ilmweb
3.06K subscribers
476 photos
37 videos
198 links
A knowledge-centrum based on the cognition and methodology of the Pious predecessors.

Web: www.ilmweb.net
Facebook: www.facebook.com/ilmweb
Twitter: www.twitter.com/ilmweb
Instagram: www.instagram.com/ilmweb
Youtube: www.youtube.com/ilmweb
Download Telegram
‘তাঁদের (সাহাবা) ভালোবাসা দ্বীন ও ইমানের অংশ। আর তাঁদের ঘৃণা করা কুফর, মুনাফিকি ও সীমালঙ্ঘন’।
__
ইমাম তাহাবি
[ আকিদাতুত তাহাবি ]
সাথিদের সাথে খাওয়ার আদব

১. সাথি বয়স বা মর্যাদার কারণে অগ্রাধিকার পাবার যোগ্য হলে তাঁর আগে খাওয়া শুরু করা অনুচিত। তবে, নিজে অনুসরণীয় হলে সর্বপ্রথম নিজেই শুরু করবে।

২. চুপচাপ না-খেয়ে বরং ভালো কিছু নিয়ে আলাপ করা। যেমন, নেককারদের খাবারসংক্রান্ত গল্পগুলো বলা যেতে পারে।

৩. প্রত্যেককে নিজের চেয়ে অপরকে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে এবং কাউকে যেন তার সাথিকে বলতে না হয়—খাও। প্রফুল্লতার সাথে খেতে হবে এবং খাবার ধরে রেখে ভান করা যাবে না।

৪. কেউ যেন খাওয়ার সময় সরাসরি সাথিদের দিকে না-তাকায়, এতে করে তারা বিব্রত হতে পারে।

৫. নিজের সাথে ঘটলে খারাপ লাগত এমন সবকিছুই পরিহার করতে হবে। যেমন, হাতে কিছু থাকলে সেটা দিয়ে পাত্রের মাঝে নাড়া দেয়া বা মুখে লোকমা নেয়ার সময় পাত্রের ওপর মাথা রাখা। মুখ থেকে বের করে কিছু ছুড়ে ফেলার প্রয়োজন হলে অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে বাম হাতে নিয়ে তারপর ফেলতে হবে। ভিনেগারে চর্বিযুক্ত খাবার ডোবানো অথবা কোনোকিছুতে ভিনেগার ঢালা অনুচিত। বাকিরা হয়তো এটা অপছন্দ করতে পারে। মুখে দেয়ার পর সেটা আবার ঝোলে ডোবাবে না।
____
ইমাম ইবনু কুদামাহ আল-মাকদিসি
[ চরিত্রশুদ্ধি : ২১/১৭৩ ]
‘আসমান ও যমিন এবং তার মধ্যবর্তী জিনিসগুলো আমি খেলার জন্য সৃষ্টি করিনি।’

[ সুরা আদ-দুখান,  ৪৪ : ৩৮ ]

#ilmweb
'আমরা বিশ্বাস করি, কেবল ইবাদত ও তাওহিদের উদ্দেশ্যেই আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন।'
____
শাইখ আসিম আল-বারকাওয়ি
[ আমাদের আকিদাহ : ২৭/১২৯ ]
‘যে ব্যক্তি আল্লাহর পরিবর্তে এমন কাউকে ডাকে যে কিয়ামত পর্যন্ত তার ডাকে সাড়া দিবে না তার চেয়ে অধিক পথভ্রষ্ট কে আছে? ওরা (মিথ্যা উপাস্যরা) তো এদের ডাক সম্পর্কে অবহিতও নয়।’

[ সুরা আল-আহকাফ, ৪৬ : ৫ ]

#ilmweb
কুরআনের ছায়াতলে
— শাইখ আসিম আল-বারকাওয়ি (হাফিযাহুল্লাহ) || ilmweb Publishing

ইউটিউব : https://youtu.be/zHxOz_b1-fA
‘আর যেন তিনি শাস্তি দিতে পারেন মুনাফিক নারী-পুরুষ ও মুশরিক নারী-পুরুষকে যারা আল্লাহ সম্পর্কে মন্দ ধারণা পোষণ করে। তাদের উপরই অনিষ্টতা আপতিত হয়। আর আল্লাহ তাদের উপর রাগ করেছেন এবং তাদেরকে লানত করেছেন, আর তাদের জন্য প্রস্তুত করেছেন জাহান্নাম এবং গন্তব্য হিসেবে তা কতইনা নিকৃষ্ট!’

[ সুরা আল-ফাতহ, ৪৮ : ৬ ]

#ilmweb
'যেহেতু হাতে সবসময় কিছু-না-কিছু ময়লা লেগে থাকে, তাই হাদিসের আলোকে বলা হয়, খাওয়ার আগে হাতধোয়া আদবের অন্তর্ভুক্ত। টেবিলে (মায়িদাহ ) না-রেখে মাটিতে একটি সুফরা (পাটি বা কার্পেট) বিছিয়ে তার ওপর খাবার রাখতে হবে। এটি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহর নিকটবর্তী। এ ছাড়াও তা অধিকতর বিনয় প্রকাশ করে। সুফরার ওপর (যেহেতু এটি মাটিতে ছড়ানো থাকে) বাম পায়ে ভর দিয়ে ডান পা তুলে বসতে হবে। এই নিয়তে খেতে হবে যেন এর মাধ্যমে আল্লাহর আনুগত্যে নিজেকে শক্তিশালী করা যায়, কেবল বিলাসি জীবনযাপন না-খুঁজে তাঁর অনুগত হওয়া যায়। প্রকৃতপক্ষে এটি বোঝার উপায় হচ্ছে, পেটপুরে না-খেয়ে কেবল প্রয়োজনমতো খাওয়া।
নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘মানুষ পেটের চেয়ে নিকৃষ্ট কোনো পাত্র পূর্ণ করে না। মেরুদণ্ড সোজা রাখতে পারে এমন কয়েক গ্রাস খাবারই আদমসন্তানের জন্য যথেষ্ট। এরপরও যদি কোনো ব্যক্তির ওপর তার নাফস বিজয়লাভ করে, তবে সে তার পাকস্থলীর এক-তৃতীয়াংশ খাবারের জন্য, এক-তৃতীয়াংশ পানির জন্য এবং এক-তৃতীয়াংশ শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য রাখবে।’
এই নিয়তের একটি অপরিহার্য বিষয় হলো, কেউ ক্ষুধা না-লাগলে খাবারের দিকে হাত বাড়াবে না এবং পেটভর্তি হবার আগেই হাত উঠিয়ে নেবে। এমন করলে চিকিৎসকের তেমন প্রয়োজন পড়বে না। যা আছে তাতে তুষ্ট থাকাও খাওয়ার আদব। যত অল্পই হোক না কেন, একে তুচ্ছ মনে করা যাবে না এবং যথাসাধ্য বেশি মানুষ নিয়ে খাওয়া উচিত। স্বামী-স্ত্রী ও বাচ্চারা থাকলেও হবে।
____
ইমাম ইবনু কুদামাহ আল-মাকদিসি
[ চরিত্রশুদ্ধি ]'
‘আল্লাহ সঠিক বিচার করেন। আর তারা আল্লাহ ছাড়া যাদেরকে ডাকে তারা তো কিছুই বিচার করতে পারে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’

[ সুরা গাফির, ৪০ : ২০ ]

#ilmweb
দয়িফ হাদিস কী
— উসতায শাইখুল ইসলাম (হাফিযাহুল্লাহ) || ilmweb Publishing

ইউটিউব : https://youtu.be/7yewPv3aEoQ
‘আল্লাহর কাছেই তোমাদের প্রত্যাবর্তন। আর তিনি সবকিছুর ওপর পূর্ণ ক্ষমতাবান।’

[ সুরা হুদ, ১১ : ৪ ]

#ilmweb
আল্লাহ কুরআনের বড় একটি জায়গা স্বতন্ত্রভাবে এই আকিদাহর জন্য নির্ধারণ করেছেন, এর জন্য দীর্ঘ সময় দিয়েছেন, যেন এই আকিদাহ হৃদয়ের গভীরে ভালোভাবে বদ্ধমূল হতে পারে। মাক্কি জীবনের প্রায় পুরোটা অংশজুড়েই এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছাড়া কোনো আয়াতের অবতারণা করা হয়নি। কেবল এ বিষয়েরই আলোচনা করা হয়েছে। কারণ, আকিদাহর মাধ্যমে অন্তর গঠনের ধারাটি ধীর ও শ্রমসাধ্য। কখনো কখনো এ কাজ করার জন্য এমন এক বিশাল পরিব্যপ্ত সময়ের প্রয়োজন পড়ে, যে সময়ে একটি মানবদেহ বেড়ে ওঠে।

وَقُرْآنًا فَرَقْنَاهُ لِتَقْرَأَهُ عَلَى النَّاسِ عَلَى مُكْثٍ وَنَزَّلْنَاهُ تَنْزِيلًا
‘আমি কুরআনকে ভাগ ভাগ করে অবতীর্ণ করেছি, যেন তা বিরতিসহ মানুষের সামনে পড়তে পারো। আর আমি তা ধাপে ধাপে নাযিল করেছি।’
পৃথক অনুশীলন ও দীর্ঘ সময়ের যেমন প্রয়োজন, তেমনিভাবে শরিয়াতের সব বিধিবিধান প্রয়োগের জন্য আকিদাহ হৃদয়ের গভীরে ভালোভাবে গেঁথে যাওয়াও অপরিহার্য। আর এ কারণেই মদিনায় সাহাবা কিরামের অন্তরে আকিদাহ দৃঢ়ভাবে গেঁথে না-যাওয়া পর্যন্ত শরয়ি বিধান অবতীর্ণ হতে বিলম্ব হয়। আর আল্লাহ তো সাহাবা কিরামকে নিজ কুদরতের পর্দা বানিয়েছেন, তাঁদের হাতেই এই দ্বীনের বিজয় দিয়েছেন।
____
শাইখ ড. আবদুল্লাহ আযযাম
[ আকিদাহর পরিশুদ্ধি ]
‘হে মুমিনগণ, যখন তোমরা কোন দলের মুখোমুখি হবে, তখন অবিচল থাকবে, আর আল্লাহকে অধিক স্মরণ করবে, যাতে তোমরা সফল হতে পার।’

[ সুরা আল-আনফাল, ৮ : ৪৫ ]

#ilmweb
‘বান্দা যদি সমস্ত সৃষ্টির বিরোধিতা করে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণ করে, আল্লাহ কিয়ামাতের দিন কারও বিরোধিতা করা সম্পর্কে তাকে প্রশ্ন করবেন না।’
____
ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ
[ মাজমুয়ুল ফাতাওয়া : ১৬/৫২৯ ]
‘আমরা আল্লাহর ওপর ভরসা করব না কেন? তিনিই তো আমাদেরকে পথ দেখিয়েছেন। তোমরা আমাদেরকে যে কষ্ট দিচ্ছ আমরা তাতে অবশ্যই ধৈর্য ধরব। আল্লাহর ওপরই ভরসাকারীদের (সকলের) ভরসা করা উচিত।’

[ সুরা ইবরাহিম,  ১৪ : ১২ ]

#ilmweb
‘বান্দা যদি কোনো পাহাড় সরাতে আদিষ্ট হয় আর যদি সে কাজে আল্লাহর ওপর যথার্থ ভরসা করতে পারে, তবে সে পাহাড়ও সরিয়ে দিতে পারবে।’
____
ইমাম ইবনুল কাইয়িম
[ মাদারিজুস সালিকিন : ২/১১৩ ]
‘আর যারা হিদায়াতের পথে চলে আল্লাহ তাদের হিদায়াত প্রাপ্তি আরও বৃদ্ধি করেন এবং তাদেরকে তাকওয়া দান করেন।’

[ সুরা মুহাম্মাদ, ৪৭ : ১৭ ]

#ilmweb
‘এই দুনিয়ায় বসবাসরত একজন মানুষের স্থায়ী সুখ বাকি থাকাটা অসম্ভব। বরং কোনো একটি দিন তার জন্য দুঃখের হবে তো আরেকটি দিন সুখের হবে।’
____
ইমাম ইবনু উসাইমিন
[ শারহু রিয়াদিস সালিহিন : ১/২৩৪ ]
বান্দার ওপর আল্লাহর হক এই মহান তাওহিদের ফলাফল

১. মুয়ায ইবনু জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহুর হাদিস মোতাবেক মুওয়াহহিদ (তাওহিদবাদী) এই তাওহিদে বিশ্বাস করে তাঁর রবের জান্নাত লাভ করে এবং জাহান্নাম থেকে নাজাত (নিষ্কৃতি) পায়।

২. এই তাওহিদ শিক্ষার মাধ্যমে রবের সিফাতের পরিপূর্ণতা ও মর্যাদা সম্পর্কে জেনে তাঁকে উপযুক্ত সম্মান ও মর্যাদা দেয়া সম্ভব হয়। সেই সাথে তাশবিহ ও তামসিল থেকে তাঁকে মুক্ত ঘোষণা করে তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করা যায়।