ilmweb
3.07K subscribers
501 photos
37 videos
199 links
A knowledge-centrum based on the cognition and methodology of the Pious predecessors.

Web: www.ilmweb.net
Facebook: www.facebook.com/ilmweb
Twitter: www.twitter.com/ilmweb
Instagram: www.instagram.com/ilmweb
Youtube: www.youtube.com/ilmweb
Download Telegram
তাওহিদ-আকিদাহ এক অমোঘ সূত্র। আম্বিয়া আলাইহিমুস সালামের মূল মিশন ছিল এই তাওহিদ। যে বা যারা তাওহিদ-আকিদাহ, কফুর-শিরক, সুন্নাত-বিদআত ইত্যাদি মৌলিক বিষয়কে গৌণজ্ঞান করে রাষ্ট্র বা রাজনীতিকেন্দ্রিক বিষয় মুখ্যজ্ঞান করে,একেই দাওয়াতের বিষয় বস্তু নির্ধারণ করে, সেটাকেই ঐক্যের কেন্দ্রবিন্দু বা মাপকাঠি করে,তারা নিজেরা বিচ্যুত হবে বটেই আরও দশজনকেও বিচ্যুত করবে। এ ধরনের দাওয়াত বা মেজাজ নবিদের দাওয়াতি মেজাজ বা মানহাজ-বিরোধী। যুগ যুগ ধরে চলে আসা উলামা কিরামের পরিপালিত দ্বীনের বুঝ-বিরোধী। আল্লাহ দ্বীনের যে চিত্র কুরআনে দিয়েছেন, তা নবিদের ইতিহাসে সুস্পষ্ট। আল্লাহ আমাদের হিফাযাত করুন।

#ilmweb
👍61
‘আমি তাদের সঠিক বৃত্তান্ত তোমার কাছে বর্ণনা করছি। তারা ছিল কয়েকজন যুবক, তারা তাদের রবের প্রতি ইমান এনেছিল আর আমি তাদের হিদায়াত বৃদ্ধি করে দিয়েছিলাম।’

[ সুরা আল-কাহফ, ১৮ : ১৩ ]

#ilmweb
6👍1
যখন কাউকে নিজ সিদ্ধান্তের ব্যাপারে একগুঁয়েমি, বিতর্ক ও দম্ভ করতে দেখবে, তখন বুঝবে তার সর্বনাশ পূর্ণতা লাভ করেছে।
___
আবদাহ ইবনু আবি লুবাবা
[ আয-যাহাবি, সিয়ারু আলামিন নুবালা : ৫/৫২৬ ]
#ilmweb
8🔥1
মুমিন কখনো গালিদানকারী হতে পারে না। দ্বীনি দাওয়াতে, ব্যক্তিগত কাজে যে অবস্থাতেই থাকুক, মুমিনের আচরণ হয় ভদ্র ও পরিশালিত। মুমিন মন্দের জবাবে মন্দ দিয়ে দেয় না, বরং ভালো দিয়ে দেয়। নয়তো চুপ থাকে। তাওহিদে বিশ্বাসী একজন মুমিনের সম্বল তার আখলাক। তাই তাদের থেকে দূরে থাকুন, যারা তার মূল সম্পদ আখলাকই হারিয়ে ফেলেছে। সে ব্যক্তিতে কোনো ফায়দা নেই। দ্বীনের যোগসূত্রকারী বিষয়ই হচ্ছে আখলাক।

#ilmweb
👍6
‘যদি তুমি জোরে কথা বল (বলতে পার), তবে (জেনে রাখবে,) তিনি গোপন ও অধিকতর লুক্কায়িত বিষয়ও জানেন।’

[ সুরা ত্ব-হা, ২০ : ৭ ]

#ilmweb
6
সব কথা ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করো। এর মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান হয়।
____
মুফতি তাকি উসমানি

#ilmweb
11
আল্লাহর দ্বীনের মেজাজ ও চিত্র স্বয়ং আল্লাহই ফুটিয়ে তুলেছেন। এ ইলাহি মানহাজ (আল্লাহপ্রদত্ত মানহাজ) অমোঘ ও অপরিবর্তনীয়। নুসুস (কুরআন-সুন্নাহ) ও ফাহমুস সালাফের (সালাফবুঝ) এক ভারসাম্যপূর্ণ সমন্বয়ে নুসুসপাঠের বিকাশ ঘটে। আর এর পূর্ণতা ঘটে নুসুসপাঠের সফল বাস্তবায়নে। পরিপূর্ণ দ্বীনের প্রতিটি বিষয়ে এর উদাহরণ বিদ্যমান।

হকপন্থী উলামা কিরামের কাফিলার বিচরণ ছিল প্রায় প্রতিটি যুগেই। কেউ বা চিন্তাজগতে, কেউ বা দাওয়াহর ময়দানে, কেউ বা দ্বীনকে বিজয়ী করে নুসুসপাঠের এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন। পৃথিবী কখনো সঠিক দ্বীনের রূপরেখা থেকে শূন্য হয়নি। যখনই সংকটময় অবস্থা এসেছে, আল্লাহ তাঁর প্রিয় বান্দাদের মাধ্যমে দ্বীনের তাজদিদের (সংস্কার) কাজের আন্‌জাম দিয়েছেন। ইতিহাসের গতিপথ সম্পর্কে জ্ঞাত ব্যক্তি মাত্রেই এ ব্যাপারে জ্ঞানসমৃদ্ধ।

কখনো হিকমাহ, কখনো সময়ের চাহিদা, কখনো বা পূর্বপুরুষের দোহাই, কখনো মাকাসিদুশ শরিয়াহ ইত্যাদি শিরোনামে দ্বীনের মাঝে সংকোচন-প্রসারণের অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। কিন্তু আল্লাহ তাঁর প্রিয় বান্দাদের মাধ্যমে এসব প্রতিহত করেছেন। হকপন্থী আলিমদের উত্থান ঘটিয়েছেন। অথচ উপর্যুক্ত পরিভাষাগুলো স্বস্থানে সঠিক অর্থে প্রয়োগযোগ্য ছিল। কিন্তু ছিদ্রপথের ব্যবহারে ভ্রষ্টপন্থীরা কখনোই অলসতা করে না।

অধুনা যোগ হয়েছে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, কূটনীতির ভাষা, কূটনৈতিক প্রজ্ঞা, বিভিন্ন ধরনের চিন্তাবৃত্তিক আলাপ ইত্যাদি পরিভাষা বা শব্দের ব্যবহার। ভাবখানা এমন যেন উলামা কিরাম মূর্খ জগতে বসবাস করেন। আসলে তারা ভুলে গেছে, এটা আল্লাহর দ্বীন। তাই এর প্রতিষ্ঠাও সে পথে হবে, যে পথ নির্ধারণ স্বয়ং আল্লাহ আসমানের ওপর থেকে ঠিক করে দিয়েছেন। আর শরিয়াহ, দ্বীন ও তাওহিদের জ্ঞান ও এর প্রয়োগ সবচেয়ে বেশি জানেন আল্লাহর মুত্তাকি বান্দারা। অর্থাৎ হকপন্থী উলামা কিরাম।

তারা বস্তুবাদী উপাদানের বুদ্ধিবৃত্তিক আলাপ ও পরিভাষার উদ্ভাবন করে এই ইলাহি মানহাজে যতই সংকচোনের চেষ্টা করুক, তা সফল হবার নয়। তারা বলবে আলিমরা রাজনীতি বুঝেন না, তারা যুগের ভাষা বুঝতে অসফল, ভূরাজনীতি বুঝেন না ইত্যাদি ইত্যাদি। সত্য হলো, এই দ্বীন আপন অবস্থান ও মানহাজে সমুজ্জ্বল। কখন কোন জায়গায় কী আচরণ ও কী কৌশল অবলম্বন করতে হবে, তা উলামা কিরামের জ্ঞানের বাইরে নয়। এই হিকমাহর শিক্ষা যুগ যুগ ধরে উলামা কিরামই শিখিয়েছেন। হাঁ, হকপন্থী কাফিলায় তাঁদের সংখ্যা অল্প হতে পারে, তবে কোনো যুগই হকপন্থী আলিমশূন্য ছিল না।

তাই, কারও চটকদার কথা, বাতিলপন্থীদের দুনিয়াবি শক্তি-ক্ষমতা দেখে হতাশ হবেন না। তাদের জনসামগম দেখে বিচলিত হবেন না। হক অধিকাংশের অনুগামী নয়। আপনি বরং হক আঁকড়ে থাকুন, যদিও একা হোন। মনে রাখুন, আমাদের পিতা ইবরাহিম ছিলেন একাই উম্মাহ। শিক্ষাগ্রহণ করুন ইবরাহিমের দাওয়াহর আদর্শ থেকে। শিক্ষা নিন সমগ্র নবিদের জীবনী, দাওয়াহ, দ্বীন ও তাওহিদপ্রতিষ্ঠার রূপরেখা থেকে। আলাইহিমুস সালাম।

‘তোমাদের জন্য ইবরাহিম ও তার সাথিদের মাঝে  রয়েছে উত্তম আদর্শ।’ [ সুরা আল-মুমতাহিনা, ৬০ : ৪ ]

মনে রাখুন, জামাত সেটাই যা হকের ওপর থাকে, চাই আপনি একা হোন না কেন।

#ilmweb
4👍1
‘আর তাদের কি হয়েছে যে, তারা উপদেশ গ্রহণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়?’

[ সুরা আল-মুদ্দাসসির, ৭৪ : ৪৯ ]

#ilmweb
5👍3
কোনো বিষয়ে তড়িঘড়ি ফাতওয়া দেয়া এ যুগের এক বড় মুসিবাত।
____
ইমাম নাসিরুদ্দিন আলবানি
[ সিলসিলাতুল হুদা ওয়ান নুর : ১/৩০৬ ]

#ilmweb
😢5🔥1
‘মুমিনরা পরস্পর ভাই ভাই, কাজেই তোমাদের ভাইদের মধ্যে শান্তি-সমঝোতা স্থাপন কর, আর আল্লাহকে ভয় কর, যাতে তোমরা অনুগ্রহপ্রাপ্ত হও।’

[ সুরা আল-হুজরাত, ৪৯ : ১০ ]

#ilmweb
6
গুনাহের শাস্তি হিসেবে এই যথেষ্ট যে, তা তোমাকে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আল্লাহর ইবাদত থেকে ফিরিয়ে রাখে।
__
ইমাম ইবনুল কাইয়িম
[ আদ-দা ওয়াদ-দাওয়া, পৃষ্ঠা : ৮৭ ]

#ilmweb
😢18🔥2
‘আসমান ও যমিনে যা কিছু আছে তা সবই তিনি তাঁর পক্ষ থেকে তোমাদের আয়ত্তাধীন করে দিয়েছেন। নিশ্চয়ই এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।’

[ সুরা আল-জাসিয়াহ, ৪৫ : ১৩ ]

#ilmweb
5👍2
যদি কোনো ব্যক্তিকে দেখো সে কোনো সাহাবির দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করছে, তবে তার ইসলামে সন্দেহ আছে।
___
ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল
[ ইবনু কাসির, আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া : ৮/১৪২ ]

#ilmweb
8🔥4
‘আমার রবের অনুগ্রহ না হলে আমিও তো জাহান্নামের ভিতর হাজির করা লোকেদের মধ্যে শামিল থাকতাম।’

[ সুরা আস-সাফফাত, ৩৭ : ৫৭ ]

#ilmweb
😢63
সৌভাগ্যবান ব্যক্তি সালাফদের আদর্শ, মতামত ও আকিদাহ আঁকড়ে ধরার পাশাপাশি দ্বীনের নামে পরবর্তীদের নব-আবিষ্কৃত বিষয় (বিদআত) থেকেও দূরে থাকে।
___
ইমাম মালিক (রাহিমাহুল্লাহ)
[ ইবনু হাজার আসকালানি, ফাতহুল বারি : ১৩/২৫৩ ]

#ilmweb
8
‘আমি আকাশ থেকে পরিমিত বৃষ্টি বর্ষণ করি, অতঃপর তা যমিনে সংরক্ষণ করি। আর অবশ্যই আমি তা সরিয়ে নিতেও সক্ষম।’

[ সুরা আল-মুমিনুন, ২৩ : ১৮ ]

#ilmweb
4👍4😢1
সালাফদের আকিদাহ : সিফাতের প্রকাশ্য অর্থগ্রহণ
— শাইখ আনওয়ার শাহ কাশ্মিরি
.
.
কয়েকজন সালাফ যেমন ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর দিকে সম্পৃক্ত করে বলা হয়, তাঁরা কুরআনের মুকাত্তাআত (যেমন, আলিফ লাম মিম, কাফ, হা-মিম, সাদ) আয়াতগুলোর মূল অর্থ ও উদ্দেশ্য জানেন। যদি বিষয়টি সহিহও ধরা হয়, তবু এর উদ্দেশ্য হলো, সম্ভাব্য কিছু অর্থ ও উদ্দেশ্য বর্ণনা করা। আমাদের মাযহাবের (হানাফি) নির্ভরযোগ্য একটি কিতাব ‘জামিয়ুল ফুসুলাইন’ থেকে ধারণা হয় যে, মুতাশাবিহাতের শাব্দিক অর্থ করাও নিষিদ্ধ। কিন্তু আমার মেধা বলে, নিষিদ্ধ তো মুতাশাবিহাতের তাফসির (ব্যাখ্যা) করা। মূলত শব্দের অধীনে যে অর্থ রয়েছে, এর অনুবাদ নিষিদ্ধ নয়। যেমন হাত, পা ইত্যাদি।
.
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়তে ভিজিট করুন :
https://ilmweb.net/সালাফদের-আকিদাহ

#ilmweb
👍3
‘যেদিন তারা ফেরেশতাদের দেখবে সেদিন তাদের পক্ষ থেকে অপরাধীদের জন্য কোনো সুসংবাদ থাকবে না। তারা বলবে, সব রকমের সুসংবাদ তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ।’

[ সুরা আল-ফুরকান,  ২৫ : ২২ ]

#ilmweb
😢6👍1
উম্মাহ, উম্মাহবোধ, উম্মাহর মুক্তি ইত্যাদি কথাগুলো যেন চর্বিত চর্বনে পরিণত হয়েছে। তবু বলে যেতে হবে, উম্মাহকে ভাবতে শিখতে হবে। ফিলিস্তিন, আল-আকসা আমাদের আকিদাহর ইস্যু। পবিত্র ভূমির সাথে তাওহিদ জড়িয়ে আছে, আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম জড়িয়ে আছেন। কিছু না করতে পারলে আসুন দুটো হাত তুলি। অন্তত নিজের তো কিছুটা লাভ হবে।

#ilmweb
🔥7👍1
‘নিশ্চয়ই যারা অজ্ঞতাবশতঃ মন্দ কাজ করে, অতঃপর অনতিবিলম্বে তাওবাহ করে নেয়, এরাই তারা যাদের তাওবাহ আল্লাহ কবুল করেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাবান।’

[ সুরা আন-নিসা, ৪ : ১৭ ]

#ilmweb
6😢2