শাহী বাঙ্গালাহ Shahibangalah
109 subscribers
66 photos
14 videos
2 files
82 links
আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল -
www.youtube.com/@shahibangalah
আমাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট -
https://www.shahibangalah.xyz
Download Telegram
এখন আমাদের কি করা উচিৎ?
নিরপরাধ মুসলমানদের হত্যার বিচার কি বাংলাদেশ প্রশাসন আদতেও করবে?
মুসলমানদের হত্যার কিসাস মুসলমানদেরকেই নিতে হবে।

টেলিগ্রাম: t.me/voiceofshahibangal
This media is not supported in your browser
VIEW IN TELEGRAM
#কাশ্মীর #kashmir
যারা ফিলিস্তিন নিয়ে পেরেশানিতে আছেন তারা কী কাশ্মীর নিয়েও চিন্তা করেন?
মনে রাখতে হবে মুসলিম উম্মাহ এক দেহের মতো। মাথায় আঘাত লাগুক বা হাতে সমস্ত শরীরেই তার প্রভাব পড়ে।
টেলিগ্রাম: t.me/voiceofshahibangal
#kashmir
জম্মু ও কাশ্মীরের শোপিয়ান এবং অনন্তনাগ জেলায় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের দুটি পৃথক হামলায় শনিবার জয়পুরের একজন প্রাক্তন বিজেপি সরপঞ্চ নিহত হয়েছেন।

প্রথম ঘটনায়, প্রতিরোধ যোদ্ধারা রাত 10.30 টার দিকে শোপিয়ানস হিরপোরা এলাকায় আইজাজ শেখ নামে একজন প্রাক্তন বিজেপি সরপঞ্চের উপর গুলি চালায়,
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরে তিনি হাসপাতালে মারা যান।
টেলিগ্রাম:t.me/voiceofshahibangal
#Myanmar
মিয়ানমার পরিস্থিতি
রাখাইনের রোহিঙ্গা গ্রামে আবার নিপীড়ন উদ্বাস্তু ২ লাখ

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলে রোহিঙ্গা গ্রামে ব্যাপক অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে দুই লাখ নির্যাতিত সংখ্যালঘু বাস্তুচ্যুত হয়েছে। রোহিঙ্গা অধিকারকর্মীরা সেখানে সক্রিয় জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনেছেন। অন্যদিকে রাখাইনে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

একটি যৌথ বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের কয়েকটি অধিকার সংগঠন অভিযোগ করেছে, রাখাইন রাজ্যের বুথিডাং শহর থেকে গত সপ্তাহে রোহিঙ্গাদের উদ্বাস্তু হতে বাধ্য করেছে আরাকান আর্মির যোদ্ধারা। শহরটির বাড়িঘরে লুটপাট চালানো হয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, বুথিডাং শহর থেকে রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে আরাকান আর্মি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নেওয়া হয়েছে বলেও ওই বিবৃতিতে উল্লেখ রয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে, আরাকান আর্মির যোদ্ধারা রোহিঙ্গাদের জোর করে উদ্বাস্তু করেছে। মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।
টেলিগ্রাম: t.me/voiceofshahibangal
আজ ২৯ মে,
১৪৫৩ সালের এই দিনে সুলতান মুহাম্মদ আল ফাতিহ মাত্র ২১ বছর বয়সে কুস্তুনতুনিয়া জয় করেন। আল্লাহ তা'আলা মরহুম সুলতানকে জান্নাতুল ফেরদৌসের সর্বোচ্চ মাকাম দান করুন। আমীন।
টেলিগ্রাম: t.me/voiceofshahibangal
পাকিস্তানের লাল মসজিদ ও জামিয়ার হাফসার ট্রাজেডি আজও গাইরাতবান মুসলমানের অন্তরে তীব্র ব্যাথার সৃষ্টি করে। টানা সাত দিনের নাপাক বাহিনী কর্তৃক ছাত্র-ছাত্রীদের উপর চালানো সে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিবরন নিয়ে লেখেছেন জামিয়া হাফসার মুহতামিম ও লাল মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল আজিজ হাফিজাহুল্লাহের স্ত্রী মুহতারামাহ উম্মে হাসান । সেদিন তিনি তার চোখের সামনে অসংখ্য ছাত্রীর লাশ দেখেছেন। দেখেছেন বহু নিষ্পাপ শিশুকে গুলিবদ্ধ হয়ে কালিমা পড়ে জান্নাতের অভিমুখে যেতে। লাল মসজিদ ও জামিয়া হাফসার সে কঠিন দিনগুলোর স্মৃতিচারণ তিনি লিপিবদ্ধ করেন। যাতে সেদিনের সেই নৃশংসতা ও সঠিক ইতিহাস ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ থাকে।


নিজের চোখে দেখা অনেকগুলো শাহাদাতের ঘটনা লেখেন তিনি তার স্মৃতিচারনে। যার মাঝে সানিয়্যাহ নামের এক ছোট্ট মেয়ের ঈমানদীপ্ত শাহাদাতের ঘটনা আপনাদের শুনাই। উম্মে হাসসান লেখেন, ‘আমি ছাত্রীদের এই কঠিন সময়ে সবর ও আল্লাহর দিকে মুতাওয়াজ্জু করতে বললাম, ‘আল্লাহ যাকে মহব্বত করেন তাকেই বিভিন্ন পরিক্ষায় ফেলেন।’ এই কথা শুনে প্রথম ক্লাসের ছোট্ট সানিয়্যাহর মন তা কিছুতেই মেনে নিলো না। সে বলতে লাগলো, ‘আমরা যদি আল্লাহর এতই নৈকট্য অর্জন করে থাকি তাহলে তিনি আমাদের এমন জুলুম-অত্যাচারের মাঝে কেন ফেললেন।’ আমি ছোট সানিয়্যাকে বিভিন্নভাবে বুঝাতে চেষ্টা করলাম। কিন্তু তার ছোট্টমন কিছুতেই আমার কথা মেনে নিলো না। মাগরিবের নামাজের সময় হয়ে গেলো। জামিয়ার উঠানে বৃষ্টির পানির জন্য বালতি রাখা ছিলো। সানিয়্যাহ অজু করার জন্য বালতির সামনে গেলে আমি বললাম, ‘বেটি, পানির খুব সংকট চলছে, তুমি তায়াম্মুম করে নেও। কিন্তু ছোট্ট সানিয়্যাহর কী যেনো হলো। সে আমার কথা না মেনে বালতির পানি দিয়ে অজু করে নিলো। অজু শেষে ছোট্ট ছোট্ট শাহাদাত আঙ্গুল আসমানে উঁচিয়ে কালিমায়ে শাহাদাত পড়ছিলো। এমন সময় তীব্র একটি আওয়াজ হলো আর ছোট্ট সানিয়্যাহ মাটিতে লুটিয়ে পড়লো। দেখলাম, ছোট্ট সানিয়্যাহ গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে আছে। রক্তে তার পুরো শরীর একাকার হয়ে গেছে। আমি দৌড়ে গেলাম তার কাছে। গিয়ে দেখি ছোট্ট সানিয়্যাহ মিটিমিটি হাসছে। আমাকে দেখে বললো, ‘আপিজান, আপনি সত্যই বলেছেন, আল্লাহ বাস্তবেই আমাদের অনেক মহব্বত করেন’। এটা বলেই ছোট্ট সানিয়্যাহ চিরদিনের জন্য নিশ্চুপ হয়ে গেলো।



পুরো সাতদিনের এই নৃশংস সময় মুহতারামাহ উম্মে হাসসান জামিয়া হাফসাতেই অবস্থান করেছেন। অনেকের পীড়াপীড়ি সত্ত্বেও মহান এই মহিয়সী নারী কোনো অবস্থায় সেখান থেকে বের হয়ে যেতে রাজি হননি। একান্ত শেষ সময় যখন আর কোনো পথ বাকি ছিলো না, চতুর্থদিক থেকে ভয়ংকর ফায়ারিংয়ের মাধ্যমে নাপাক বাহিনী মাদরাসা অভিমুখে ধীরে ধীরে আগাতে ছিলো এবং তিনি সেখানে অবস্থানের ব্যাপারে জেদ ধরলেন তখন সেদিনের মহান শহিদ আব্দুর রশিদ গাজি বললেন, ভাবিজান, আপনার জীবিত বের হয়ে যাওয়া উচিত। বাহিনী ভিতরে ঢুকে আপনাকে জীবিত পেলে কী করে তা ঠিক নেই। উম্মে হাসসান বলেন, আমি এই কথার পরেও চলে যেতে রাজি হলাম না। তখন আব্দুর রশিদ সাহেব আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, ‘আমি এখানের আমির হিসেবে আপনাকে চলে যাওয়ার আদেশ করছি।’ তখন উম্মে হাসসান তার একমাত্র নাড়ি ছেড়াধন ছেলে হাসসানের কপালে শেষবারের মত চুমু দিয়ে বের হয়ে আসার সময় সম্বোধন করে বললেন, “বেটা! আমি তোমাকে আজকের এই দিনের জন্যই লালনপালন করে বড় করেছি। হিম্মত হারা হয়ো না। পূর্ণ ইসতেকামাতের সাথে জমে থাকবে। মসজিদ ও কুরআনের পবিত্রতা আর তোমার এই সকল বোন-ভাইদের জীবন রক্ষার্থে যদি আজ আমার আল্লাহ তোমার জীবনের কুরবানিকে কবুল করে নেয় তাহলে তা হবে আমাদের জন্য সৌভাগ্যের ও আল্লাহর দরবারে উঁচু মর্যাদা অর্জনের মাধ্যম। বেটা! সিনায় গুলি খাবে। খেয়াল রাখবে পলায়ন করতে গিয়ে পিঠে গুলি খেয়ে আমাদেরকে আল্লাহর সামনে বেইজ্জতি করবে না। এই কথার পূর্ণ খেয়াল রাখবে, আমাদের পেয়ারা নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে যেনো আমরা লাঞ্চিত না হই।”

এটাই ছিলো মুহতারামা উম্মে হাসসানের তার একমাত্র ছেলের সাথে শেষ কথা। সেদিন চাচা আব্দুর রশিদ গাজির সাথে হাসসানও শাহাদাতের মহান মর্যাদা অর্জন করেন। আমীন। ( দয়া করে পড়ুন ও যাদের কে সেয়ার দেওয়া যায় সেয়ার করুন)
টেলিগ্রাম: t.me/voiceofshahibangal
https://www.shahibangalah.xyz/?p=147
মোগাদিশুতে ইসলামী প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব এর তীব্র আক্রমণ
ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী তুলকার্মের উত্তরে আতিল শহরে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তরুণ ফিলিস্তিনি ইজ্জ আল-দিন হাজ্জাকে গ্রেপ্তার করেছে।