরীণ) বা আধ্যাত্মিকভাবেও রয়েছে।
বাহ্যিক শান্তির অর্থ হলো—এখানে জনগণের জানমাল ও ইজ্জত উভয়ই সুরক্ষিত। আর অভ্যন্তরীন শান্তির অর্থ হলো—দেশের মধ্যে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এসেছে। এটা আল্লাহ তাআলার অনেক বড় নেয়ামত। এখন আপনারা সবাই এই দুই প্রকারের শান্তি রক্ষা করবেন। নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষকে সব ধরনের সহায়তা করবেন। এবং এটাকে নিজেদের কর্তব্য মনে করে করবে। কেননা আল্লাহ তাআলা সৎ কাজের বেলায় মানুষকে সহায়তা করতে এবং মন্দ কাজে নিষেধ করাকে আমাদের জন্য ফরয করেছেন। অতএব দুর্নীতিবাজদের প্রতিরোধ করুন। শান্তি প্রতিষ্ঠা আপনাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। যদি বিনা কারণে কারো র ক্ত পা ত ঘটে তাহলে আপনারা সবাই এর জন্য দায়ী হবেন। কেননা আল্লাহ প্রত্যেক মুসলমানের জন্য মন্দ কাজ প্রতিরোধ করাকে ফরয করেছেন। নিজ শহর এবং রাস্তার অলি-গলির নিরাপত্তার দিকে মনোনিবেশ করুন। এবং নিরাপত্তা সংস্থাকে সর্বোপরি সহযোগিতা করুন।
অর্থনীতি:
ইসলামী হুকুমতের শরয়ী দায়িত্বগুলোর মধ্যে একটি হলো এর প্রজাদের অর্থনৈতিক বিষয়ের দেখাশোনা করা। এবং অভাব ও দারিদ্র্যতা থেকে তাদের বের করে আনা। যাতে করে প্রত্যেক নাগরিকই নিজ হাতে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে। ইমারত কলকারখানা ও জনহিতকর কাজ শুরু করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। যাতে জনগণের রুটি-রুজির ব্যবস্থা হয়। সাধ্য অনুযায়ী এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং কিছু প্রকল্পের কাজও চলমান। আপনারাও অলসতায় গা ভাসাবেন না বরং ব্যক্তিগত ও সম্মিলিতভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির চেষ্টা করুন। একসাথে ছোট এবং বড় কোম্পানি গঠন করুন। কৃষি ও শিল্পের জন্য পথ তৈরি করুন। সবাই একত্রে ইসলামী ইমারতের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করুন। ইসলামী ইমারত আপনার ক্ষেত, খামারের জন্য পানি
মসজিদের ইমামদের দায়িত্ব তাদের মুসল্লী এবং সন্তানদের আকীদা, আমল ও নৈতিকতার বিষয়ে তালিম প্রদান করা এবং তাদের প্রতিদিনের ভিত্তিতে ইসলাহ করা। তাদের উপর ক্রমাগত কাজ করুন, বিশেষ করে আধুনিক ফিতনা থেকে তাদের রক্ষা করুন।
ইসলামী আইনের বাস্তবায়ন:
ইসলামের পবিত্র রুকন জি হা দ ফী সাবিলিল্লাহর মূল উদ্দেশ্য তাওহীদের কালিমাকে সমুন্নত করা এবং ইসলামী আইনের বাস্তবায়ন। ইসলামী ইমারত এই পবিত্র জি হা দের লক্ষ্য অর্জন এবং মুজা হিদী নদের আত্মত্যাগ রক্ষার্তে ইসলামের বুনিয়াদি আইনের বাস্তবায়নের প্রতি অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করে। আর এটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বর্তমানে বিভিন্ন প্রচেষ্টা চলমান। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, শরীয়তের দণ্ড-বিধি ও শাস্তি এবং শরীয়তের নীতিমালা অনুযায়ী আপোষহীনভাবে শরীয়াহ আদালত প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। নিষ্ঠুরতার অবসান ঘটিয়ে নির্যাতিতদের আর্তনাদে সাড়া দেয়া হচ্ছে। অসৎ কর্মে বাধাদান এবং সৎ কর্ম সম্পাদনে আমর বিল মারুফ নাহি আনিল মুনকার প্রতিষ্ঠার জন্য শরীয়তের নীতিমালা অনুযায়ী পবিত্র দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে। প্রদেশের উলামা পরিষদ প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে শরীয়াহ বিধি-বিধান বাস্তবায়ন করে এবং সেগুলোকে আরো ভালো করে তোলার পরামর্শ প্রদান করে। উলামায়ে কেরামের মধ্যে ঐকমত্য গড়ে তোলা এবং জনগণ ও সরকারের মধ্যে আস্থা গড়ে তোলার জন্য একটি নির্ধারিত পন্থা অবলম্বন করা হচ্ছে। প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষগণ উলামা পরিষদকে মানতে বাধ্য। প্রদেশগুলোর পর এবার জেলা পর্যায়েও এ ধরনের কাউন্সিল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশের সকল জেলায় আলেম ও উপজাতীয় প্রবীণদের কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করা হবে। সুতরাং প্রত্যেক মুসলমানের উপর দায়িত্ব হলো আদালতের রায়কে সম্মান ও বিশ্বাস করা, তাদের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকা এবং সেগুলো মেনে নেওয়া।
শিক্ষা-দীক্ষা:
নতুন প্রজন্মের ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি যুগোপযোগী শিক্ষার জন্য সমস্ত প্রদেশ এবং জেলায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম চালু (সক্রিয়) রয়েছে। এবং শত শত ধর্মীয় জ্ঞান প্রতিষ্ঠান চালু (সক্রিয়) করা হয়েছে। সমস্ত ইয়াতীমদের লালন-পালন, শিক্ষা এবং উন্নত সহায়তার জন্য প্রতিটি প্রদেশে এবং অনেক জেলায় ইয়াতিমখানা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যার ব্যবস্থাপনায় একটি নিয়মিত বিভাগ পরিচালনা করা হচ্ছে। নিজের সন্তানদের ভালোভাবে প্রশিক্ষিত করা, তাদেরকে আধুনিক শিক্ষা দেয়া এবং তাদের জন্য ধর্মীয় শিক্ষার সুযোগ করে দেয়া এটা প্রত্যেক মুসলিম ভাইয়ের কর্তব্য।
শান্তি ও নিরাপত্তা:
আ ফ গা নি স্তা ন কয়েক যুগ ধরে অশান্তি, দুর্দশা ও অসুবিধার মধ্য দিয়ে কাটিয়েছে। অনেক কষ্ট ও ত্যাগ-তিতিক্ষার পর আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা একে এমন এক বড় পুরষ্কারে ভূষিত করেছেন যে এখানে শান্তি-শৃঙ্খলার পরিবেশ প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। এখানে বাহ্যিকভাবেও শান্তি, নিরাপত্তা ও প্রশান্তি রয়েছে আবার ভিতরগত (অভ্যন্তরীণ) বা আধ্যাত্মিকভাবেও রয়েছে।
বাহ্যিক শান্তির অর্থ হলো—এখানে জনগণের জানমাল ও ইজ্জত উভয়ই সুরক্ষিত। আর অভ্যন্তরীন শান্তির অর্থ হলো—দেশের মধ্যে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এসেছে। এটা আল্লাহ তাআলার অনেক বড় নেয়ামত। এখন আপনারা সবাই এই দুই প্রকারের শান্তি রক্ষা করবেন। নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষকে সব ধরনের সহায়তা করবেন। এবং এটাকে নিজেদের কর্তব্য মনে করে করবে। কেননা আল্লাহ তাআলা সৎ কাজের বেলায় মানুষকে সহায়তা করতে এবং মন্দ কাজে নিষেধ করাকে আমাদের জন্য ফরয করেছেন। অতএব দুর্নীতিবাজদের প্রতিরোধ করুন। শান্তি প্রতিষ্ঠা আপনাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। যদি বিনা কারণে কারো র ক্ত পা ত ঘটে তাহলে আপনারা সবাই এর জন্য দায়ী হবেন। কেননা আল্লাহ প্রত্যেক মুসলমানের জন্য মন্দ কাজ প্রতিরোধ করাকে ফরয করেছেন। নিজ শহর এবং রাস্তার অলি-গলির নিরাপত্তার দিকে মনোনিবেশ করুন। এবং নিরাপত্তা সংস্থাকে সর্বোপরি সহযোগিতা করুন।
অর্থনীতি:
ইসলামী হুকুমতের শরয়ী দায়িত্বগুলোর মধ্যে একটি হলো এর প্রজাদের অর্থনৈতিক বিষয়ের দেখাশোনা করা। এবং অভাব ও দারিদ্র্যতা থেকে তাদের বের করে আনা। যাতে করে প্রত্যেক নাগরিকই নিজ হাতে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে। ইমারত কলকারখানা ও জনহিতকর কাজ শুরু করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। যাতে জনগণের রুটি-রুজির ব্যবস্থা হয়। সাধ্য অনুযায়ী এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং কিছু প্রকল্পের কাজও চলমান। আপনারাও অলসতায় গা ভাসাবেন না বরং ব্যক্তিগত ও সম্মিলিতভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির চেষ্টা করুন। একসাথে ছোট এবং বড় কোম্পানি গঠন করুন। কৃষি ও শিল্পের জন্য পথ তৈরি করুন। সবাই একত্রে ইসলামী ইমারতের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করুন। ইসলামী ইমারত আপনার ক্ষেত, খামারের জন্য পানি
সরবরাহ এবং শিল্প কারখানা স্থাপনের জন্য আরো ভালো সুবিধা দেয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে। আমাদের ভরসা কেবল মহান আল্লাহর উপর। আপনি জীবিকা উৎপন্ন করার সব বৈধ উপায় কোন একটিকে গ্রহণ করুন। অবৈধ কাজ এড়িয়ে চলুন। হালাল সম্পদ উপার্জন করুন। অন্যের উপর নির্ভর করবেন না এবং কারো কাছ থেকে সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করবেন না।
প্রত্যেক দলের সাথে ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী আচরণ:
ইমারতে ইসলামিয়া আ ফ গা নি স্তা ন নিজস্ব ইসলামি শরয়ী নীতি অনুযায়ী পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে উভয় পক্ষের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে, সবার সাথে সুসম্পর্ক চায়। এবং সবাই যাতে ইমারতে ইসলামিয়ার এই নেক নিয়ত ও সদিচ্ছাকে সন্দেহের দৃষ্টিতে না দেখে সে আশাই রাখে। আমাদের প্রতিশ্রুতি প্রতিশ্রুতিই থাকবে, আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতিতে অটল। আমরা তাদের থেকে এ আশা রাখি যে তারা আ ফ গা নি স্তা নের সীমানা, স্বার্থ ও সম্মানের প্রতি লক্ষ্য রাখবে। আমরা এ অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে পবিত্র ধর্ম ইসলামের আলোকে ভারসাম্যপূর্ণ ও অর্থনীতিমুখী রাজনৈতিক সম্পর্কের নীতি কামনা করি। আমরা সবার সাথে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চাই, এবং তাদেরও উচিত আ ফ গা নি স্তা নের শান্তি ও নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নকে উত্তম সুযোগ মনে করে সম্পর্ক স্থাপন করা, এবং আস্থার পরিবেশ ও সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে নীতি প্রনয়ণ করা। ইমারতে ইসলামিয়ার সার্বিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে যে, তারা পুরো বিশ্ব বিশেষ করে ইসলামি দেশগুলোর সাথে উত্তম ভরসা ও আস্থার পরিবেশের জন্য সুসম্পর্ক স্থাপন করবে। ইসলামি বিশ্বের সাথে ইমারতে ইসলামিয়ার সম্পর্ক ধর্মীয় ভ্রাতৃত্বের উপর প্রতিষ্ঠিত। সকল মুসলমান আমাদের ভাই—এই উসূলকে সামনে রেখে আমাদের মাঝে একই দীন আকীদা ও আস্থার সম্পর্ক বিদ্যমান।
আমাদের সবার স্বার্থ এক। তাই আমাদের নীতি-নৈতিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গিও এক হওয়া কাম্য। অতএব আমরা একে অপরের দুঃখ-কষ্টে শরীক হবো এবং নিজের সাধ্যানুযায়ী পরস্পরের সহযোগিতা করবো।
ফিলিস্তিন সমস্যা:
ফিলিস্তিন সমস্যা সমগ্র মুসলিম উম্মাহর সমস্যা। আমরা আবারও গা জা য় ই স রা য়ে লি আগ্রাসনের নিন্দা জানাই। আমরা ই স রা য়ে লি হানাদারদের অত্যাচার যত দ্রুত সম্ভব বন্ধ করার জন্য সমগ্র মুসলিম বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে সেখানকার অত্যাচার ও আগ্রাসন বন্ধ হয়। বিশেষ করে মুসলিম উম্মাহর দায়িত্ব রয়েছে নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের অবস্থানকে সমর্থন করা এবং তাদের সম্পদ ও সামর্থ্য অনুযায়ী ফিলিস্তিনিদের সাহায্য করা। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, সারা বিশ্বের মানবাধিকার কর্মীরা ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নৃশংসতা দেখছে। অথচ এখন পর্যন্ত কোনো আন্তর্জাতিক পক্ষই এসব নৃশংসতার অবসান ঘটাতে বাস্তবসম্মত কোন পদক্ষেপ নেয়নি এবং এই বিশাল (গ ন হ ত্যা) ট্র্যাজেডির ব্যাপারে তারা কোনো ভূমিকা পালন করেনি।
মাদক নিষিদ্ধকরণ:
আমি আশাকরি ইসলামী ইমারতের শরয়ী দায়িত্ব অনুযায়ী দেশে মাদকের চাষ নিষিদ্ধ করা এবং জনগণের মধ্যে ইসলামী ইমারতের আদেশ বাস্তবায়ন একটি বড় সাফল্য। ইসলামী ইমারতের দৃঢ় সংকল্পের সাথে কাজটি সম্পন্ন করা প্রমাণ করে যে ইসলামী ইমারত তার জনগণের সমর্থন এবং আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এটি স্পষ্ট করে যে আ ফ গা নি স্তা ন মাদকমুক্ত হচ্ছে ইনশাআল্লাহ।
একই সময়ে, কাবুল এবং দেশের অন্যান্য প্রদেশে মাদকাসক্তদের একত্রিত করে চিকিৎসার দেয়ার পর সুস্থতার সাথে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা আরেকটি শরীয়ত কর্তৃক দায়িত্ব যা ইসলামী ইমারত পালন করছে এবং এটি দেশ, জাতি, জনগণ, এবং (মাদকাসক্তদের) তাদের পরিবারের একটি বড় অংশের সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।
ইসলামী ইমারতের প্রসাশনিক কর্মকর্তা ও মু জা হি দী ন দের প্রতি আমীরুল মুমিনীনের উপদেশ ও নির্দেশনা:
আপনাদের সবার জন্য নিচে কিছু নসিহত ও নির্দেশনা পেশ করা হলো। এগুলো অনুসরণ করুন এবং প্রত্যেক দায়িত্বশীল ব্যক্তি তার অধীনস্থদের সাথে এটি শেয়ার করুন। যাতে আমরা আমাদের জনগণদের ভালোভাবে খেদমত করতে পারি, তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে পারি এবং তাদের শরয়ী অধিকার প্রদান করতে পারি।
১. সমস্ত দায়িত্বশীলদের নিজের কাজের প্রতি আগ্রহী ও মনোযোগী হতে হবে। আ ফ গা নি স্তা নের নাগরিকদের কাজ প্রতিটি মন্ত্রণালয়, প্রশাসনিক বিভাগ এবং প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষের সাথে সম্পর্কিত।
একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি ও শাসক তার দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে এতে অনেক মানুষের অধিকার নষ্ট হয় এবং দায়িত্বশীল ব্যক্তি ও কর্তৃপক্ষের অবহেলার জন্য শরীয়তে কোনো অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়।
২. প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজেদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও আন্তরিকতার সাথে বসবাস করতে হবে। মতানৈক্য এবং অহংকারবোধ এড়িয়ে চলুন। এর ফলে জি হা দের সফলতা অর্থাৎ ইসলামী ব্যবস্থার সার্বভৌমত্ব সুরক্ষিত হবে। সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে আ ফ গা নি স্তা নের জি হা দ সফল হয়েছিল। সোভিয়েত ইউনিয়ন পরাজিত হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ঐক্য ও ঐক্যবদ্ধ
প্রত্যেক দলের সাথে ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী আচরণ:
ইমারতে ইসলামিয়া আ ফ গা নি স্তা ন নিজস্ব ইসলামি শরয়ী নীতি অনুযায়ী পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে উভয় পক্ষের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে, সবার সাথে সুসম্পর্ক চায়। এবং সবাই যাতে ইমারতে ইসলামিয়ার এই নেক নিয়ত ও সদিচ্ছাকে সন্দেহের দৃষ্টিতে না দেখে সে আশাই রাখে। আমাদের প্রতিশ্রুতি প্রতিশ্রুতিই থাকবে, আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতিতে অটল। আমরা তাদের থেকে এ আশা রাখি যে তারা আ ফ গা নি স্তা নের সীমানা, স্বার্থ ও সম্মানের প্রতি লক্ষ্য রাখবে। আমরা এ অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে পবিত্র ধর্ম ইসলামের আলোকে ভারসাম্যপূর্ণ ও অর্থনীতিমুখী রাজনৈতিক সম্পর্কের নীতি কামনা করি। আমরা সবার সাথে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চাই, এবং তাদেরও উচিত আ ফ গা নি স্তা নের শান্তি ও নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নকে উত্তম সুযোগ মনে করে সম্পর্ক স্থাপন করা, এবং আস্থার পরিবেশ ও সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে নীতি প্রনয়ণ করা। ইমারতে ইসলামিয়ার সার্বিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে যে, তারা পুরো বিশ্ব বিশেষ করে ইসলামি দেশগুলোর সাথে উত্তম ভরসা ও আস্থার পরিবেশের জন্য সুসম্পর্ক স্থাপন করবে। ইসলামি বিশ্বের সাথে ইমারতে ইসলামিয়ার সম্পর্ক ধর্মীয় ভ্রাতৃত্বের উপর প্রতিষ্ঠিত। সকল মুসলমান আমাদের ভাই—এই উসূলকে সামনে রেখে আমাদের মাঝে একই দীন আকীদা ও আস্থার সম্পর্ক বিদ্যমান।
আমাদের সবার স্বার্থ এক। তাই আমাদের নীতি-নৈতিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গিও এক হওয়া কাম্য। অতএব আমরা একে অপরের দুঃখ-কষ্টে শরীক হবো এবং নিজের সাধ্যানুযায়ী পরস্পরের সহযোগিতা করবো।
ফিলিস্তিন সমস্যা:
ফিলিস্তিন সমস্যা সমগ্র মুসলিম উম্মাহর সমস্যা। আমরা আবারও গা জা য় ই স রা য়ে লি আগ্রাসনের নিন্দা জানাই। আমরা ই স রা য়ে লি হানাদারদের অত্যাচার যত দ্রুত সম্ভব বন্ধ করার জন্য সমগ্র মুসলিম বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে সেখানকার অত্যাচার ও আগ্রাসন বন্ধ হয়। বিশেষ করে মুসলিম উম্মাহর দায়িত্ব রয়েছে নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের অবস্থানকে সমর্থন করা এবং তাদের সম্পদ ও সামর্থ্য অনুযায়ী ফিলিস্তিনিদের সাহায্য করা। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, সারা বিশ্বের মানবাধিকার কর্মীরা ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নৃশংসতা দেখছে। অথচ এখন পর্যন্ত কোনো আন্তর্জাতিক পক্ষই এসব নৃশংসতার অবসান ঘটাতে বাস্তবসম্মত কোন পদক্ষেপ নেয়নি এবং এই বিশাল (গ ন হ ত্যা) ট্র্যাজেডির ব্যাপারে তারা কোনো ভূমিকা পালন করেনি।
মাদক নিষিদ্ধকরণ:
আমি আশাকরি ইসলামী ইমারতের শরয়ী দায়িত্ব অনুযায়ী দেশে মাদকের চাষ নিষিদ্ধ করা এবং জনগণের মধ্যে ইসলামী ইমারতের আদেশ বাস্তবায়ন একটি বড় সাফল্য। ইসলামী ইমারতের দৃঢ় সংকল্পের সাথে কাজটি সম্পন্ন করা প্রমাণ করে যে ইসলামী ইমারত তার জনগণের সমর্থন এবং আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এটি স্পষ্ট করে যে আ ফ গা নি স্তা ন মাদকমুক্ত হচ্ছে ইনশাআল্লাহ।
একই সময়ে, কাবুল এবং দেশের অন্যান্য প্রদেশে মাদকাসক্তদের একত্রিত করে চিকিৎসার দেয়ার পর সুস্থতার সাথে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা আরেকটি শরীয়ত কর্তৃক দায়িত্ব যা ইসলামী ইমারত পালন করছে এবং এটি দেশ, জাতি, জনগণ, এবং (মাদকাসক্তদের) তাদের পরিবারের একটি বড় অংশের সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।
ইসলামী ইমারতের প্রসাশনিক কর্মকর্তা ও মু জা হি দী ন দের প্রতি আমীরুল মুমিনীনের উপদেশ ও নির্দেশনা:
আপনাদের সবার জন্য নিচে কিছু নসিহত ও নির্দেশনা পেশ করা হলো। এগুলো অনুসরণ করুন এবং প্রত্যেক দায়িত্বশীল ব্যক্তি তার অধীনস্থদের সাথে এটি শেয়ার করুন। যাতে আমরা আমাদের জনগণদের ভালোভাবে খেদমত করতে পারি, তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে পারি এবং তাদের শরয়ী অধিকার প্রদান করতে পারি।
১. সমস্ত দায়িত্বশীলদের নিজের কাজের প্রতি আগ্রহী ও মনোযোগী হতে হবে। আ ফ গা নি স্তা নের নাগরিকদের কাজ প্রতিটি মন্ত্রণালয়, প্রশাসনিক বিভাগ এবং প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষের সাথে সম্পর্কিত।
একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি ও শাসক তার দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে এতে অনেক মানুষের অধিকার নষ্ট হয় এবং দায়িত্বশীল ব্যক্তি ও কর্তৃপক্ষের অবহেলার জন্য শরীয়তে কোনো অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়।
২. প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজেদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও আন্তরিকতার সাথে বসবাস করতে হবে। মতানৈক্য এবং অহংকারবোধ এড়িয়ে চলুন। এর ফলে জি হা দের সফলতা অর্থাৎ ইসলামী ব্যবস্থার সার্বভৌমত্ব সুরক্ষিত হবে। সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে আ ফ গা নি স্তা নের জি হা দ সফল হয়েছিল। সোভিয়েত ইউনিয়ন পরাজিত হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ঐক্য ও ঐক্যবদ্ধ
প্রসাশনিক প্লাটফর্ম ছিল না, অহংকারবোধ ছিল, ফলে জি হা দের ফল পাওয়া যায়নি, ইসলামী ব্যবস্থা বহাল থাকতে পারেনি এবং আ ফ গা নি স্তা নকে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে।
৩. মানুষের প্রতি কঠোর হয়ে অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে না। বরং শরীয়া আইন ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ বাস্তবায়নের মধ্যে নিরাপত্তা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা লুকিয়ে আছে।
আর যেকোনো ভাবে শরীয়তের বিরোধিতা করলেই অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। তাই আমাদের আত্ম-সংশোধন প্রয়োজন, মনে রাখতে হবে, প্রতিটি দায়িত্বশীল সদস্যের পাপ পুরো জাতি ও সিস্টেমের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে।
৪. জুলুম নির্যাতন থেকে নিজেকে বাঁচান। কারো প্রতি অবিচার করা হলে একজন নির্যাতিত ব্যক্তির বদদুআ পুরো ব্যবস্থাকে নাড়িয়ে দেয়। কারণ, মাযলুমের বদদুআ ও আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের মধ্যে কোনো পর্দা নেই।
৫. শ ত্রুরা আশা করে যে কমিউনিজমের বিরুদ্ধে জি হা দের সাফল্যের পরে যেভাবে মুজাহিদদের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে ঠিক সেভাবে ইসলামী ইমারতের নেতাদের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দেবে।
আমরা তাদের বলি যে, তোমাদের এই ইচ্ছা কখনো পূরণ হবে না। ইনশাআল্লাহ!
قُلْ مُوتُوا بِغَيْظِكُمْ إِنَّ الله عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ.
(আপনি) বলুন, তোমরা নিজেদের ক্রোধে মৃত্যু বরণ করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা (মানুষের) অন্তরের ব্যাপারে সর্বজ্ঞ।
৬. আফগানিস্তানের জনগণ অনেক কষ্ট ও বিপদ বরদাস্ত করেছে। তাদের উপর অনেক অত্যাচার করা হয়েছে। এই মানুষগুলো অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। তাদের আত্মত্যাগের ফসল ইসলামী ইমারত নামের এই সাফল্য। এজন্য এই মানুষদের অনেক মূল্য দিন। তাদের সেবা করুন এবং তাদের কান্নার কারন শুনুন। যে লোকেরা গতকাল আমাদেরকে তাদের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিল, তাদের অর্ধেক খাবার দিয়েছিল, আজ যদি আমরা তাদের ভুলে যাই, এটি একটি বিশাল নিমকহারামি—যা মু জা হি দী ন দের শান ও বৈশিষ্ট্য নয়।
৭. কেউ যেন অন্যায়ভাবে কষ্ট না পায়। যদি কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়, তাহলে আগে তদন্ত করে নিশ্চিত হওয়া উচিত যে কেউ তার বিরুদ্ধে অন্যায় অভিযোগ করেছে কিনা এবং ছোট অপরাধে তাকে যেন খুব বেশি কষ্ট না দেওয়া হয়। তাই কারো ক্ষতি না করার জন্য সতর্ক থাকুন।
৮. ইসলামী ইমারতে কোনো প্রকার বিভেদ ও বৈষম্য জায়গা পেতে পারে না। দক্ষিণ থেকে একজনকে উত্তরে দায়িত্বে নিযুক্ত করা হবে এবং উত্তর থেকে একজনকে দক্ষিণে দায়িত্ব দেওয়া হবে। তাঁরা স্ব-স্ব স্থানে ফিরে দায়িত্ব পালন করবে।
৯. তাকওয়া, যোগ্যতা ও বিশ্বস্ততার ভিত্তিতে পদোন্নতি দেওয়া হবে। দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের মধ্যে জাতি, গোত্র, ভাষা, অঞ্চল, সম্পর্কের চিন্তা যেন না আসে, এটি আসা উচিত নয়। আর কেউ যদি এই রোগে আক্রান্ত হয়, তাহলে সবার উচিত তার প্রতি মনোযোগ দেওয়া এবং তাকে প্রতিরোধ করা।
১০. যেকোনো স্থানে যেকোনো ব্যক্তি প্রয়োজনের মুখাপেক্ষী হলে তাঁর সেবা ও সাহায্যে বিলম্ব করবেন না। কে কোথাকার হিসেব করে তার মধ্যে কোনো পার্থক্য করবেন না।
১১. এই সময় অতিবাহিত হয়ে যাবে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভালো ইতিহাস, ভালো কর্মপন্থা ও ভালো নীতি রেখে যাওয়ার চেষ্টা করা উচিত। আখেরাত ও আল্লাহর সন্তুষ্টির প্রতি অধিক মনোযোগ দিন।
১২. আল্লাহ পরাক্রমশালী, আমাদের রক্ষাকর্তা ও রিযিকদাতা। দুনিয়ার সব শক্তি মিলেও আপনার রিযিক কেড়ে নিতে পারে না, রিযিক বন্ধ করতেও পারবে না। তারা ইচ্ছা করলেই আমাদের জীবন কেড়েও নিতে পারবে না। আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন এবং আল্লাহকে খুশি করার চেষ্টা করুন।
১৩. ইসলামিক বিধি-বিধান এবং নৈতিকতা অনুসরণ করতে লোকেদের উৎসাহিত করুন। জবরদস্তি এবং প্ররোচনার আশ্রয় গ্রহণ করবেন না, এতে মানুষ আপনার শত্রুতে পরিণত হবে। জোর করলে লোকেরা আপনাকে ঘৃণা করবে। আর উৎসাহ-উদ্দীপনা দিলে তারা আপনার বন্ধু ও সমর্থক হয়ে উঠবে।
১৪. জি হা দের সময় ধারণকৃত শরয়ী অভ্যাস এবং দ্বীনি মামুলাত (ধর্মীয় রুটিং) এবং শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ অব্যাহত রাখার চেষ্টা করুন।
১৫. পবিত্র কুরআনের সাথে সম্পর্কযুক্ত হন। দিনে অন্তত একবার কুরআন শরীফের তেলাওয়াত করুন।
১৬. কোনো বড় পদে খুশি হবেন না। আর কোনো পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হলে রাগ করবেন না। এর মানে, পদের সাথে সংযুক্ত হবেন না।
১৭. অতীতের কুখ্যাত লোকদের কাছ থেকে শিক্ষা নিন। অতএব, কুখ্যাতি এবং সন্দেহ সৃষ্টিকারী কাজগুলি এড়িয়ে চলুন। বরং নিজের মধ্যে নেককার সালাফদের নৈতিকতা গড়ে তুলুন।
গরীবদের সাহায্য করা:
আমি আ ফ গা নি স্তা নের ধনী ব্যক্তিদের এই শুভ দিনগুলোতে দরিদ্র আফ গান নাগরিকদের স্মরণ করতে বলছি। এরাও আমাদের ভাই। তাদের সহযোগিতা করা আমাদের কর্তব্য। প্রত্যেকের উচিত নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী গরীবদের সাহায্য করা।
পরিশেষে, আবারও সবাইকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আল্লাহ সকলকে সকল প্রকার বিপদ আপদ থেকে হেফাযত করুন। আল্লাহ আপনাদেরকে সফলতা দান করুন।
ওয়াসসালাম।
৩. মানুষের প্রতি কঠোর হয়ে অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে না। বরং শরীয়া আইন ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ বাস্তবায়নের মধ্যে নিরাপত্তা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা লুকিয়ে আছে।
আর যেকোনো ভাবে শরীয়তের বিরোধিতা করলেই অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। তাই আমাদের আত্ম-সংশোধন প্রয়োজন, মনে রাখতে হবে, প্রতিটি দায়িত্বশীল সদস্যের পাপ পুরো জাতি ও সিস্টেমের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে।
৪. জুলুম নির্যাতন থেকে নিজেকে বাঁচান। কারো প্রতি অবিচার করা হলে একজন নির্যাতিত ব্যক্তির বদদুআ পুরো ব্যবস্থাকে নাড়িয়ে দেয়। কারণ, মাযলুমের বদদুআ ও আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের মধ্যে কোনো পর্দা নেই।
৫. শ ত্রুরা আশা করে যে কমিউনিজমের বিরুদ্ধে জি হা দের সাফল্যের পরে যেভাবে মুজাহিদদের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে ঠিক সেভাবে ইসলামী ইমারতের নেতাদের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দেবে।
আমরা তাদের বলি যে, তোমাদের এই ইচ্ছা কখনো পূরণ হবে না। ইনশাআল্লাহ!
قُلْ مُوتُوا بِغَيْظِكُمْ إِنَّ الله عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ.
(আপনি) বলুন, তোমরা নিজেদের ক্রোধে মৃত্যু বরণ করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা (মানুষের) অন্তরের ব্যাপারে সর্বজ্ঞ।
৬. আফগানিস্তানের জনগণ অনেক কষ্ট ও বিপদ বরদাস্ত করেছে। তাদের উপর অনেক অত্যাচার করা হয়েছে। এই মানুষগুলো অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। তাদের আত্মত্যাগের ফসল ইসলামী ইমারত নামের এই সাফল্য। এজন্য এই মানুষদের অনেক মূল্য দিন। তাদের সেবা করুন এবং তাদের কান্নার কারন শুনুন। যে লোকেরা গতকাল আমাদেরকে তাদের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিল, তাদের অর্ধেক খাবার দিয়েছিল, আজ যদি আমরা তাদের ভুলে যাই, এটি একটি বিশাল নিমকহারামি—যা মু জা হি দী ন দের শান ও বৈশিষ্ট্য নয়।
৭. কেউ যেন অন্যায়ভাবে কষ্ট না পায়। যদি কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়, তাহলে আগে তদন্ত করে নিশ্চিত হওয়া উচিত যে কেউ তার বিরুদ্ধে অন্যায় অভিযোগ করেছে কিনা এবং ছোট অপরাধে তাকে যেন খুব বেশি কষ্ট না দেওয়া হয়। তাই কারো ক্ষতি না করার জন্য সতর্ক থাকুন।
৮. ইসলামী ইমারতে কোনো প্রকার বিভেদ ও বৈষম্য জায়গা পেতে পারে না। দক্ষিণ থেকে একজনকে উত্তরে দায়িত্বে নিযুক্ত করা হবে এবং উত্তর থেকে একজনকে দক্ষিণে দায়িত্ব দেওয়া হবে। তাঁরা স্ব-স্ব স্থানে ফিরে দায়িত্ব পালন করবে।
৯. তাকওয়া, যোগ্যতা ও বিশ্বস্ততার ভিত্তিতে পদোন্নতি দেওয়া হবে। দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের মধ্যে জাতি, গোত্র, ভাষা, অঞ্চল, সম্পর্কের চিন্তা যেন না আসে, এটি আসা উচিত নয়। আর কেউ যদি এই রোগে আক্রান্ত হয়, তাহলে সবার উচিত তার প্রতি মনোযোগ দেওয়া এবং তাকে প্রতিরোধ করা।
১০. যেকোনো স্থানে যেকোনো ব্যক্তি প্রয়োজনের মুখাপেক্ষী হলে তাঁর সেবা ও সাহায্যে বিলম্ব করবেন না। কে কোথাকার হিসেব করে তার মধ্যে কোনো পার্থক্য করবেন না।
১১. এই সময় অতিবাহিত হয়ে যাবে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভালো ইতিহাস, ভালো কর্মপন্থা ও ভালো নীতি রেখে যাওয়ার চেষ্টা করা উচিত। আখেরাত ও আল্লাহর সন্তুষ্টির প্রতি অধিক মনোযোগ দিন।
১২. আল্লাহ পরাক্রমশালী, আমাদের রক্ষাকর্তা ও রিযিকদাতা। দুনিয়ার সব শক্তি মিলেও আপনার রিযিক কেড়ে নিতে পারে না, রিযিক বন্ধ করতেও পারবে না। তারা ইচ্ছা করলেই আমাদের জীবন কেড়েও নিতে পারবে না। আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন এবং আল্লাহকে খুশি করার চেষ্টা করুন।
১৩. ইসলামিক বিধি-বিধান এবং নৈতিকতা অনুসরণ করতে লোকেদের উৎসাহিত করুন। জবরদস্তি এবং প্ররোচনার আশ্রয় গ্রহণ করবেন না, এতে মানুষ আপনার শত্রুতে পরিণত হবে। জোর করলে লোকেরা আপনাকে ঘৃণা করবে। আর উৎসাহ-উদ্দীপনা দিলে তারা আপনার বন্ধু ও সমর্থক হয়ে উঠবে।
১৪. জি হা দের সময় ধারণকৃত শরয়ী অভ্যাস এবং দ্বীনি মামুলাত (ধর্মীয় রুটিং) এবং শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ অব্যাহত রাখার চেষ্টা করুন।
১৫. পবিত্র কুরআনের সাথে সম্পর্কযুক্ত হন। দিনে অন্তত একবার কুরআন শরীফের তেলাওয়াত করুন।
১৬. কোনো বড় পদে খুশি হবেন না। আর কোনো পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হলে রাগ করবেন না। এর মানে, পদের সাথে সংযুক্ত হবেন না।
১৭. অতীতের কুখ্যাত লোকদের কাছ থেকে শিক্ষা নিন। অতএব, কুখ্যাতি এবং সন্দেহ সৃষ্টিকারী কাজগুলি এড়িয়ে চলুন। বরং নিজের মধ্যে নেককার সালাফদের নৈতিকতা গড়ে তুলুন।
গরীবদের সাহায্য করা:
আমি আ ফ গা নি স্তা নের ধনী ব্যক্তিদের এই শুভ দিনগুলোতে দরিদ্র আফ গান নাগরিকদের স্মরণ করতে বলছি। এরাও আমাদের ভাই। তাদের সহযোগিতা করা আমাদের কর্তব্য। প্রত্যেকের উচিত নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী গরীবদের সাহায্য করা।
পরিশেষে, আবারও সবাইকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আল্লাহ সকলকে সকল প্রকার বিপদ আপদ থেকে হেফাযত করুন। আল্লাহ আপনাদেরকে সফলতা দান করুন।
ওয়াসসালাম।
আমীরুল মুমিনীন শাইখুল কুরআন ওয়াল হাদীস মৌলভী হিবাতুল্লাহ আখুনযাদা হাফিযাহুল্লাহ
২৭ রমজানুল মুবারাক ১৪৪৫ হিজরি
6/4/2024
২৭ রমজানুল মুবারাক ১৪৪৫ হিজরি
6/4/2024
ঈদুন মুবারাকনা আলাইনা আলাইকুম
তাকাব্বাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম।
সকলের ঈদ কাটুক খুশি ও আনন্দের সাথে। পরিবার-পরিজন ও আত্মীয় স্বজনদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে এবং অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর মাধ্যমে ঈদ উদযাপন হয়ে উঠুক অনন্য।দোয়ায় রাখুন কাশ্মীর,ফিলিস্তিন, সিরিয়া,ইরাক,ইয়েমেন ও আফ্রিকার মজলুম মুসলমানদেরসহ পৃথিবীর সকল মজলুম মুসলিম ও মু%জা@হি*দদের জন্য। আল্লাহ আমাদেরকে তার রাহে কবুল করুন।
আমীন......
টেলিগ্রাম: t.me/voiceofshahibangal
তাকাব্বাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম।
সকলের ঈদ কাটুক খুশি ও আনন্দের সাথে। পরিবার-পরিজন ও আত্মীয় স্বজনদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে এবং অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর মাধ্যমে ঈদ উদযাপন হয়ে উঠুক অনন্য।দোয়ায় রাখুন কাশ্মীর,ফিলিস্তিন, সিরিয়া,ইরাক,ইয়েমেন ও আফ্রিকার মজলুম মুসলমানদেরসহ পৃথিবীর সকল মজলুম মুসলিম ও মু%জা@হি*দদের জন্য। আল্লাহ আমাদেরকে তার রাহে কবুল করুন।
আমীন......
টেলিগ্রাম: t.me/voiceofshahibangal
আমাদের আসল নায়ক।যাদের ত্যাগ, বীরত্ব ও বিচক্ষণতা হলিউড,বলিউড ও সকল সিনেমার কাল্পনিক চরিত্রকে হার মানায়। আল্লাহ তা'আলা তাদের ত্যাগকে কবুল করে বিজয়ের ব্যবস্থা করে দিন। আমীন....
টেলিগ্রাম: t.me/voiceofshahibangal
টেলিগ্রাম: t.me/voiceofshahibangal