‘যে ব্যক্তি তার রবের পক্ষ থেকে আগত সুস্পষ্ট প্রমাণের উপর প্রতিষ্ঠিত সে কি তার মত, যার মন্দ আমল তার জন্য চাকচিক্যময় করে দেয়া হয়েছে এবং যারা তাদের খেয়াল খুশীর অনুসরণ করে?’

[ সুরা মুহাম্মাদ, ৪৭ : ১৪ ]

#ilmweb

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন :

‘পাঁচটি বিষয়ের আগেই পাঁচটি জিনিস থেকে সুবিধা লাভ কর—বৃদ্ধ বয়সে উপনীত হবার আগেই যৌবন, অসুস্থতার আগেই সুস্থতা, দরিদ্রতার আগেই স্বচ্ছলতা, ব্যস্ততার আগেই অবসর এবং মৃত্যু আসার আগেই জীবন।’[১]

শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল বলেন : হাদিসটি এ শিক্ষাই দেয়—জীবন, সুস্থতা ও অবসর সময়ের সুবিধাকে আল্লাহর ইবাদতে এমনভাবে কাজে লাগানো, যেন এটিই জীবনের শেষ রমাদান। রমাদান মাস আত্মিক শক্তি পুনর্গঠন করার মাস। এ মাস থেকে একজন কতটুকু উপকার লাভ করবে, সেটি তার ওপরই নির্ভর করে।
.
.
[১] আল-মুসতাদরাক আলাস–সহিহাইন, হাদিস নং: ৮৭৪৬। ইমাম হাকিম হাদিসটিকে বুখারি ও মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহিহ বলেছেন এবং ইমাম যাহাবি তাঁর সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন। ইমাম আলবানিও একে সহিহ বলেছেন (সহিহুল জামি, হাদিস নং : ১০৭৭)

——
[ সূত্র : বই—রমাদান : জিজ্ঞাসা ও জবাব ]

‘আল্লাহর নিদর্শন সম্পর্কে শুধু কাফিররাই বিতর্ক করে। সুতরাং জনপদসমূহে তাদের অবাধ বিচরণ যেন তোমাকে বিভ্রান্ত না করে।’

[ সুরা গাফির, ৪০ : ৪ ]

#ilmweb

‘রমাদান মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে আল কুরআন—মানুষের জন্য হিদায়াতস্বরূপ এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে।’

[ সুরা আল-বাকারাহ, ২ : ১৮৫ ]

#ilmweb

‘যারা আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার পরও আল্লাহ ও রাসুলের ডাকে সাড়া দিয়েছে—তাদের মধ্যে যারা সৎকাজ করেছে ও তাকওয়া অবলম্বন করেছে তাদের জন্য রয়েছে মহা প্রতিদান।’

[ সুরা আলি ইমরান, ৩ : ১৭২ ]

#ilmweb

‘তাদের মুখ হতে কেবল এ কথাই বেরিয়েছিল—‘হে আমাদের রব! আমাদের অপরাধসমূহ এবং আমাদের কাজ-কর্মে বাড়াবাড়িগুলোকে তুমি ক্ষমা করে দাও, আমাদের পদক্ষেপসমূহ দৃঢ় কর এবং কাফির কওমের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য কর।’

[ সুরা আলি–ইমরান, ৩ : ১৪৭ ]

#ilmweb

‘যারা আখেরাতের চেয়ে দুনিয়ার জীবনকে বেশি ভালবাসে, আল্লাহর পথে চলতে বাধা দেয় এবং তাতে বক্রতা অন্বেষণ করে। ওরা সুদূরপ্রসারী বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে।’

[ সুরা ইবরাহিম, ১৪ : ৩ ]

#ilmweb

‘তিনিই মুমিনদের অন্তরে প্রশান্তি দান করেছেন, যাতে তাদের ইমানের সাথে আরো ইমান বাড়ে। আসমান ও জমিনের বাহিনীগুলো আল্লাহরই। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, অসীম প্রজ্ঞাবান।’

[ সুরা আল-ফাতহ, ৪৮ : ৪ ]

#ilmweb

‘হে মানুষ, তোমরা তোমাদের রবের ইবাদত কর, যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে এবং তোমাদের পূর্বে যারা ছিল তাদেরকে, যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর।’

[ সুরা আল-বাকারাহ, ২ : ২১ ]

#ilmweb

‘মুমিন তো তারাই, আল্লাহর কথা আলোচিত হলে যাদের অন্তরে ভীতির সঞ্চার হয় এবং তাঁর আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করা হলে যাদের ইমান বৃদ্ধি পায়। আর তারা তাদের রবের ওপরই ভরসা করে।’

[ সুরা আল-আনফাল, ৮ : ২ ]

#ilmweb

‘আল্লাহ যদি তোমাকে কোনো কষ্ট দেন, তাহলে তিনি ছাড়া কেউ তা দূর করতে পারবে না। আর তিনি যদি তোমার কোনো কল্যাণ করতে চান, তবে তিনি তো সবকিছুই করতে সক্ষম।’

[ সুরা আল-আনআম, ৬ : ১৭ ]

#ilmweb

‘তিনি তাঁর রাসুলকে হিদায়াত ও সত্য দ্বীনসহ পাঠিয়েছেন যাবতীয় দ্বীনের ওপর এই দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য, যদিও মুশরিকরা অপছন্দ করে।’

[ সুরা আত-তাওবাহ, ৯ : ৩৩ ]

#ilmweb

‘যারা ইমান আনে ও সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে নিয়ামতপূর্ণ জান্নাত।’

[ সুরা লুকমান, ৩১ : ৮ ]

#ilmweb

আপনার অন্তরের পরিচর্যা করুন | ilmweb Publishing
– ড. ইয়াদ কুনাইবি (হাফিযাহুল্লাহ)

‘যে আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার পাপসমূহ মোচন করবেন এবং তাকে বড় পুরস্কার দেবেন।’

[ সুরা আত-তালাক, ৬৫ : ৫ ]

#ilmweb

‘পৃথিবীতে আমি সুদৃঢ় পর্বতমালা স্থাপন করেছি, যাতে তা তাদেরকে নিয়ে ঝুঁকে না পড়ে। আমি তাতে প্রশস্ত পথও তৈরি করেছি, যাতে তারা পথ চলতে পারে।’

[ সুরা আল-আম্বিয়া, ২১ : ৩১ ]

#ilmweb

‘যারা আল্লাহর নিদর্শনসমূহকে অবিশ্বাস করে তুমি কখনো তাদের মত হয়ো না; তাহলে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

[ সুরা ইউনুস, ১০ : ৯৫ ]

#ilmweb

রমাদান উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ চত্বরে মাসব্যাপী বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

মেলায় ইলমওয়েব পাবলিশিংয়ের সকল বই পাওয়া যাচ্ছে—পেনফিল্ড পাবলিকেশনের স্টলে। স্টল নাম্বার : ০৭

‘তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের মাঝে উত্তম এক আদর্শ রয়েছে, তার জন্য যে আল্লাহ ও শেষ দিনের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে।’

[ সুরা আল-আহযাব, ৩৩ : ২১ ]

#ilmweb

যাদের আমরা এই মহান দ্বীনের দিকে আহ্বান করি অথবা যাদেরকে ইসলামের ভিত্তিপ্রস্তরের ওপর গড়ে তুলতে চাই, সবকিছুর আগে ইমানের শিক্ষা দিয়ে শুরু করতে হবে। বিশেষ করে বর্তমান সময়ে, যখন ইসলামের দিকে সম্পৃক্ত এই প্রজন্মের সন্তানদের হৃদয়ে আকিদাহর বুঝ বিবর্ণ হয়ে গেছে। এর জন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে মানহাজ রেখে গেছেন, প্রতিটি ব্যক্তিকে সে মানহাজই অনুসরণ করতে হবে। তারপর তাদের শরিয়াতের ফুরুয়ি (শাখাগত) বিষয়গুলো মানতে বলা হবে। মানুষদের বোঝাতে হবে, তাদের রব কে? মহাবিশ্বে আল্লাহর বড়ত্ব, ক্ষমতা, কেমন ও কতটা অন্তহীন! তিনিই সকল সম্রাটের সম্রাট, তাঁর হাতেই সব বিষয়ের নিয়ন্ত্রণ। তিনিই সব বান্দার ওপর মহানিয়ন্ত্রক। তাঁর দিকেই সব বিষয় ফিরে যায়। তিনিই সর্বস্রষ্টা ও রিযকদাতা। এই বিষয়গুলো প্রথমেই শিক্ষা দিতে হবে। আমরা যদি প্রথমেই তাদেরকে শরিয়াতের শাখাগত বিষয়গুলো মানতে বলি, তাহলে এটা হবে শূন্যে বীজ অঙ্কুরোদগম করার অর্থহীন প্রচেষ্টা। অথচ এখনো তারা সৃষ্টির স্রষ্টাকেই চেনেনি।

_
ড. আবদুল্লাহ আযযাম (রাহিমাহুল্লাহ)
বই—আকিদাহর পরিশুদ্ধি
[ ইলমওয়েব পাবলিশিং ]