❝তুমি এমন এক সময়ে বসবাস করছ যে সময়ে বসবাস করা থেকে নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাহাবাগণ (রাদিয়াল্লাহু আনহুম) পানাহ চাইতেন। অবশ্যই দ্বীন এর যেকোনো ব্যাপারে তারা আমাদের চাইতে ভাল বুঝতেন। দ্বীন এর ব্যাপারে অন্যান্যদের মতামতের চাইতে তাদের মতামত আমাদের কাছে অগ্রগণ্য। ভাববার বিষয় হল সাহাবাগণ (রাদিয়াল্লাহু আনহুম) যে সময়টাকে অপছন্দ করতেন সে সময়ে আমরা যারা অবস্থান করছি তাদের কী অবস্থা? যেখানে আমাদের সাহাবাদের (রাদিয়াল্লাহু আনহু) তুলনায় জ্ঞান কম, ধৈর্য কম, ভাল কাজে সাহায্যকারী কম, মানুষের মধ্যে মহামারীর মত দুর্নীতির বিস্তার সর্বোপরি একটি ভয়াবহ দূষণযুক্ত পৃথিবীতে আমাদের বসবাস করতে হচ্ছে। তোমার প্রতি নসীহা হচ্ছে দ্বীনের সঠিক ও মূল রাস্তাটি খুঁজে নাও এবং একে আঁকড়ে ধরে রাখ।❞
___
ইমাম সুফিয়ান আস-সাওরী রাহ. [ আব্বাদ ইবন আব্বাদ আল খাওয়াস আল-আরসুফির প্রতি এক চিঠিতে লিখা উপদেশ ]
#ilmweb
___
ইমাম সুফিয়ান আস-সাওরী রাহ. [ আব্বাদ ইবন আব্বাদ আল খাওয়াস আল-আরসুফির প্রতি এক চিঠিতে লিখা উপদেশ ]
#ilmweb
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমি যদি কাউকে সিজদাহ করার আদেশ দিতাম, তাহলে নারীদের আদেশ করতাম যেন তারা তাদের স্বামীকে সিজদাহ করে।’ [ সুনানুত তিরমিযি, ১১৫৯; সুনানু আবি দাউদ, ২১৪০ ]
এর কারণ স্বামীর প্রতি স্ত্রীর অসামান্য দায়িত্ব। এ বিষয়ে অনেক হাদিস আছে, যা স্ত্রীর ওপর স্বামীর অধিকারের প্রতি গুরুত্বারোপ করে। স্ত্রীর ওপর স্বামীর অধিকার তো অনেক, কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো দুটো—১. ঢেকে রাখা ও হিফাযত করা এবং ২. তুষ্ট থাকা।
সালাফযুগের নারীরা এমনই ছিলেন। তাঁরা ঘর থেকে বের হওয়ার সময় স্ত্রীরা বলতেন—‘হারাম উপার্জনের ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন। আমরা ক্ষুধা সহ্য করতে পারব কিন্তু জাহান্নামের আগুন সহ্য করতে পারব না।’
স্ত্রী যেন কোনোভাবেই স্বামীর সম্পদের ব্যাপারে অবহেলা না-দেখায়। স্বামীর অনুমতিক্রমে কাউকে খাওয়ালে সে তার সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে। তবে অনুমতি ছাড়া খাওয়ালে স্বামী সাওয়াব পাবে, কিন্তু সে গুনাহগার হবে।
এর কারণ স্বামীর প্রতি স্ত্রীর অসামান্য দায়িত্ব। এ বিষয়ে অনেক হাদিস আছে, যা স্ত্রীর ওপর স্বামীর অধিকারের প্রতি গুরুত্বারোপ করে। স্ত্রীর ওপর স্বামীর অধিকার তো অনেক, কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো দুটো—১. ঢেকে রাখা ও হিফাযত করা এবং ২. তুষ্ট থাকা।
সালাফযুগের নারীরা এমনই ছিলেন। তাঁরা ঘর থেকে বের হওয়ার সময় স্ত্রীরা বলতেন—‘হারাম উপার্জনের ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন। আমরা ক্ষুধা সহ্য করতে পারব কিন্তু জাহান্নামের আগুন সহ্য করতে পারব না।’
স্ত্রী যেন কোনোভাবেই স্বামীর সম্পদের ব্যাপারে অবহেলা না-দেখায়। স্বামীর অনুমতিক্রমে কাউকে খাওয়ালে সে তার সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে। তবে অনুমতি ছাড়া খাওয়ালে স্বামী সাওয়াব পাবে, কিন্তু সে গুনাহগার হবে।
↑↑
বিয়ের আগে বাবা-মায়ের উচিত মেয়েকে শৃঙ্খলা শিক্ষা দেয়া, যাতে স্বামীর সাথে কীভাবে মানিয়ে চলতে হবে সে সম্পর্কে জানতে পারে। নারীকে বাড়ির অভ্যন্তরে তার চরকার কাঠি নিয়ে অবস্থান করা উচিত। প্রতিবেশীদের সাথে বেশি কথাবার্তা না-বলা এবং স্বামীর অনুপস্থিতিতে বেশ ভালো রকমের দূরত্ব বজায় রাখা উচিত। তাকে অবশ্যই স্বামীর উপস্থিতি-অনুপস্থিতিতে তার দেখভাল করা এবং সবসময় তাকে খুশি রাখার চেষ্টা করতে হবে। নিজের ব্যাপারে অথবা স্বামীর সম্পদের ব্যাপারে কখনোই ছলচাতুরি করা যাবে না এবং স্বামীর অপছন্দনীয় ব্যক্তি অথবা তার অনুমতি ছাড়া কাউকেই ঘরে ঢুকতে দেবে না। সে যেন তার নিজের হালত নিয়ে চিন্তিত থাকে এবং পরিবারের দেখাশোনার মাধ্যমে সাধ্যমতো ঘরের পরিচর্যা করে। নিজের হক ও সব আত্মীয়-স্বজনের হকের চেয়ে স্বামীর হককে বেশি প্রাধান্য দেয়া উচিত
____
ইমাম ইবনু কুদামাহ আল-মাকদিসি
বই : চরিত্রশুদ্ধি
প্রকাশনা বিভাগ, ইলমওয়েব
বিয়ের আগে বাবা-মায়ের উচিত মেয়েকে শৃঙ্খলা শিক্ষা দেয়া, যাতে স্বামীর সাথে কীভাবে মানিয়ে চলতে হবে সে সম্পর্কে জানতে পারে। নারীকে বাড়ির অভ্যন্তরে তার চরকার কাঠি নিয়ে অবস্থান করা উচিত। প্রতিবেশীদের সাথে বেশি কথাবার্তা না-বলা এবং স্বামীর অনুপস্থিতিতে বেশ ভালো রকমের দূরত্ব বজায় রাখা উচিত। তাকে অবশ্যই স্বামীর উপস্থিতি-অনুপস্থিতিতে তার দেখভাল করা এবং সবসময় তাকে খুশি রাখার চেষ্টা করতে হবে। নিজের ব্যাপারে অথবা স্বামীর সম্পদের ব্যাপারে কখনোই ছলচাতুরি করা যাবে না এবং স্বামীর অপছন্দনীয় ব্যক্তি অথবা তার অনুমতি ছাড়া কাউকেই ঘরে ঢুকতে দেবে না। সে যেন তার নিজের হালত নিয়ে চিন্তিত থাকে এবং পরিবারের দেখাশোনার মাধ্যমে সাধ্যমতো ঘরের পরিচর্যা করে। নিজের হক ও সব আত্মীয়-স্বজনের হকের চেয়ে স্বামীর হককে বেশি প্রাধান্য দেয়া উচিত
____
ইমাম ইবনু কুদামাহ আল-মাকদিসি
বই : চরিত্রশুদ্ধি
প্রকাশনা বিভাগ, ইলমওয়েব
[] জুমাবারে করণীয় দশটি আমল :
জুমার সালাত সম্মিলিত ইবাদত। এ দিনে করণীয় :
১. নখ কাটা
২. সুরা কাহফ তিলাওয়াত করা
৩. দুয়া করা
৪. গোসল করা
৫. পরিচ্ছন্ন হওয়া, উত্তম কাপড় পরা, মিসওয়াক করা এবং সুগন্ধি ব্যবহার করা
৬. আগে আগে মসজিদে যাওয়া
৭. জুমার সালাত আদায় করা
৮. রাসুলের ওপর প্রচুর দরুদ পড়া
৯. মসজিদে হেঁটে যাওয়া
১০. মনোযোগসহ কান লাগিয়ে জুমার খুতবা শোনা।
#ilmweb
জুমার সালাত সম্মিলিত ইবাদত। এ দিনে করণীয় :
১. নখ কাটা
২. সুরা কাহফ তিলাওয়াত করা
৩. দুয়া করা
৪. গোসল করা
৫. পরিচ্ছন্ন হওয়া, উত্তম কাপড় পরা, মিসওয়াক করা এবং সুগন্ধি ব্যবহার করা
৬. আগে আগে মসজিদে যাওয়া
৭. জুমার সালাত আদায় করা
৮. রাসুলের ওপর প্রচুর দরুদ পড়া
৯. মসজিদে হেঁটে যাওয়া
১০. মনোযোগসহ কান লাগিয়ে জুমার খুতবা শোনা।
#ilmweb
■ আমাদের আকিদাহ
সিফাতের ক্ষেত্রে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের মাযহাবই আমাদের মাযহাব। এ ব্যাপারে আমরা সালাফদের আকিদাহই গ্রহণ করেছি। যার সারমর্ম হলো, কোনো প্রকার তাওয়িল (দূরবর্তী ব্যাখ্যা), তাতিল (নিষ্ক্রিয়করণ), তাহরিফ (বিকৃতি), তাকয়িফ (ধরন-নির্ধারণ) তামসিল (সাদৃশ্যকরণ) ছাড়াই আল্লাহর সুমহান গুণসহ তাঁর নাম একমাত্র তাঁর জন্যই সাব্যস্ত করা। আমাদের বিশ্বাস, সালাফরা গুণগুলো সাব্যস্ত করতেন, তাফউইদ (সিফাতের অর্থ না-জানার দাবি, অর্থাৎ সিফাতের অর্থ আল্লাহর কাছে ন্যস্তকরণ) করতেন না। আমরা বিশ্বাস করি, তাঁরা আল্লাহর নাম ও গুণাবলিকে মুতাশাবিহ (অস্পষ্ট বা দ্ব্যর্থবোধক) মনে করতেন না; বরং তাঁরা ওগুলোর অর্থ জানতেন, কিন্তু ধরন নিয়ে প্রশ্ন করতেন না। আমরা এ ব্যাপারে ওই কথাই বলব, যা ইমাম মালিক (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন,
'ইসতিওয়া (আরশের ওপর সমুন্নত হওয়া) জানা বিষয়, তবে ধরন অজ্ঞাত। এর প্রতি ইমান আনা ওয়াজিব, প্রশ্ন করা বিদআত।
____
শাইখ ড. আবদুল্লাহ আযযাম
বই : আকিদাহর পরিশুদ্ধি
সিফাতের ক্ষেত্রে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের মাযহাবই আমাদের মাযহাব। এ ব্যাপারে আমরা সালাফদের আকিদাহই গ্রহণ করেছি। যার সারমর্ম হলো, কোনো প্রকার তাওয়িল (দূরবর্তী ব্যাখ্যা), তাতিল (নিষ্ক্রিয়করণ), তাহরিফ (বিকৃতি), তাকয়িফ (ধরন-নির্ধারণ) তামসিল (সাদৃশ্যকরণ) ছাড়াই আল্লাহর সুমহান গুণসহ তাঁর নাম একমাত্র তাঁর জন্যই সাব্যস্ত করা। আমাদের বিশ্বাস, সালাফরা গুণগুলো সাব্যস্ত করতেন, তাফউইদ (সিফাতের অর্থ না-জানার দাবি, অর্থাৎ সিফাতের অর্থ আল্লাহর কাছে ন্যস্তকরণ) করতেন না। আমরা বিশ্বাস করি, তাঁরা আল্লাহর নাম ও গুণাবলিকে মুতাশাবিহ (অস্পষ্ট বা দ্ব্যর্থবোধক) মনে করতেন না; বরং তাঁরা ওগুলোর অর্থ জানতেন, কিন্তু ধরন নিয়ে প্রশ্ন করতেন না। আমরা এ ব্যাপারে ওই কথাই বলব, যা ইমাম মালিক (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন,
'ইসতিওয়া (আরশের ওপর সমুন্নত হওয়া) জানা বিষয়, তবে ধরন অজ্ঞাত। এর প্রতি ইমান আনা ওয়াজিব, প্রশ্ন করা বিদআত।
____
শাইখ ড. আবদুল্লাহ আযযাম
বই : আকিদাহর পরিশুদ্ধি
❝সিরিয়াসহ বিভিন্ন দেশে আহলুস সুন্নাহর বিরুদ্ধে ইরানের রাফিদি শিয়াদের ভয়ংকর অপরাধের ব্যাপারে আমি অবগত। আমি তাদের ঘৃণা করি। তবে আমার এই শত্রুতা যেন সেই অকর্মা আরবদের মতো মনে না করা হয়, যাদের একমাত্র কৃতিত্ব সুন্দর ছাগলের প্রতিযোগিতায় জেতা আর কাবাব খাওয়া। যেখানে অন্যান্য জাতি শক্তি অর্জন আর মুক্তির পথে এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানে তারা কেবল পশ্চিমাদের গোলামিতে রত।❞
____
শাইখ আসিম আল-বারকাওয়ি (হাফিযাহুল্লাহ)
____
শাইখ আসিম আল-বারকাওয়ি (হাফিযাহুল্লাহ)
আল্লাহওয়ালা, মুত্তাকি ও সত্যপন্থী আলিম কোনো দল বা ব্যক্তিকে কাফির বললে সেটি প্রচার করাতে সমস্যা নেই। বরং ক্ষেত্রবিশেষে সেটি ইমান ও তাওহিদেরই দাবি। মনে রাখতে হবে তাকফির একটি শরয়ি হুকুম। শরিয়াহ বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গের দায়িত্ব ও কাজ এটি।
____
বই : কিশোর তাওহিদ শিক্ষা [‘মিম্বারুত তাওহিদ’ সংকলিত]
পুনঃসংকলন, সংযোজন ও বিন্যাস : তাইব হোসেন
____
বই : কিশোর তাওহিদ শিক্ষা [‘মিম্বারুত তাওহিদ’ সংকলিত]
পুনঃসংকলন, সংযোজন ও বিন্যাস : তাইব হোসেন