■ আকিদাহর গুরুত্ব
আল্লাহ কুরআনের বড় একটি জায়গা স্বতন্ত্রভাবে এই আকিদাহর জন্য নির্ধারণ করেছেন, এর জন্য দীর্ঘ সময় দিয়েছেন, যেন এই আকিদা হৃদয়ের গভীরে ভালোভাবে বদ্ধমূল হতে পারে। মাক্কি জীবনের প্রায় পুরোটা অংশজুড়েই এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছাড়া কোনো আয়াতের অবতারণা করা হয়নি। কেবল এ বিষয়েরই আলোচনা করা হয়েছে। কারণ, আকিদাহর মাধ্যমে অন্তর গঠনের ধারাটি ধীর ও শ্রমসাধ্য। কখনো কখনো এ কাজ করার জন্য এমন এক বিশাল পরিব্যপ্ত সময়ের প্রয়োজন পড়ে, যে সময়ে একটি মানবদেহ বেড়ে ওঠে।
‘আমি কুরআনকে ভাগ ভাগ করে অবতীর্ণ করেছি, যেন তা বিরতিসহ মানুষের সামনে পড়তে পারো। আর আমি তা ধাপে ধাপে নাযিল করেছি।’
[সুরা আল-ইসরা, ১৭ : ১০৬]
পৃথক অনুশীলন ও দীর্ঘ সময়ের যেমন প্রয়োজন, তেমনিভাবে শরিয়াতের সব বিধিবিধান প্রয়োগের জন্য আকিদাহ হৃদয়ের গভীরে ভালোভাবে গেঁথে যাওয়াও অপরিহার্য। আর এ কারণেই মদিনায় সাহাবা কিরামের অন্তরে আকিদাহ দৃঢ়ভাবে গেঁথে না-যাওয়া পর্যন্ত শরয়ি বিধান অবতীর্ণ হতে বিলম্ব হয়। আর আল্লাহ তো সাহাবা কিরামকে নিজ কুদরতের পর্দা বানিয়েছেন, তাঁদের হাতেই এই দ্বীনের বিজয় দিয়েছেন।
____
শাইখ ড. আবদুল্লাহ আযযাম
বই : আকিদাহর পরিশুদ্ধি
আল্লাহ কুরআনের বড় একটি জায়গা স্বতন্ত্রভাবে এই আকিদাহর জন্য নির্ধারণ করেছেন, এর জন্য দীর্ঘ সময় দিয়েছেন, যেন এই আকিদা হৃদয়ের গভীরে ভালোভাবে বদ্ধমূল হতে পারে। মাক্কি জীবনের প্রায় পুরোটা অংশজুড়েই এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছাড়া কোনো আয়াতের অবতারণা করা হয়নি। কেবল এ বিষয়েরই আলোচনা করা হয়েছে। কারণ, আকিদাহর মাধ্যমে অন্তর গঠনের ধারাটি ধীর ও শ্রমসাধ্য। কখনো কখনো এ কাজ করার জন্য এমন এক বিশাল পরিব্যপ্ত সময়ের প্রয়োজন পড়ে, যে সময়ে একটি মানবদেহ বেড়ে ওঠে।
‘আমি কুরআনকে ভাগ ভাগ করে অবতীর্ণ করেছি, যেন তা বিরতিসহ মানুষের সামনে পড়তে পারো। আর আমি তা ধাপে ধাপে নাযিল করেছি।’
[সুরা আল-ইসরা, ১৭ : ১০৬]
পৃথক অনুশীলন ও দীর্ঘ সময়ের যেমন প্রয়োজন, তেমনিভাবে শরিয়াতের সব বিধিবিধান প্রয়োগের জন্য আকিদাহ হৃদয়ের গভীরে ভালোভাবে গেঁথে যাওয়াও অপরিহার্য। আর এ কারণেই মদিনায় সাহাবা কিরামের অন্তরে আকিদাহ দৃঢ়ভাবে গেঁথে না-যাওয়া পর্যন্ত শরয়ি বিধান অবতীর্ণ হতে বিলম্ব হয়। আর আল্লাহ তো সাহাবা কিরামকে নিজ কুদরতের পর্দা বানিয়েছেন, তাঁদের হাতেই এই দ্বীনের বিজয় দিয়েছেন।
____
শাইখ ড. আবদুল্লাহ আযযাম
বই : আকিদাহর পরিশুদ্ধি
❤7🔥1
ভাইদের সামনে খাবার পেশ করা প্রশংসনীয়। বর্ণিত আছে, আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন—আমার ভাইদের এক সা খাবার খাওয়ানোর জন্য জড়ো করা আমার কাছে একটি দাস মুক্ত করার চেয়েও প্রিয়। খাবিস (খেজুর ও ঘিয়ের মিশ্রণে তৈরি মিষ্টি) ও ভালো ভালো খাবার প্রস্তুত করে ইবরাহিম ও আল-আমাশকে খাইসামা দাওয়াত করে বলতেন—খাও, আমি কেবল তোমাদের জন্যই এগুলো বানিয়েছি। খাবার পরিবেশনের আদব হচ্ছে, এ জন্য অনুমতি নেয়ার দরকার নেই এবং অতিরিক্ত না-করে ঘরে যা আছে তা দিয়েই পরিবেশন করা। যা আছে তার সমস্ত কিছু দিয়ে পরিবেশন করাও একপ্রকার বাড়াবাড়ি।
____
ইমাম ইবনু কুদামাহ আল-মাকদিসি
বই : চরিত্রশুদ্ধি
____
ইমাম ইবনু কুদামাহ আল-মাকদিসি
বই : চরিত্রশুদ্ধি
❤12
ইসতিআনাহ (সাহায্যপ্রার্থনা) ও ইসতিগাসা (বিপদ থেকে উদ্ধার চাওয়া) : ইসতিআনা হলো, যদি কেউ গাইরুল্লাহর (আল্লাহ ব্যতীত সত্তা) কাছে সাহায্য চায়, হে অমুক, আমাকে চাকরিটি দাও, তাহলে এটা শিরক। হাঁ, যদি সে বস, কর্মচারী বা এমন কেউ হয় যে জব পেতে সাহায্য করতে পারে, তবে ভিন্ন কথা। ইসতিগাসাহ হলো, কেউ সমুদ্রে ডুবে যাচ্ছে আর বলছে, হে অমুক (ফুলান) সাহায্য করো। সে দুটো জিনিস বলতে পারে—হে আল্লাহ বা হে অমুক। উপস্থিত কারও কাছে সাহায্য চাইলে শিরক হবে না। একে বলে ফুলানের (অমুক) কাছে ইসতিগাসাহ। তাকে সাহায্য করাটা ফুলানের ক্ষমতাধীন। তবে ফুলান (কেউ) যদি মদিনায় থাকে আর সে বলে ‘হে অমুক, সাহায্য করো’, তাহলে আবার শিরক হয়ে যাবে।
____
শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল
বই— আকিদাহ তহাবিয়াহ
____
শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল
বই— আকিদাহ তহাবিয়াহ
❤5👍2
ভালোবাসা আল্লাহর জন্য হতে হবে, সেই সাথে ভয়ও তাঁরই জন্য হতে হবে। আল্লাহর মতো কোনো জিনিসকে ভালোবাসা শিরক। একজন দেখছে একটা সিংহ তাকে মেরে ফেলবে, এ ক্ষেত্রে এই সিংহকে ভয় পাওয়া কি শিরক হবে? এটা শিরক হবে না। কবরে শায়িত মৃত ব্যক্তিকে ভয় করা। এ ভয় করা যে, এ ব্যক্তি অভিশাপ দেবে (ক্ষতি করার অদৃশ্য ক্ষমতায় বিশ্বাস)—এটা শিরক। ঘুষি দিতে পারে বলে কাউকে ভয় পাওয়া শিরক হয় না। কারণ, এটা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
____
শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল
বই— আকিদাহ তহাবিয়াহ
____
শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল
বই— আকিদাহ তহাবিয়াহ
❤9
আল্লাহ যুগে যুগে তাঁর প্রিয় বান্দা আম্বিয়া আলাইহিমুস সালামের মাধ্যমে পুরো মানবজাতিকে কল্যাণ ও প্রভূত উৎকর্ষের দিকে পথ দেখিয়েছেন বারবার। এ জন্য নিজে তিনি জ্ঞান পাঠিয়েছেন, ওয়াহি পাঠিয়েছেন এবং সতর্ক করেছেন। নিষ্পাপ নবিরাই ছিলেন সেই ওয়াহির জ্ঞানের ধারক ও বাহক। আল্লাহ তাঁদের মাধ্যমেই জানিয়ে দিয়েছেন মানবসৃষ্টির সেই কারণ। আল্লাহ বলেন,
وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنْسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ
‘আমি জিন ও মানুষকে সৃষ্টি করেছি কেবল আমার ইবাদতের জন্য।’
আল্লাহ সেই কারণ এক কথাতেই জানিয়ে দিলেন—একমাত্র তাঁরই ইবাদত, অর্থাৎ তাওহিদ। তাওহিদ সেই মূল কারণ, যার জন্য সৃষ্টির সূচনা থেকে আজ অবধি ধর্ম বনাম অধর্মের যুদ্ধ চলছে। এ সেই কারণ, যার জন্য নাযিল হয়েছে সালাত, যাকাতসহ পুরো শরিয়াহব্যবস্থা। তাওহিদ সেই কারণ যার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে জান্নাত-জাহান্নাম। আল্লাহ তাআলা এই মানবজাতির মুক্তির পথ নির্ধারণ করেছেন তাওহিদের বিশুদ্ধতার ওপর। মানুষ এই পথ থেকে ছিটকে পড়ে বারবার হোঁচট খেয়েছে, এই পথ থেকে ওই পথ, এই কুসংস্কার থেকে ওই অধর্মের পথে অন্ধকারে হাতরে বেড়িয়েছে বারবার। তৈরি করেছে নানা মতবাদ, পথ ও জীবনপদ্ধতি।
____
বই : কিশোর তাওহিদ শিক্ষা
وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنْسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ
‘আমি জিন ও মানুষকে সৃষ্টি করেছি কেবল আমার ইবাদতের জন্য।’
আল্লাহ সেই কারণ এক কথাতেই জানিয়ে দিলেন—একমাত্র তাঁরই ইবাদত, অর্থাৎ তাওহিদ। তাওহিদ সেই মূল কারণ, যার জন্য সৃষ্টির সূচনা থেকে আজ অবধি ধর্ম বনাম অধর্মের যুদ্ধ চলছে। এ সেই কারণ, যার জন্য নাযিল হয়েছে সালাত, যাকাতসহ পুরো শরিয়াহব্যবস্থা। তাওহিদ সেই কারণ যার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে জান্নাত-জাহান্নাম। আল্লাহ তাআলা এই মানবজাতির মুক্তির পথ নির্ধারণ করেছেন তাওহিদের বিশুদ্ধতার ওপর। মানুষ এই পথ থেকে ছিটকে পড়ে বারবার হোঁচট খেয়েছে, এই পথ থেকে ওই পথ, এই কুসংস্কার থেকে ওই অধর্মের পথে অন্ধকারে হাতরে বেড়িয়েছে বারবার। তৈরি করেছে নানা মতবাদ, পথ ও জীবনপদ্ধতি।
____
বই : কিশোর তাওহিদ শিক্ষা
❤5